যুদ্ধ বন্ধের আশায় ট্রাম্পের দুঃসাহসী জুয়া
Published: 11th, August 2025 GMT
ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির এক অপূর্ণ প্রতিশ্রুতি হলো—তিনি এক ধাপের কূটনৈতিক সাফল্যে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ শেষ করবেন। ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন। চাপ সৃষ্টি করেছেন। তবু বোমা পড়া বন্ধ হয়নি, হতাহতের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই।
এখন ট্রাম্প বাজি ধরেছেন যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক সেই অধরা অগ্রগতি বয়ে আনবে এবং সম্ভবত যুদ্ধ পরিচালনার ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা নিয়ে ভোটারদের উদ্বেগও কমাবে।
২.
শুক্রবার আলাস্কার রিপাবলিকান–শাসিত অঙ্গরাজ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই সম্মেলন ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের অন্যতম বড় দুঃসাহসী পদক্ষেপ। বৈঠকের আয়োজন যুদ্ধ থামানোর প্রত্যাশা বাড়িয়ে দিয়েছে।
তবে ট্রাম্পের সামনে ফাঁদও রয়েছে—পুতিন এই বিরোধপূর্ণ ভূখণ্ড–সংক্রান্ত ইস্যুতে অভিজ্ঞ এবং তাঁর হাতে অর্থনৈতিক ও সামরিক প্রভাব রয়েছে। ইউক্রেনের স্বাধীনতা বজায় রেখে একটি টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা ট্রাম্পের আত্মপ্রশংসিত চুক্তি করার দক্ষতাকে কঠিন পরীক্ষায় ফেলবে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে রাশিয়ায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত ছিলেন মাইকেল ম্যাকফল। তিনি বলেন, ‘আপনি যদি প্রস্তুতি ছাড়া বৈঠকে যান, পুতিন আপনাকে চাপে ফেলে দেবেন। সম্মেলন এমন একটি উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য হয়, যা আমেরিকার জাতীয় স্বার্থকে এগিয়ে নেয়। এগুলো হলো কোনো লক্ষ্য পূরণের মাধ্যম, কিন্তু মাঝেমধ্যে আমার মনে হয় ট্রাম্প মনে করেন বৈঠকটাই আসল লক্ষ্য।’
ট্রাম্প প্রশাসনের এক জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন, শান্তিচুক্তি করা সহজ হবে না। যুদ্ধের একটি পক্ষ টেবিলে উপস্থিত থাকবেন না: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, যিনি অবৈধভাবে রাশিয়ার দখল করা ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
গোপনীয়তার শর্তে ট্রাম্প প্রশাসনের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আগামী এক-দুই সপ্তাহের মধ্যে কোনো অগ্রগতি হবে কি না, আমরা দেখব। শেষ পর্যন্ত পুতিন ও জেলেনস্কির মৌলিক কিছু বিষয়ে একমত হতে হবে। তৃতীয় পক্ষ যা খুশি করতে পারে। কিন্তু এই দুই ব্যক্তিকেই আসল সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে।’
পররাষ্ট্রনীতি বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, পুতিনের মতো একজন অভিজ্ঞ আলোচকের সঙ্গে একই ঘরে বসে ট্রাম্প এমন একটি শান্তিচুক্তিতে সমর্থন দিতে প্রলুব্ধ হতে পারেন, যা ইউক্রেনকে বিভক্ত করে ফেলবে।
ম্যাকফল বলেন, ‘আমি চিন্তিত যে শান্তিকামী হিসেবে নিজেকে দেখানোর আগ্রহে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হয়তো বলবেন, “হ্যাঁ, এটা আমার কাছে ভালো ধারণা মনে হচ্ছে।” পুতিন বলবেন, “দোনেৎস্ক (ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের একটি শহর) সব সময় রাশিয়ার অংশ ছিল।” আর ট্রাম্প বলবেন, “আপনি ঠিক বলেছেন।”’
