ছয় মাসে ২৪৮ কোটি টাকার বিমা দাবি নিষ্পত্তি করল গার্ডিয়ান
Published: 15th, August 2025 GMT
চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) ২৪৮ কোটি ৮১ লাখ টাকার বিমা দাবি নিষ্পত্তি করেছে গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। এর মধ্যে মৃত্যু দাবি হিসেবে পরিশোধ করা হয়েছে ১৩৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা, স্বাস্থ্য দাবিতে ৯৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা এবং পলিসি মেয়াদপূর্তি ও অন্যান্য দাবিতে ১৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
দ্রুততম সময়ে দাবি নিষ্পত্তির প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি ৯৫ শতাংশ দাবি মাত্র তিন কর্মদিবসে নিষ্পত্তি করছে। দাবি নিষ্পত্তিতে এই ধারাবাহিকতা দেশের ইন্স্যুরেন্স খাতে গার্ডিয়ানের অবস্থান আরো সুদৃঢ় করেছে।
বর্তমানে দেশের প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ গার্ডিয়ান এর ইন্স্যুরেন্স সুরক্ষা উপভোগ করছেন। এর মধ্যে রয়েছে পাঁচ শ’র বেশি দেশি ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের কর্মী। গ্রাহকদের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিদেশি দূতাবাস, বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান, এনজিও, ব্যবসায়ী গোষ্ঠী, বায়িং হাউস এবং তৈরি পোশাক খাতের প্রতিষ্ঠানসহ আরো অন্যান্য।
দেশজুড়ে পাঁচশ’র বেশি হাসপাতালের সাথে গার্ডিয়ানের অংশীদারিত্ব রয়েছে। এর মাধ্যমে গ্রাহকেরা দ্রুত চিকিৎসা ও দাবি নিষ্পত্তির সুবিধা পান। এছাড়াও, ১৬৬২২ নম্বরে প্রতিষ্ঠানটির ২৪ ঘণ্টা গ্রাহক সেবা চালু আছে, যাতে পলিসিধারীরা যেকোনো সময় প্রয়োজন অনুযায়ী সহায়তা লাভ করেন।
এ বিষয়ে গার্ডিয়ানের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ রকিবুল করিম, এফসিএ বলেন, “দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য দাবি নিষ্পত্তি আমাদের গ্রাহকদের প্রতি অঙ্গীকারেরই প্রমাণ। এটি তাদের আস্থা বাড়াবে এবং গার্ডিয়ানের প্রতি বিশ্বাস আরো দৃঢ় করবে।”
তিনি আরো বলেন, “গার্ডিয়ানে আমরা এমন একটি ব্যবস্থা গড়ে তুলেছি, যা দাবি নিষ্পত্তি প্রক্রিয়াকে আরো স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক করেছে। শক্তিশালী পরিচালন ব্যবস্থার মাধ্যমে আমরা তিন দিনের মধ্যেই বিমা দাবি নিষ্পত্তি করছি, যাতে তারা প্রয়োজনের সময় দ্রুত আর্থিক সহায়তা পান।”
গার্ডিয়ান ইনস্যুরটেক, মাইক্রোইনস্যুরেন্স ও ব্যাংকাস্যুরেন্সের মতো খাতগুলোতে উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের ইন্স্যুরেন্স খাতকে আরো গতিশীল ও প্রযুক্তিনির্ভর করে তুলছে। কোটি মানুষের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক, সহজপ্রাপ্য ও আধুনিক ইন্স্যুরেন্স সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠানটি অঙ্গীকারবদ্ধ।
ঢাকা/এসবি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইন স য র ন স ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
এআই নিয়ে টার্মিনেটর সিনেমার পরিচালক জেমস ক্যামেরনের সতর্কবার্তা
১৯৮৪ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দ্য টার্মিনেটর’ সিনেমা দেখেছেন অনেকেই। জেমস ক্যামেরনের চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় সেই সিনেমায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির স্কাইনেট নামের একটি কাল্পনিক এআইয়ের সন্ধান পাওয়া যায়, যেটি পুরো মানবজাতির অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছিল। কাল্পনিক সেই এআইয়ের স্রষ্টা জেমস ক্যামেরন এবার বাস্তবের আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র, বিশেষ করে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবস্থায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারের ঝুঁকি নিয়ে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তার আশঙ্কা, এআই প্রযুক্তি লাগামহীনভাবে সামরিক প্রযুক্তিতে যুক্ত হলে মানবসভ্যতা টার্মিনেটরের মতো সর্বনাশের মুখে পড়তে পারে।
রোলিং স্টোন সাময়িকীকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্যামেরন জানান, সামরিক ক্ষেত্রে এআইয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণের গতি মানুষের সক্ষমতাকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে মানুষের নিয়ন্ত্রণ থাকা সত্ত্বেও বিপর্যয় ঠেকানো সম্ভব নাও হতে পারে। মানবজাতি এখন একসঙ্গে তিনটি বড় সংকটের মুখে। এগুলো হলো জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ ধ্বংস, পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার এবং অতিবুদ্ধিমান এআই। এই তিনটি সংকট একই সময়ে তীব্র আকার ধারণ করছে, যা মানব ইতিহাসে আগে কখনো ঘটেনি।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরিপে দেখা গেছে, এআই পারমাণবিক বিপর্যয়ের সমতুল্য দুর্যোগ ঘটাতে পারে বলে মনে করেন ৩৬ শতাংশ এআই গবেষক। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সম্মেলনে বিশেষজ্ঞেরা সতর্ক করে বলেছেন, খুব শিগগির এআই ও পারমাণবিক অস্ত্রের সমন্বয় প্রায় অনিবার্য হয়ে উঠতে পারে।
যুদ্ধাস্ত্রে এআই ব্যবহারের বিরোধিতা করলেও চলচ্চিত্র নির্মাণে এর সীমিত ও পরিকল্পিত ব্যবহারকে সমর্থন করেন ক্যামেরন। তার মতে, ভিজ্যুয়াল ইফেক্টের ক্ষেত্রে এআই ব্যয় প্রায় অর্ধেক কমিয়ে দিতে পারে। এআই সৃজনশীল প্রক্রিয়ার গতি বাড়ালেও চিত্রনাট্যকার বা অভিনেতার জায়গা নিতে পারবে না।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া