শরীয়তপুরে মুখোশ পরে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী পালন, ছাত্রলীগের ৬ কর্মী আটক
Published: 15th, August 2025 GMT
রাতের আঁধারে শরীয়তপুরের অন্তত তিনটি স্থানে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মুখোশ পরে কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী এই কর্মসূচি পালন করেন।
এ ঘটনায় সদর উপজেলার ডোমসা ও জাজিরার বিলাসপুর এলাকায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে আটক করেছে। ডোমসার থেকে আটক ব্যক্তিরা হলেন কাউসার ফকির (২৮), মামুন খান (২৬) ,আবদুল মান্নান বেপারী (২৩) ও মুন্না খান (২৫)। বিলাসপুর থেকে আটক ব্যক্তিরা হলেন শামীম মাদবর (২৮) ও আসাদ মুন্সি (১৮)।
ছাত্রলীগের অফিশিয়াল ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ ‘বাংলাদেশ স্টুডেন্টস লীগ’–এ মৃত্যুবার্ষিকী পালনের ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবির সামনে মোমবাতি জ্বালিয়ে দোয়া ও প্রার্থনা করছেন। তাঁরা বঙ্গবন্ধু ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম উল্লেখ করে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।
স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা জানান, গত বছর ১৫ আগস্ট জাজিরায় সর্বশেষ প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর থেকে রাতের আঁধারে বিভিন্ন স্থানে মশালমিছিল, পোস্টার টাঙানো ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী কর্মকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাইনুল ইসলাম বলেন, বিলাসপুরের মুন্সিকান্দি এলাকায় রাত ১২টা থেকে ১টার মধ্যে কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী একত্র হয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে স্লোগান দেন। পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করেছে, অন্যরা পালিয়ে গেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে মামলা করা হবে।
শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের নামে কিছু লোক মুখোশ পরে বিভিন্ন স্লোগান দিয়েছেন। ভিডিও দেখে তাঁদের শনাক্ত করা হচ্ছে এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়
ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।
পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।
ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার।
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি এখন সারানো হয়েছে।
ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।
ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।
ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে। পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’
ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’
ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।
আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে