আদালত প্রাঙ্গণে আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক ও মাদক বহনে নিষেধাজ্ঞা
Published: 15th, August 2025 GMT
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালসহ দেশের সব অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনাল চত্বরে আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য ও মাদকদ্রব্যসহ অবৈধ বস্তু বহনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এ নির্দেশ লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন ও অন্যান্য প্রযোজ্য আইনের আওতায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আইনজীবী, আইনজীবী সহকারী, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং বিচারপ্রার্থীদের এ বিষয়ে সচেতন থাকার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের আদেশ অনুসারে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমেদ ভূঞার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার নির্দেশনার বিষয়টি জানা গেছে। বিজ্ঞপ্তিটি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ করা যাচ্ছে, সুপ্রিম কোর্টে আসা কিছু বিচারপ্রার্থী, মামলা–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা কোর্ট প্রাঙ্গণে আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য ও মাদকদ্রব্যসহ অবৈধ বস্তু বহন করছেন, যা আদালতের নিরাপত্তা, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং বিচারকার্য পরিচালনায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এতে বিচারপতি, আইনজীবী, কর্মকর্তা–কর্মচারীসহ বিচারপ্রার্থীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছাড়া বৈধ লাইসেন্সধারী হলেও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালসহ দেশের অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনাল চত্বরে আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য ও মাদক দ্রব্যসহ অবৈধ বস্তু বহনে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হলো। এই নির্দেশ লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন ও অন্যান্য প্রযোজ্য আইনের আওতায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তির শুরুতে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্ট দেশের বিচার অঙ্গনের সর্বোচ্চ স্থান এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হিসেবে বিবেচিত। দেশের প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিরা সুপ্রিম কোর্টে বিচারকার্য পরিচালনা করে থাকেন। ফলে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, মামলা পরিচালনায় নিযুক্ত আইনজীবীসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ জরুরি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আগ ন য় স ত র ব স ফ রক প র ঙ গণ ব চ রপত আইনজ ব দ রব য
এছাড়াও পড়ুন:
ভাইকে বাঁচাতে বান্ধবীকে ফাঁসানোর অভিযোগ
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ঘুমন্ত অবস্থায় বান্ধবীর ছবি তুলেছিলেন ভাই। বিষয়টি নিয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানালে ভাইকে বাঁচাতে উল্টো বান্ধবীর নামে মিথ্যা চুরির মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে তানিয়া হক নামের এক নারীর বিরুদ্ধে।
এছাড়াও চুরির ঘটনার কোনো তদন্ত ছাড়াই মামলা নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাবনা জেলা জজকোর্টের সামনে গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন ভুক্তভোগী নারী ইফফাত মোকাররমার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রাসেল।
পাবনা সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আখতারুজ্জামানের আদালত ভুক্তভোগী নারী ইফফাত মোকাররমা সানিমুনকে জামিন দিয়েছেন।
অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রাসেল বলেন, “আমার মক্কেল ইফফাত মোকাররমা দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতায় পেশায় নিয়োজিত। তিনি একজন সম্মানিত লোক। মামলার বাদীর সঙ্গে তার দীর্ঘদিন বন্ধুত্বের সম্পর্ক। সেই সম্পর্কের কারণে তার বান্ধবীর বাসায় গিয়েছিলেন এবং একসঙ্গে ঘোরাঘুরির পর যখন রাত্রীযাপন করছিলেন সেই সময়ে বাদীর ভাই ইফফাত মোকাররমার ছবি তুলেছিলেন। বিষয়টি টের পেয়ে তিনি তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানান এবং ছবিগুলো দেখানোর জন্য অনুরোধ করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরেরদিন সকালে আইনী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলে ইফফাত মোকাররমা ঢাকায় চলে যান এবং সেখানে জিডি করেন। কিন্তু এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে উল্টো ইফফাত মোকাররমার বিরুদ্ধে মিথ্যা চুরির মামলা দায়ের করেন তার বান্ধবী।”
তিনি আরো বলেন, “বাদী তানিয়া হক উল্লেখ করেছেন ২৬ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার চুরি হয়েছে যা তিনি তার শরীরে পড়ে তার বান্ধবীর সঙ্গে ঘুড়ে বেড়িয়েছিলেন। কিন্তু ওইদিনের ঘোরাঘুরির ছবিতে তার শরীরে কোনো স্বর্ণালঙ্কার ছিল না। এছাড়াও ঘটনার দুইদিনের মাথায় যেভাবে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে তাতে বোঝা যায় কোনো তদন্ত ছাড়াই থানা কোনো পক্ষ থেকে প্রভাবিত হয়ে মামলা গ্রহণ করেছেন।”
ভুক্তভোগী নারী ইফফাত মোকাররমা বলেন, “এই মামলার নূন্যতম প্রমাণ নেই। আমি যে একজন শিক্ষক হিসেবে আমার ছাত্রদের সামনে দাঁড়াবো সেই অবস্থাও তারা আমাকে রাখেনি। আমার সন্তানসহ পুরো পরিবার সামাজিকভাবে হেয় পতিপন্ন হচ্ছে। আমি চাই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”
এ বিষয়ে মামলার বাদীর তানিয়া হকের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করে ফোন রিসিভ না করায় মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, “উনি (আইনজীবী) উনার মক্কেলের জন্য এসব কথা বলতেই পারেন। উনার মক্কেলকে সুবিধা দেওয়ার জন্য এসব অভিযোগ করেছেন। কিন্তু ঘটনার তদন্ত করে এবং আইনানুগভাবেই মামলা দায়ের হয়েছে, যা এখনও তদন্ত চলছে।”
ঢাকা/শাহীন/এস