স্রেফ চুক্তিতে সই করার অপেক্ষায় ছিলেন টনি হেমিং। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি শেষ করেই কাজে নেমে যান অস্ট্রেলিয়ান কিউরেটর। এর আগেও বাংলাদেশে কাজ করতে এসেছিলেন। কিন্তু পারেননি। বাধ্য হয়ে চাকরি ছেড়ে দেন। এবার মাস প্রতি ৮ হাজার ডলার দিয়ে তাকে নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সম্পর্কে সবটাই জানেন তিনি। এখানে চাওয়ার সঙ্গেই সব মিলে যায়। অথচ দেশের ক্রিকেটের প্রধানতম মাঠের বেহাল দশা। সমালোচনা করে মিরপুর শের-ই-বাংলার উইকেটকে কেউ কেউ ‘ধানক্ষেত’ বলে। এই ‘ধানক্ষেতের’ সমালোচনা তা-ও সহ্য করার মতো। কিন্তু এবার হেমিং আবিস্কার করেছেন মিরপুরের পুঁই শাকের বাগান! এ-ও বিশ্বাসযোগ্য।
জাতীয় দৈনিকে খবর বেরিয়েছে, স্টেডিয়ামের উইকেটগুলো ঘুরে দেখার পর আউটারের পিচ দেখার সময় হেমিংয়ের চোখ পড়ে পাশে থাকা একটি পুঁইশাকের বাগানে। প্রধান মাঠকর্মী রকির কাছে তিনি মজা করেই জানতে চান বিশ্বের অন্য কোনো স্টেডিয়ামে পিচের পাশে সবজির চাষ হয় কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তর ছিল না কারও কাছে।
আসলেও কী এমন কিছু আছে কিনা সেই বিষয়ে খোঁজ চালায় রাইজিংবিডি। গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান মাহমুব আনাম অস্বীকার করেন এমন কিছুর। গ্রাউন্ডস কমিটির আব্দুল বাতেন অবশ্য বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাজি হলেন না। তবে একাধিক গ্রাউন্ডসকর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায় পুঁই শাক নয় একটু আলাদা ধরণের শাকপাতা দেখেছেন হেমিং। যা নিয়ে প্রবল আগ্রহ তৈরি হয়েছে তার। গ্রাউন্ডম্যানরাই তাকে বলেছেন, এটা পুঁইশাক।
তবে শাক যেটাই হোক, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেটের পাশে এমন কিছু আছে তা আগে শোনা যায়নি কখনোই। এদিকে বিসিবির একাডেমি মাঠের পূর্ব পাশে শেষ দুইটি উইকেট একেবারে অকেজো। সেখানে পেপে, কলা গাছ মাথা উচুঁ করে দাঁড়িয়ে আছে। যা ভালোভাবে নেননি হেমিং।
মিরপুর মাঠ নিয়ে হেমিংয়ের মূল্যায়ন অনেকটা এমন, ‘‘এখানে সবটাই পাল্টে ফেলতে হবে।’’ তার সঙ্গে গত দুদিন যারা মাঠ ঘুরেছেন তাদেরকেই বলেছেন এমন কথা। তবে রাতারাতি তো পাল্টে ফেলা সম্ভব নয়। এজন্য বিসিবির কাছে সময় চেয়েছেন। মিরপুরে সামনে খেলা দিতেও মানা করেছেন।
মাঠের মাটি, ঘাস, বীজ, যতটা পারছেন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। গ্রাউন্ডের পানি নিষ্কাষণে কোনো সমস্যা নেই। বৃষ্টি হলে পানি জমলেও দ্রুতই মাঠ খেলার উপযোগী করা যায়। যতটুকু জানা গেছে, হেমিং এখনই আউটফিল্ডের কাজ ধরবেন না। তার মূল চাওয়া, মিরপুরের ২২ গজে রান ফেরানো। অন্তত স্পোর্টিং উইকেটের ব্যবস্থা করা। এজন্য উইকেটে শুরুর সময়টা দিতে চান।
