রাষ্ট্রপতিকে স্পিকারের শপথ পড়ানোর বিধান প্রশ্নে রুল শুনানিতে ৭ অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ
Published: 14th, August 2025 GMT
রাষ্ট্রপতিকে প্রধান বিচারপতির পরিবর্তে স্পিকারের শপথ পড়ানো–সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনীর বিধান প্রশ্নে রুল শুনানিতে মতামত জানাতে অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের আইনি সহায়তাকারী) হিসেবে শীর্ষস্থানীয় সাত আইনজীবীকে নিয়োগ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে শুনানির জন্য আগামী ২৬ অক্টোবর তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে সাত আইনজীবীর নাম ঘোষণা করে শুনানির তারিখ ধার্য করেন।
অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে মনোনীত সাত আইনজীবী হলেন—জয়নুল আবেদীন, প্রবীর নিয়োগী, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, শাহদীন মালিক, আহসানুল করিম, মুস্তাফিজুর রহমান খান ও জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
রাষ্ট্রপতিকে দেশের প্রধান বিচারপতির শপথ পাঠ করানো-সংক্রান্ত বাহাত্তরের সংবিধানের বিধান পুনর্বহালে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে গীতিকবি শহীদুল্লাহ ফরায়জী গত ১০ মার্চ রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ১১ মার্চ হাইকোর্ট রুল দেন।
‘রাষ্ট্রপতিকে প্রধান বিচারপতি শপথবাক্য পাঠ করাবেন’ বাদ দিয়ে পঞ্চদশ সংশোধনীর স্পিকারের পড়ানো-সংক্রান্ত বিধান কেন বায়াত্তরের মূল সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না এবং সংশোধনীর অংশটুকু কেন বাতিল (শুরু থেকেই) হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।
আইনসচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। রুলের ওপর শুনানি শুরু হয়। আজ রিটটি আদালতের কার্যতালিকায় ২৫ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।
আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ওমর ফারুক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদি হাসান।
পরে আইনজীবী ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, ‘রুলের ওপর আংশিক শুনানি হয়েছে। রিট আবেদনকারীর পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন প্রায় শেষ পর্যায়ে। অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে মতামত দিতে আজ আদালত শীর্ষস্থানীয় সাতজন আইনজীবীকে নিয়োগ দিয়েছেন। রুল শুনানির জন্য আগামী ২৬ অক্টোবর পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ষ ট রপত ক ব চ রপত আইনজ ব
এছাড়াও পড়ুন:
রিয়া মনির মামলায় জামিন পেলেন হিরো আলম
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় হত্যাচেষ্টা, মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে সাবেক স্ত্রী রিয়া মনির করা মামলায় আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসান আজ শনিবার এই আদেশ দেন।
বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে হাতিরঝিল থানা থেকে হিরো আলমকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তাঁকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। কিছুক্ষণ পর পুলিশের কঠোর নিরাপত্তায় তাঁকে সিএমএম আদালতের ৯তলার এজলাসে নেওয়া হয়।
হিরো আলমের পক্ষের আইনজীবীরা তাঁর জামিন চেয়ে শুনানি করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে বিচারক ২০০ টাকা মুচলেকায় তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
এদিকে হিরো আলমের মামলার শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন এই মামলার বাদী রিয়া মনি। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘হিরো আলমের একটা শিক্ষা হওয়া দরকার। আমাকে যেমন বিনা কারণে জেল খাটিয়েছে, তারও জেলে থাকা উচিত।’
এর আগে শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর হাতিরঝিল থানাধীন এলাকা থেকে সাবেক স্ত্রী রিয়া মনির দায়ের করা মামলায় হিরো আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামানের আদালত হিরো আলম ও তাঁর সহযোগী আহসান হাবিব সেলিমের বিরুদ্ধে ১২ নভেম্বর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। সেই পরোয়ানা অনুসারেই হিরো আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ২৩ জুন হাতিরঝিল থানায় রিয়া মনি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি হিরো আলম ও বাদী রিয়া মনির মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। এরপর হিরো আলম বাদীকে তালাক দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেন। গত ২১ জুন বাদীর পরিবারের সঙ্গে মীমাংসার কথা বলে হাতিরঝিল থানাধীন এলাকায় একটি বাসায় ডাকা হয়। ওই সময়ে হিরো আলমসহ ১০ থেকে ১২ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বাদী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। পরে তাঁরা বাদীর বর্তমান বাসায় বেআইনিভাবে প্রবেশ করে কাঠের লাঠি দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করেন। এতে বাদীর শরীরে জখম হয়। এ সময় তাঁর গলায় থাকা দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণের হার চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুনরিয়া মনির মামলায় হিরো আলম গ্রেপ্তার২ ঘণ্টা আগে