অ্যাপলের বিরুদ্ধে মামলা করার ঘোষণা দিয়েছেন এক্সএআই, স্পেসএক্স, টেসলাসহ খুদে ব্লগ লেখার সাইট এক্সের (সাবেক টুইটার) মালিক ইলন মাস্ক। তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন এআই অ্যাপকে সহায়তা দিতে অ্যাপল ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেদের অ্যাপ স্টোরের র‍্যাংঙ্কিংয়ে কারসাজি করছে। এ কারণে আইওএসের প্রস্তাবিত অ্যাপ তালিকায় এক্স বা এক্সএআইয়ের তৈরি গ্রোক চ্যাটবটকে রাখা হয়নি। এ বিষয়ে এক্সএআই ‘তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা’ নেবে।

একাধিক পোস্টে ইলন মাস্ক জানান, অ্যাপল এমন আচরণ করছে, যাতে ওপেনএআই ছাড়া অন্য কোনো এআই প্রতিষ্ঠান অ্যাপস্টোরের শীর্ষে উঠতে না পারে। এটি নিঃসন্দেহে প্রতিযোগিতা আইন লঙ্ঘনের শামিল। তাই এখন মামলা করা ছাড়া সামনে আর কোনো বিকল্প নেই। তবে মাস্ক এসব অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ দেননি। মামলাটি ইতিমধ্যে দায়ের করা হয়েছে কি না, সেটিও স্পষ্ট নয়। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ভার্জ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপ স্টোরে চ্যাটজিপিটি ফ্রি আইফোন অ্যাপের তালিকায় প্রথম স্থানে, আর গ্রোক রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে চীনের ডিপসিক এআই সাময়িকভাবে চ্যাটজিপিটিকে সরিয়ে প্রথম স্থানে উঠেছিল। ফলে মাস্কের দাবি ‘অন্য কোনো এআই অ্যাপের পক্ষে শীর্ষে ওঠা অসম্ভব’ বাস্তবে ভুল প্রমাণিত হয়েছে।

আরও পড়ুনঅফিসেই ঘুমাচ্ছেন ইলন মাস্ক, কেন২২ জুলাই ২০২৫

প্রযুক্তি–বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, মাস্কের এই অভিযোগে বিদ্রূপাত্মক দিকও রয়েছে। কারণ, ২০২২ সালে টুইটার (বর্তমানে এক্স) অধিগ্রহণের পর প্ল্যাটফর্মটির অ্যালগরিদম পরিবর্তন করে নিজের পোস্টকে অগ্রাধিকার দেওয়ার অভিযোগ আগে থেকেই রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ২০২৪ সালের এক গবেষণাতেও দেখা গেছে, এক্সের অ্যালগরিদম ইচ্ছাকৃতভাবে মাস্কের পোস্ট বেশি প্রচার করে। এ প্রসঙ্গে ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান ২০২৩ সালের প্ল্যাটফর্মারের একটি প্রতিবেদন শেয়ার করেন। যেখানে বলা হয়, মাস্ক তাঁর পোস্টগুলো সব ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছাতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছেন।

আরও পড়ুনইলন মাস্ক, বিল গেটস দিনে ৮ ঘণ্টা কাজে বিশ্বাসী নন০১ মে ২০২৫

অবশ্য মাস্কের সঙ্গে অ্যাপল ও ওপেনএআইয়ের এটিই প্রথম দ্বন্দ্ব নয়। মাস্ক ওপেনএআইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতাদের একজন ছিলেন। পরে প্রতিষ্ঠানটি মুনাফাভিত্তিক ব্যবসায় রূপ নেওয়ার পর তিনি এর বিরুদ্ধে মামলা করেন এবং অধিগ্রহণের প্রস্তাব দেন, যা সর্বসম্মতভাবে প্রত্যাখ্যাত হয়। এমনকি গত বছর অ্যাপল ও ওপেনএআই যৌথভাবে আইফোন, আইপ্যাড ও ম্যাকে চ্যাটজিপিটি যুক্ত করার ঘোষণা দিলে মাস্ক হুমকি দেন। তখন তিনি জানান, অ্যাপলের অপারেটিং সিস্টেমে ওপেনএআই প্রযুক্তি সংযুক্ত হলে তার প্রতিষ্ঠানের কর্মক্ষেত্রে অ্যাপল পণ্য নিষিদ্ধ করা হবে।

সূত্র: দ্য ভার্জ

আরও পড়ুনইলন মাস্ক সম্পর্কে চমকপ্রদ ২১ তথ্য, যা হয়তো আপনার অজানা২২ নভেম্বর ২০২২.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইলন ম স ক অ য পল

এছাড়াও পড়ুন:

লোপেজ বললেন, ‘বিচ্ছেদ জীবনের সেরা ঘটনা’