গামিনি ডি সিলভা ২০১০ সাল থেকে মিরপুরের দায়িত্বে। বাংলাদেশের অনেক সাফল্যের জন্য তার বানানো উইকেট প্রশংসিত হলেও সেসব আড়াল হয়ে গেছে ব্যর্থতার স্তুপে। বিশেষ করে ব্যাটসম্যানদের জন্য এই উইকেট বিশেষ কিছু কখনোই উপহার দিতে পারেননি। তাইতো সে-কালের সাকিব আল হাসান ও লিটন কুমার দাস বলতে বাধ্য হন, মিরপুরের উইকেটে লাগাতার খেললে ক্যারিয়ার আগেই শেষ হয়ে যেত।
গতকালের মতো আজও হেমিং ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন মিরপুরে। মূল মাঠ, একাডেমি মাঠ, আউটডোর মাঠ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করেছেন। মাঠ, আউটফিল্ড, মাঠের সীমানা পেরিয়ে দেয়াল পর্যন্ত যেসব খালি জায়গা পরে থাকে সেসব দেখেছেন। মাঠের পাশে থাকা পিচ কাভার, উইকেট কাভারগুলো সরিয়ে পানি ফেলেছেন। যেগুলোতে বৃষ্টি হলেই পানি জমে থাকে।
হেমিংয়ের প্রোফাইল তার পক্ষে কথা বলছে। ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে খ্যাতিমান পিচ কিউরেটরদের একজন এই হেমিং। ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করছেন টার্ফ ম্যানেজমেন্ট নিয়ে। তিনি একজন মৃত্তিকা বিশেষজ্ঞ ও পরামর্শকও। তার কাজের অভিজ্ঞতা ব্যাপক ও বিস্তৃত। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন তিনি দীর্ঘদিন। পার্থের এখনকার মূল টেস্ট ভেন্যু অপ্টাস স্টেডিয়ামে তিনি ছিলেন অ্যারেনা ম্যানেজার।
দুবাইয়ে আইসিসি ক্রিকেট একাডেমি ও দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিনি ছিলেন প্রধান কিউরেটর। ওমান ক্রিকেট একাডেমিতে ছিলেন আইসিসি পিচ পরামর্শক। আইসিসি ক্রিকেট একাডেমিতে কাজ করেছেন আন্তর্জাতিক প্রেজেন্টার ও এডুকেটর হিসেবেও। এমনকি ফুটবলের মাঠ নিয়েও কাজ করার অভিজ্ঞতা তার আছে সৌদি আরবের রিয়াদে কিং ফাহাদ আন্তর্জাতিক ফুটবল স্টেডিয়ামের অ্যারেনা ম্যানেজার হিসেবে।
বিশেষজ্ঞ এই কিউরেটরকে বিসিবি এবার হেড অব টার্ফ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। মিরপুর মাঠ দিয়ে কাজ শুরু করা হেমিংয়ের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ দেশের সব ক্রিকেট মাঠকে আরো সুন্দর করে তোলা।
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র উন ড র উইক ট এক ড ম ক জ কর ক ট এক কর ছ ন এমন ক
এছাড়াও পড়ুন:
নিভৃতচারী কৃষকের আর্তনাদ কি আমরা শুনছি
কৃষি এবং কৃষকই এ দেশের প্রাণ—এই ধ্রুব সত্যটি নিয়ে সংশয় নেই। কিন্তু বেদনাদায়ক বাস্তবতা হলো, মধ্যস্বত্বভোগী ও কপট ব্যবসায়ীদের কারণে কৃষকের স্বার্থ বরাবরই উপেক্ষিত। নীতিনির্ধারক ও মূলধারার রাজনীতিবিদদের নীরবতা এবং কৃষকের সমস্যা নিয়ে সম্প্রতি জনগুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যকে ‘ট্রল’ করার মতো দুর্ভাগ্যজনক প্রবণতা আমাদের জাতীয় সংবেদনশীলতার অভাবকেই প্রকটভাবে তুলে ধরে।
করোনাকালীন ভয়াবহ সংকটে কৃষি যেভাবে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করে অর্থনীতিকে রক্ষা করেছে, তা আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত হবে না। অথচ এত কমিশন গঠিত হলেও, কৃষি কমিশন গঠন করা হয়নি। এর মূল কারণ সম্ভবত নিভৃতে কাজ করে যাওয়া কৃষক বা কৃষিশ্রমিকের মূল্য এই সমাজে অনেক সস্তা।
