খ্যাতিমান অস্ট্রেলীয় সাংবাদিক অ্যান্টনি লোয়েনস্টাইনের বিশ্বজুড়ে আলোচিত বই দ্য প্যালেস্টাইন ল্যাবরেটরি এবার আসছে বাংলা ভাষায়। আগামী ২৫ অক্টোবর অ্যানভিল পাবলিকেশনস বইটির বাংলা সংস্করণ প্রকাশ করবে। 

বইটির অনুবাদ করেছেন বাধন অধিকারী, সাঈদ হাসান, তাসনিয়া ইসলাম, মুস্তাকিম বিল্লাহ মাসুম এবং জাহিদুল ইসলাম জন। ইতোমধ্যে বহু ভাষায় অনূদিত হয়েছে বইটি। বিশ্বে বেস্টসেলার বইটি এবার বাংলা ভাষার পাঠকদের হাতে পৌঁছাবে একটি নির্ভরযোগ্য ও স্বত্বাধিকার-সংরক্ষিত সংস্করণে।

বাংলা সংস্করণের জন্য আনভিল পাবলিকেশনস বইটির প্রকাশনা সংস্থা জাইটগাইস্ট এজেন্সির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করেছে। বইটির নির্ধারিত মূল্য রাখা হয়েছে ৫০০ টাকা। তবে প্রি-অর্ডারে ৩০ শতাংশ ছাড়ে মাত্র ৩৫০ টাকায় পাওয়া যাবে বইটি। ১ সেপ্টেম্বর থেকে প্রি-অর্ডার শুরু হবে।

আরো পড়ুন:

খালেকের বই বিক্রির ৬০ বছর

‘কাঁচামিঠে ফলের ছড়া’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

দ্য প্যালেস্টাইন ল্যাবরেটরি বইটিতে লোয়েনস্টাইন দেখিয়েছেন, কীভাবে ইসরায়েল দশকের পর দশক ধরে অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডকে নজরদারি ও সামরিক প্রযুক্তির পরীক্ষাগার হিসেবে ব্যবহার করেছে। বইটিকে বলা যায় একটি বৈশ্বিক তদন্ত প্রতিবেদন, যেখানে উন্মোচিত গোপন নথি, সাক্ষাৎকার আর সরেজমিন প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে লেখক দেখিয়েছেন, ২১ শতকে ক্রমবর্ধমান গোষ্ঠী-জাতীয়তাবাদের (এথনো ন্যাশনালিজম) পরিসরে কীভাবে ইসরায়েল একইসঙ্গে স্বৈরাচার ও সাম্রাজ্যবাদীদের দখলদারি ও নিয়ন্ত্রণের বন্দোবস্ত পাকাপোক্ত করার প্রযুক্তি সরবরাহ করছে। 

নজরদারি পুঁজিবাদের এই নয়া দখলদারিত্বের জামানায় গুপ্তচরবৃত্তির প্রযুক্তি সরবরাহের বিনিময়ে ইসরায়েল কীভাবে দুনিয়াজুড়ে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের কূটনীতি জারি রেখেছে; সেটি এই বইয়ে বলা হয়েছে। সেই অর্থে জায়নবাদের বৈশ্বিক বিস্তৃতিরও ইশারা পাওয়া যায় বইটিতে।

আনভিল পাবলিকেশনসের স্বত্বাধিকারী ও বইটির অনুবাদক বাধন অধিকারী বলেন, “বাংলাদেশের বিরাজমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় নজরদারি ও দমন-পীড়নমুক্ত স্বাধীন নাগরিক পরিসর এবং ইন্টারনেট দুনিয়ার প্রশ্নকে বুঝতে গেলে ‘ফিলিস্তিন ল্যাবরেটরি’ প্রকল্পকে বুঝে নেওয়ার বিকল্প নেই। প্রায় এক বছর ধরে আমরা এই প্রকল্পে সর্বোচ্চ নিষ্ঠা নিয়ে কাজ করেছি। আমাদের লক্ষ্য ছিল অনুবাদটিকে যতটা সম্ভব সহজ, প্রাঞ্জল ও মূল বইয়ের প্রতি বিশ্বস্ত রাখা। পাঠকের সঙ্গে যদি এই বইয়ের সংযোগ ঘটে, সেটিই হবে আমাদের সবচেয়ে বড় সাফল্য।”

প্রি-অর্ডারের বিস্তারিত:
প্রি-অর্ডার শুরু: ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রি-অর্ডারের জন্য ভিজিট করুন: আনভিল পাবলিকেশনসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ
প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২৫
মূল্য: ৫০০ টাকা (প্রি-অর্ডারে ৩০% ছাড়ে ৩৫০ টাকা)

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বই ইসর য় ল অর ড র স ট ইন বইট র

এছাড়াও পড়ুন:

থাইল্যান্ডে চালের দাম ১৫ বছরে সর্বনিম্ন, বিশ্ববাজারে এ বছর কমেছে ১৪%

এশিয়াসহ বিশ্বের চালের বাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এশিয়ায় চালের অন্যতম বৃহৎ সরবরাহকারী থাইল্যান্ডে চালের দাম ১৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। মূলত বাজারে চালের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