ম্যাকফল আরও বলেন, ‘পুতিন এসব গল্প বলতে পারদর্শী। তিনি ইতিহাস ভালো জানেন ও নিজের বর্ণনায় মানুষকে আকর্ষণ করতে পারেন। এ ধরনের কথোপকথনের জন্য প্রেসিডেন্টকে প্রস্তুত থাকতে হবে এবং তাঁর টিমকে তাঁকে প্রস্তুত করে তুলতে হবে।’
এক সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘আরেকটি সম্ভাবনা হলো, পুতিন প্রেসিডেন্টকে আরও সময়ক্ষেপণের দিকে ঠেলে দিতে পারেন—এমন কিছু ছাড় দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে, যা তিনি আদৌ বাস্তবায়নের কোনো ইচ্ছা রাখেন না, কেবল যুদ্ধক্ষেত্রে নিজের অর্জন মজবুত করার জন্য।’
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ইউক্রেনে মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য আফেয়ার্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করা উইলিয়াম টেইলর বলেন, ‘পুতিন হয়তো প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে যুদ্ধ থামানো ও যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাধা দিতে পারেন, ভবিষ্যতে কিছু দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে; তারপর পুতিন যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন এবং ইউক্রেনীয়দের হত্যা করে যাবেন।’
ফলাফল যা–ই হোক না কেন, পুতিন অন্তত একটি প্রতীকী বিজয় পেয়ে যাবেন: আন্তর্জাতিকভাবে তিনি যখন একজন অচ্ছুত, তখন তিনি একটি বড় ও উজ্জ্বল মঞ্চ পাচ্ছেন। দুই বছর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ইউক্রেনীয় শিশুদের অপহরণের সঙ্গে সম্পর্কিত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। এই পরোয়ানা দুই নেতার সম্ভাব্য সাক্ষাতের স্থানগুলোকে অনেক সীমিত করে দিয়েছিল।
ম্যাকফল বলেন, ‘শুধু পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিয়েই যিনি গণতান্ত্রিক বিশ্বের কাছে এক অবাধ্য, সাম্রাজ্যবাদী একনায়ক—প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁকে বৈধতা দিচ্ছেন।’
৩.
আসন্ন এই শীর্ষ বৈঠকের সঙ্গে ২০১৮ সালে হেলসিঙ্কিতে অনুষ্ঠিত শীর্ষ বৈঠকের তুলনা অবশ্যম্ভাবীভাবে টানা হবে। সেই বছর পুতিনের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প এমনভাবে উপস্থিত হন, যেন তিনি যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার বহু বছরের শীতল সম্পর্কের পর একটি ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তুলতে উদ্গ্রীব।
২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ অস্বীকার করে পুতিনের বক্তব্য উদ্ধৃত করে ট্রাম্প তখন বলেছিলেন, ‘আমি দেখছি না কেন এটা রাশিয়া হবে।’ (পরে তিনি দাবি করেন যে তিনি ভুল বলেছিলেন এবং স্বীকার করেন যে তিনি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সিদ্ধান্তকে বিশ্বাস করেন যে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ হয়েছিল, তবে এটিও যোগ করেন যে ‘অন্য কেউ’ ২০১৬ সালের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করে থাকতে পারে।)
এবার ট্রাম্প আরও অভিজ্ঞ এবং পুতিনের যুদ্ধ পরিচালনায় তাঁর ধৈর্য ফুরিয়ে গেছে। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তাঁর স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প পুতিন বিষয়ে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গিতে প্রভাব ফেলেছেন এবং তাঁকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার চালানো ধ্বংসযজ্ঞের কথা।