বর্তমানে কৃষি খাত নিয়ে যত আলোচনা—তা সবই যেন নিরাপদ কৃষি, বাণিজ্যিক কৃষি, কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ, ভ্যালু চেইন ও উৎপাদন বৃদ্ধিকেন্দ্রিক। প্রধান স্টেকহোল্ডার কৃষক ও তাঁর জীবন-জীবিকার স্বার্থ প্রায়শই থেকে যাচ্ছে অন্তরালে। অন্যান্য পেশাজীবীর মতো কৃষকের কোনো সক্রিয় সংগঠন নেই। চাষাবাদ ফেলে ঢাকা শহরে দাবি আদায়ের আন্দোলনে নামাও তাঁদের পক্ষে অসম্ভব, কারণ তাতে তাঁদের পেটে ভাত জুটবে না।
অথচ কৃষকেরা শুধু অর্থনৈতিকভাবেই নয়, শারীরিকভাবেও চরম ঝুঁকির মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ক্যানসারে আক্রান্ত পুরুষ রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পেশায় কৃষক! মাস্ক, গ্লাভস বা রাবারের জুতা চোখে না দেখা, ছেঁড়া গামছা মুখে পেঁচিয়ে বিষাক্ত কীটনাশক স্প্রে করা ভূমিহীন মানুষটা আমাদের কাছে হয়তো ‘কৃষিশ্রমিক’, ‘কৃষক’ নন; কিন্তু খাদ্য উৎপাদনচক্রে তাঁর অবদান সবচেয়ে মৌলিক এবং তাঁর স্বাস্থ্যঝুঁকিও সবচেয়ে বেশি।
সমাজের চোখে ‘কৃষক’ বলতে যখন বিঘার পর বিঘা জমির মালিক, শিক্ষিত বাণিজ্যিক উদ্যোক্তাদের বোঝানো হচ্ছে, তখন প্রান্তিক, নিরক্ষর মানুষগুলোর অস্তিত্ব ও সংগ্রাম প্রায় অস্বীকৃত থেকে যাচ্ছে।
আবার কৃষক ও কৃষির সমস্যা শুধু অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্যগত নয়, এর শিকড় প্রোথিত আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাতেও। বিশেষ করে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। বাণিজ্যিক কৃষিকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে আমাদের শিক্ষায় কৃষির নৃতাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক দিকগুলো প্রায় উপেক্ষিত।
কৃষকের নিবিড় জীবন ও সংস্কৃতি সম্পর্কে আমাদের নতুন প্রজন্ম প্রায়শই অন্ধকারে থাকছে। গান গাইতে গাইতে ধান কাটা, ধান লাগানো বা নবান্ন উৎসব—এসব প্রথা ও রীতিনীতি কেবল সংস্কৃতি নয়, কৃষকের জীবনের আনন্দ, দুঃখ ও শ্রমের প্রকাশ। পাঠ্যক্রমে এসবের অনুপস্থিতি কৃষি ও কৃষক সম্পর্কে নাগরিকসচেতনতা বৃদ্ধির পথে এক বড় বাধা।আমাদের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কৃষির উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ নিয়ে তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো আলোচনা বা গবেষণা নেই। কীভাবে নারীর হাত দিয়ে কৃষির সূচনা হয়েছিল—ফসলের বীজ সংগ্রহ, সংরক্ষণ, বপন ও পরিচর্যার প্রথম ধাপগুলোয় নারীর যে ঐতিহাসিক ভূমিকা ছিল, সেই গুরুত্বপূর্ণ নৃতাত্ত্বিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক দিকগুলো পড়ানো হয় না বললেই চলে।
বাংলার কৃষিকাজে লোকায়ত জ্ঞানের অন্যতম ধারক খনার বচন প্রাসঙ্গিক হলেও আবহাওয়া, ফসল রোপণের সময়, মাটির গুণাগুণ–সম্পর্কিত হাজার বছরের পরীক্ষিত প্রথাগত প্রজ্ঞা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাঠ্যক্রমে স্থান পায় না। এর বদলে শুধু স্থান পায় আধুনিক প্রযুক্তি ও বাণিজ্যিকীকরণের তত্ত্ব।