তাঁদের জীবনের গল্প সিনেমার চিত্রনাট্যের মতোই। তুমুল প্রেম, বাগ্‌দানের পর সবাই যখন বিয়ের অপেক্ষায়; তখন হঠাৎই আসে বিচ্ছেদের ঘোষণা। এরপর দীর্ঘ সময় গড়িয়েছে, দুজনই ভিন্ন সম্পর্কে থিতু হয়েছেন। তবে নিয়তি বোধ হয় চেয়েছিল তাঁদের পুনর্মিলন, শেষ পর্যন্ত সেটাও হয়। কিন্তু দুই বছর গড়াতেই সম্পর্ক ভাঙে, সম্পর্কের দ্বিতীয় সুযোগও কাজে লাগাতে পারেননি হলিউডের তারকা দম্পতি বেন অ্যাফ্লেক ও জেনিফার লোপেজ। বিচ্ছেদের পর বছর পার হয়েছে কিন্তু এ বিষয়ে দুই তারকার কেউই তেমন কথা বলেননি। এবার সিবিএস নিউজ সানডে মর্নিং অনুষ্ঠানে এসে বিচ্ছেদ নিয়ে প্রথমবার সবিস্তার কথা বললেন লোপেজ।

একনজরে বেন-লোপেজের সম্পর্ক
প্রথম পরিচয়: ১৯৯৮ সালে, ‘আর্মাগেডন’ ছবির প্রিমিয়ারে।
প্রেম: ২০০২ সালে, ‘গিগলি’ সিনেমার সেটে।
প্রথম বাগ্‌দান: ২০০২ সালে, ২০০৩ সালে বিয়ে করার ঘোষণা।
প্রথম বিচ্ছেদ: ২০০৪ সালে বাগ্‌দান ভেঙে দিয়ে বিচ্ছেদের ঘোষণা।
পুনর্মিলন: ২০২১ সালে আবার প্রেম শুরু করেন বেন ও লোপেজ।
দ্বিতীয় বাগ্‌দান: ২০২২ সালে এপ্রিলে দ্বিতীয়বার বাগ্‌দান সারেন।
অবশেষে বিয়ে: ২০২২ সালের ১৬ জুলাই বিয়ে করেন এই তারকা জুটি।
বিচ্ছেদের আবেদন: ২০২৪ সালের ২০ আগস্ট বিচ্ছেদের আবেদন করেন লোপেজ।

২৮ সেপ্টেম্বর প্রচারিত অনুষ্ঠানে লোপেজ বলেন, বেনের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর পর তাঁর উপলব্ধি ছিল, এটা তাঁর জীবনের ঘটে যাওয়া সেরা ঘটনা। বিচ্ছেদকে ‘সেরা ঘটনা’ বলার পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করে এই গায়িকা-অভিনেত্রী বলেন, ‘এটা আমাকে বদলে দিয়েছে। এটা আমাকে এমনভাবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করেছে, যেটা আমার জন্য দরকার ছিল।’

অ্যাফ্লেকের প্রতি কৃতজ্ঞতা
২০২৪ সালের আগস্টে লোপেজ বিচ্ছেদের আবেদন করেন; চূড়ান্ত হয় ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে। ডিভোর্সের সময়ে লোপেজ শুটিং করছিলেন নতুন ছবি ‘কিস অব দ্য স্পাইডার ওমেন’-এর। এ সিনেমায় তাঁর সঙ্গে আরও অভিনয় করেছেন দিয়েগো লুনা ও টোনাটিউ। এটি ১৯৯৩ সালের ব্রডওয়ে মিউজিক্যাল থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি, যা মানুয়েল পুইগের ১৯৭৬ সালের উপন্যাসের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এই গল্প আগেও ১৯৮৫ সালে সিনেমার পর্দায় এসেছে, যেখানে অভিনয় করেছিলেন উইলিয়াম হার্ট, রাউল জুলিয়া ও সোনিয়া ব্রাগা। নতুন সংস্করণে জেনিফার লোপেজ প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যা তাঁর প্রথম মিউজিক্যাল চলচ্চিত্রও বটে।

বেন অ্যাফ্লেক ও জেনিফার লোপেজ। রয়টার্স

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এআই ভিডিও তৈরির নতুন অ্যাপ আনছে ওপেনএআই
  • ভারতের সবচেয়ে কমবয়সী ধনকুবের, ৩১ বছর বয়সেই মালিক ২১ হাজার কোটি রুপির
  • শহর ও গ্রামে সাবানের চাহিদার ভিন্নতা
  • চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে অনলাইনে পছন্দের পণ্যও কেনা যাবে
  • চ্যাটজিপিটিতে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল–সুবিধা যুক্ত করল ওপেনএআই
  • তিন বছর ধরে অবৈধভাবে বগুড়ায় কঙ্গোর নাগরিক, জিম্মি-প্রতারণার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
  • লোপেজ বললেন, ‘বিচ্ছেদ জীবনের সেরা ঘটনা’
  • ‘বিশেষ বিবেচনায়’ হলে থাকেন শিবির সভাপতি, হয়েছেন ভিপি প্রার্থী