অন্যদিকে পুতিন এখন অনেকটাই দুর্বল। এই গ্রীষ্ম নাগাদ রাশিয়ায় হতাহতের সংখ্যা ১০ লাখে পৌঁছানোর আশঙ্কা করা হচ্ছিল। চাইলে ট্রাম্প যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করার জন্য রাশিয়াকে শাস্তি দিতে রাশিয়ান জ্বালানি ক্রয়কারী দেশগুলোর ওপর দ্বিতীয় পর্যায়ের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারেন, যে পদক্ষেপের হুমকি তিনি আগেও দিয়েছেন।
টেইলর বলেন, ‘এবার ট্রাম্প আগের বৈঠকের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী অবস্থানে আছেন। যদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে যান এবং তাঁর হাতে থাকা রাজনৈতিক, সামরিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব যথাযথভাবে প্রয়োগ করেন, তাহলে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।’
তবে ট্রাম্প অভ্যন্তরীণ নানা চ্যালেঞ্জ নিয়ে শীর্ষ সম্মেলনে যাচ্ছেন। জেফ্রি এপস্টিন মামলায় নিজের সমর্থকদের ক্ষোভ থামাতে হিমশিম খাচ্ছে তাঁর প্রশাসন। গত সপ্তাহে দুর্বল কর্মসংস্থান বৃদ্ধির তথ্য প্রকাশের পর ট্রাম্প শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রধানকে বরখাস্ত করেছেন।
ম্যাসাচুসেটস অ্যামহার্স্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, ট্রাম্পের জনসমর্থন ৩৮ শতাংশ—যা এপ্রিলের তুলনায় ৬ শতাংশ কম। ওই জরিপের পরিচালক আলেকজান্ডার থিওডোরিডিস। তিনি বলেন, এই মেরুকৃত সময়ে জনসমর্থনের তাত্ত্বিক নিম্নসীমার কাছাকাছি চলে এসেছেন ট্রাম্প।
থিওডোরিডিসের মতে, ট্রাম্পপন্থীদের মধ্যে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ পরিচালনায় তাঁর প্রতি সমর্থন ছিল ৬৪ শতাংশ, যা অন্যান্য বিষয়ে তাঁর প্রতি সমর্থনের তুলনায় অনেক কম। ট্রাম্পের ২০২৪ সালের ভোটারদের মধ্যে ৮৫ শতাংশ তাঁর অভিবাসন নীতি, ৭৮ শতাংশ চাকরিবিষয়ক কর্মদক্ষতা ও ৭১ শতাংশ শুল্ক আরোপের পক্ষে ছিলেন।
৪.
রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টরা প্রায়ই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সাফল্যের মাধ্যমে দেশে নিজেদের অবস্থান উন্নত করে থাকেন। পররাষ্ট্রনীতি গঠনে রাষ্ট্রপ্রধানদের স্বাধীনতা অভ্যন্তরীণ নীতির তুলনায় অনেক বেশি।
পররাষ্ট্র সম্পর্কবিষয়ক কমিটির সদস্য ও ডেলাওয়ারের ডেমোক্র্যাট সিনেটর ক্রিস কুনস বলেন, ‘যদি ট্রাম্প সত্যিই পুতিনের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ইউক্রেনের জন্য ন্যায্য শান্তি দাবি করেন, তবে এই শীর্ষ সম্মেলন তাঁর জন্য একটি ইতিবাচক পরিবর্তন বয়ে আনবে।’
ক্রিস কুনস আরও বলেন, ‘এটি একটি ইতিবাচক ভিন্নমুখী সাফল্য হবে। কিন্তু সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি হবে, যদি এই সম্মেলন মূলত দেশীয় সংকট যেমন শুল্ক বা এপস্টিন ইস্যু থেকে মনোযোগ সরানোর চেষ্টা হয় এবং তবু তিনি দৃঢ় অবস্থান নিতে ব্যর্থ হন।’
ট্রাম্পের জন্য এই সংঘাত শেষ করার আরেকটি বাড়তি প্রণোদনা হতে পারে এমন একটি পুরস্কার, যা তিনি পেতে আগ্রহী বলে মনে হয়। হোয়াইট হাউস যেন পদ্ধতিগতভাবে একটি ভিত্তি গড়ে তুলছে, যাতে প্রতীয়মান হয় তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য এবং বিশ্বব্যাপী উত্তেজনাপূর্ণ অঞ্চলে উত্তেজনা কমানোর জন্য গৃহীত বিভিন্ন প্রচেষ্টার দিকে মনোযোগ আকর্ষণ করছেন।
২০২৬ সালের পুরস্কারের জন্য প্রার্থীদের মনোনয়নের শেষ সময় ৩১ জানুয়ারি। ওই বছরের অক্টোবরে নোবেল বাছাই কমিটি বিজয়ীর নাম ঘোষণা করবে।
৫.
আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সংঘাতের অবসান ঘটানো এক চুক্তি উদ্যাপনের জন্য গত শুক্রবার ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উভয় দেশের নেতারা ট্রাম্পের নোবেল শান্তি পুরস্কারের প্রার্থিতা সমর্থন করেন, যে পুরস্কার এর আগে তিনজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট পেয়েছেন। বারাক ওবামা সর্বশেষ এই পুরস্কার পেয়েছিলেন, ২০০৯ সালে।
তবে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে শান্তিচুক্তি, ইউক্রেন ও পারমাণবিক শক্তিধর দেশ রাশিয়ার মধ্যে সংঘাতের অবসান ঘটানোর তুলনায় ট্রাম্পের জন্য অনেক ছোট্ট কৃতিত্বের ঘটনা।
টেইলর বলেন, ‘পুতিন নিঃসন্দেহে এখন দুর্বল অবস্থানে আছেন। ইউক্রেন আক্রমণ তাঁর জন্য এক ভয়াবহ বিপর্যয়ে পরিণত হয়েছে। আর এবার ট্রাম্পের হাতে সব তাস আছে। তাঁর হাতে রয়েছে প্রভাব, অভিজ্ঞতা ও আত্মবিশ্বাস। তিনি এই সমস্যার সমাধান করতে এবং যুদ্ধের অবসান ঘটাতে উদ্গ্রীব। তিনি বুঝতে পারছেন যে সমস্যার মূল পুতিন। পুতিনই তাঁর এবং যুদ্ধ শেষ হওয়ার মধ্যে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।’
পিটার নিকোলাস এনবিসি নিউজের জ্যেষ্ঠ হোয়াইট হাউস প্রতিবেদক।
এনবিসি নিউজ থেকে নেওয়া
অনুবাদ: মনজুরুল ইসলাম
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউক র ন র ন র জন য প রস ক র য দ ধ পর অবস থ ন কর ন য র অবস
এছাড়াও পড়ুন:
এনজেল নূরের প্রথম অ্যালবাম ‘প্রাণ-ত’
নিজের জীবনের গল্পে সুর চড়ান এনজেল নূর। প্রথম মৌলিক গান ‘যদি আবার’ গেয়ে তারকাখ্যাতি পেয়েছেন তিনি। গানটি ঢাকার গণ্ডি পেরিয়ে কলকাতায়ও আলোচিত হয়েছে। আরেক মৌলিক গান ‘তিল’ও প্রশংসা কুড়িয়েছে। দুই গানের গল্প বলার ঢঙে জীবনকে সামনে এনেছেন তিনি।
এবার আর একক গান নয়, পুরো অ্যালবামে হাত দিয়েছেন এনজেল। প্রাণ–ত শিরোনামে প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ করবেন তিনি। ‘কিছু কথা বাকি ছিল’সহ মোট সাতটি গান থাকবে। তবে ‘যদি আবার’ ও ‘তিল’ থাকবে না। অ্যালবামের নামকরণ নিয়ে জানতে চাইলে এই তরুণ গায়ক বলেন, ‘গানগুলো আমার একদম প্রাণে কাছের, ফলে অ্যালবামের নাম প্রাণ–ত। এতে প্রাণজুড়ানো কিছু গান থাকবে, যেখানে কষ্ট বা সুখকে না এড়িয়ে অনুভব করার কথা বলা হয়।’
এনজেল নূর