ধান লাগানো থেকে শুরু করে প্রক্রিয়াকরণ, বীজ সংরক্ষণ, ফসল মাড়াই ও ঝাড়াইয়ের মতো অনেক ধাপে নারীর সরাসরি অংশগ্রহণ বাংলাদেশের কৃষিতে অপরিহার্য অনুষঙ্গ। বিভিন্ন গবেষণায় এই সত্য বারবার প্রমাণিত হয়েছে। অথচ এই বিশাল শ্রমশক্তি ও তাঁদের সমস্যা নিয়ে মূলধারার একাডেমিক আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় না। যদিও সস্তা শ্রম আর অধিকার বঞ্চনার মতো প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও কৃষিতে নারীর উপস্থিতি বাড়ছে।
কৃষকের নিবিড় জীবন ও সংস্কৃতি সম্পর্কে আমাদের নতুন প্রজন্ম প্রায়শই অন্ধকারে থাকছে। গান গাইতে গাইতে ধান কাটা, ধান লাগানো বা নবান্ন উৎসব—এসব প্রথা ও রীতিনীতি কেবল সংস্কৃতি নয়, কৃষকের জীবনের আনন্দ, দুঃখ ও শ্রমের প্রকাশ। পাঠ্যক্রমে এসবের অনুপস্থিতি কৃষি ও কৃষক সম্পর্কে নাগরিকসচেতনতা বৃদ্ধির পথে এক বড় বাধা।
কৃষির এই বহুমুখী সংকট থেকে মুক্তি পেতে হলে শুধু যান্ত্রিকীকরণ আর উৎপাদন বৃদ্ধির দিকে নজর দিলেই চলবে না। প্রয়োজন সুদূরপ্রসারী নীতিগত পরিবর্তন।
যা করা যেতে পারে:
ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণ: সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ফসল কেনার সরকারি উদ্যোগকে আরও বিস্তৃত ও মধ্যস্বত্বভোগীর দৌরাত্ম্য কমাতে শক্তিশালী ‘ভ্যালু চেইন’ ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ: প্রান্তিক কৃষক ও কৃষিশ্রমিকদের জন্য বিনা মূল্যে মানসম্পন্ন কীটনাশকপ্রতিরোধী মাস্ক, গ্লাভস এবং সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম সরবরাহ করা।
শিক্ষায় কৃষির সাংস্কৃতিক পাঠ অন্তর্ভুক্তিকরণ: উচ্চশিক্ষা ও স্কুল পর্যায়ের পাঠ্যক্রমে কৃষির উৎপত্তি, নৃতত্ত্ব, নারীর ভূমিকা, লোকায়ত জ্ঞান (যেমন খনার বচন) এবং কৃষকের জীবন ও সংস্কৃতিকে অন্তর্ভুক্ত করে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
কৃষিশ্রমিকের স্বীকৃতি: নারীর কৃষিভিত্তিক শ্রমের স্বীকৃতি প্রদান করা। কৃষিশ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা বেষ্টনী ও স্বাস্থ্যবিমার ব্যবস্থা করা। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলায় আলাদা বরাদ্দ রাখা।
সর্বোপরি নীতিগত সদিচ্ছা এবং কৃষকের ন্যায্য অধিকার ও স্বাস্থ্য সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ বৃদ্ধিই পারে আমাদের খাদ্যনিরাপত্তার মূল ভিত্তি—নিভৃতচারী কৃষককে তাঁর প্রাপ্য সম্মান ও স্বীকৃতি দিতে। কৃষি ও কৃষক সম্পর্কে প্রত্যেক নাগরিকের সচেতনতা বৃদ্ধি এখন সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দাবি।
মো. জুবায়ের ইবনে কামাল অফিসার, জনতা ব্যাংক পিএলসি। প্রাক্তন শিক্ষার্থী, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়