থাইল্যান্ডসহ চালের অন্যান্য বড় উৎপাদনকারী দেশ ভারত ও মিয়ানমারে উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় বিশ্ববাজারেও চালের দাম কমছে। বিশ্ব খাদ্য সংস্থার খাদ্যসূচক অনুযায়ী, চলতি বছর চালের দাম কমেছে ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। এমনকি বিশ্ববাজার চালের দাম আগস্ট মাসে আট বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে। খবর দ্য নেশনের

থাইল্যান্ডে চালের দামের এই নিম্নমুখী প্রবণতা একদম নতুন কিছু নয়, বেশ কয়েক মাস ধরেই এ প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে দেশটির কৃষিবিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দীর্ঘ সময় ধরে চালের দাম কম থাকায় দেশটির কৃষকেরা ধানের আবাদ কমিয়ে দিতে পারেন।

থাইল্যান্ডে গত বৃহস্পতিবার ৫ শতাংশ খুদযুক্ত চালের দাম দাঁড়ায় টনপ্রতি ৩৩৫ ডলার। আগের সপ্তাহে যা ছিল ৩৩৮ ডলার। থাইল্যান্ডের কৃষি খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গত ১৪ বছরে থাই সরকারের জনতুষ্টিমূলক নীতির কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সরকার কৃষকদের সন্তুষ্ট করতে বিভিন্ন ধরনের নিশ্চয়তা দিয়েছে। এসব কর্মসূচিতে প্রায় ৪০ বিালিয়ন বা ৪ হাজার কোটি ডলার ব্যয় হলেও একধরনের নীতিগত ফাঁদ তৈরি হয়েছে। ফলে কৃষকেরা প্রযুক্তি উন্নয়ন, দক্ষতা বাড়ানো কিংবা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার সঙ্গে খাপ খাওয়ানো থেকে নিরুৎসাহিত হয়েছেন।

সেই সঙ্গে থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা জানান, বর্ষা মৌসুমের শেষ দিকে বাজারে নতুন চালের সরবরাহ এসেছে। এটাও দাম কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। অন্যদিকে ভারত ও মিয়ানমারের মতো প্রতিযোগী দেশগুলো চালের গুণগত মানের উন্নতি করেছে। আধুনিকতা এনেছে উৎপাদনব্যবস্থায়। ফলে তারা কম খরচে ভালো মানের চাল রপ্তানি করতে পারছে। কিন্তু থাইল্যান্ড এখনো ভর্তুকিনির্ভর ব্যবস্থায় আটকে আছে। এ পরিস্থিতিতে দেশটির কৃষকেরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

এফএওর সূচক কমেছে

প্রতি মাসেই খাদ্যমূল্যসূচক করে থাকে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। তাতে দেখা যাচ্ছে, চলতি বছর বিশ্ববাজারে চালের দাম কেমেছে ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। গত অক্টোবর মাসে চালের মূল্যসূচক নেমে এসেছে ৯৮ দশমিক ৪–এ। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তা ছিল ১১৩ দশমিক ৬। সেই সঙ্গে ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে চালের মূল্যসূচক ছিল ১২৫ দশমিক ৭। সেই হিসাবে এক বছরে চালের দাম কমেছে ২১ দশমিক ৭ শতাংশ।

চালের দামের এই পতন শুরু হয় ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ চাল রপ্তানিকারক দেশ ভারত ধাপে ধাপে রপ্তানি–নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে শুরু করে তখন। এ ঘটনা চালের বাজারে বড় প্রভাব ফেলে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এ বছর সব ধরনের চালের মূল্যসূচক ১৩ শতাংশ কমেছে। খবর ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের

অথচ ২০২৪ সালের শুরুতে এর উল্টো চিত্র দেখা গেছে। তখন ভারত একের পর এক রপ্তানি সীমাবদ্ধতা জারি করলে ২০০৮ সালের পর চালের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। বিশ্বজুড়ে ভোক্তাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। মানুষের মধ্যে মজুতের প্রবণতা তৈরি হয়। অন্যান্য উৎপাদক দেশেও সুরক্ষাবাদী পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এর পর থেকে চালের দাম কমতে শুরু করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের দাবিতে আশুগঞ্জ সার কারখানায় সমাবেশ 
  • সরবরাহ বাড়ছে শীতের আগাম ফুলকপি ও বাঁধাকপির, কমছে দাম
  • গ্রিস থেকে গ্যাস আমদানিতে সম্মত ইউক্রেন: জেলেনস্কি
  • থাইল্যান্ডে চালের দাম ১৫ বছরে সর্বনিম্ন, বিশ্ববাজারে এ বছর কমেছে ১৪%
  • ইউক্রেনের হামলা: নভোরো-সিয়েস্ক বন্দরের তেল রপ্তানি বন্ধ করল রাশিয়া
  • চাঁদাবাজি বন্ধে সরকারকে কঠোর হতে হবে
  • জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলার বরাদ্দ অর্থের বেশিরভাগ পাচ্ছে উষ্ণায়নে দায়ী দেশগুলো