পুঁজিবাজারে বিমা খাতে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি (বিজিআইসি) লিমিটেডের ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করার পর তা প্রকাশ করা হয়েছে। কোম্পানিটির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে আরগুস ক্রেডিট রেটিং সার্ভিসেস লিমিটেড (এসিআরএসএল)।
সোমবার (১১ আগস্ট) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সিপিএ রেটিং হয়েছে ‘এএএ’ এবং স্বল্প মেয়াদে রেটিং হয়েছে এসটি-১।
২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক পরিমাণগত তথ্য অনুযায়ী এই রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।
ঢাকা/এনটি/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নরসিংদীতে হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া নবজাতক ১২ ঘণ্টা পর উদ্ধার, নারী গ্রেপ্তার
নরসিংদী শহরের ন্যাশনাল হেলথ কেয়ার নামের একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরির ঘটনা ঘটেছে। চুরির ১২ ঘণ্টা পর ঘটনায় জড়িত এক নারীকে গ্রেপ্তার ও নবজাতককে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গতকাল রোববার দিবাগত রাত দুইটার দিকে রায়পুরা উপজেলার মরজাল এলাকা থেকে ওই নারীকে গ্রেপ্তার ও নবজাতককে উদ্ধার করা হয়। এর আগে গতকাল বেলা দুইটার দিকে হাসপাতালের কেবিন থেকে নবজাতক চুরির ঘটনা ঘটে। চুরি হওয়া ওই নবজাতক নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার পুটিয়া ইউনিয়নের বাড়ৈআলগী এলাকার মো. শরীফ ও মিথিলা আক্তার দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান।
গ্রেপ্তার ওই নারীর নাম ফাতেমা বেগম (৪০)। তিনি শিবপুর উপজেলার কুমারটেক এলাকার সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী।
পুলিশ ও নবজাতকের পরিবার বলছে, গত শনিবার দুপুরে অন্তঃসত্ত্বা মিথিলা আক্তার নরসিংদী জেলা হাসপাতালে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে গিয়েছিলেন। এ সময় স্বজনেরা তাঁর সঙ্গে ছিলেন। হাসপাতালটির কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান জন্মদানের পরামর্শ দেন। হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার সময় এক দালাল তাঁদের কম খরচে অপারেশনের ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বলে পার্শ্ববর্তী ন্যাশনাল হেলথ কেয়ার হাসপাতালে নেন। রাত আটটার দিকে ওই হাসপাতালে মিথিলা আক্তার ছেলেসন্তানের জন্ম দেন। পরে মা ও নবজাতককে একটি কেবিনে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।
গতকাল বেলা ১১টায় অভিযুক্ত ফাতেমা বেগম ওই হাসপাতালে আসেন। তিনি ওই কেবিনে গিয়ে নবজাতকের স্বজনদের বলেন, তাঁর এক স্বজনের এই হাসপাতালেই সিজার হবে, তিনি একটু আগে চলে এসেছেন। কিছুক্ষণ তাঁদের কেবিনে বসেন ওই নারী। বেলা দুইটার দিকে সুযোগ পেয়ে তিনি নবজাতককে কোলে নিয়ে পালিয়ে যান।
খবর পেয়ে নরসিংদী মডেল থানার পুলিশ ওই হাসপাতালে গিয়ে চুরি হওয়া নবজাতকের পরিবারের সদস্য ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে। পরে ঘটনাস্থল ও আশপাশের বিভিন্ন সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে ওই নারীকে শনাক্ত করা হয়। এরপরই অভিযানে নামে পুলিশ। দিবাগত রাত দুইটার দিকে রায়পুরার মরজালের একটি বাড়ি থেকে ওই নারীকে আটক ও নবজাতককে উদ্ধার করা হয়।
হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মজিবুর রহমান বলেন, ওই নারী নিজেকে রোগীর আত্মীয় পরিচয় দিয়েছিলেন। তিনি বেশ অনেকটা সময় তাঁদের সঙ্গেই ছিলেন, শিশুটিও তাঁর কোলে ছিল। চুরি করে পালানোর পর জানা যায়, তিনি তাঁদের আত্মীয় নন।
নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী জানিয়েছেন, তাঁদের পরিবারে কোনো ছেলেসন্তান নেই। স্বামী তাঁকে নানাভাবে চাপ দিচ্ছিলেন। তাই তিনি নবজাতক চুরি করেন।