মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে আজ শুক্রবার আলাস্কায় হতে যাওয়া বৈঠকটির দিকে যে শুধু ইউক্রেন ও ইউরোপীয় দেশগুলোই তাকিয়ে আছে, তা নয়। বৈঠকের জায়গা থেকে ১০ হাজার কিলোমিটার দূরে ভারতের নয়াদিল্লিতেও এ নিয়ে বেশ কৌতূহল আছে।

স্নায়ুযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে রাশিয়ার সঙ্গে ঐতিহাসিকভাবে শক্তপোক্ত সম্পর্ক বজায় রেখেছে ভারত। পাশাপাশি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ এবং বারাক ওবামার শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও সম্পর্ক ক্রমাগত মজবুত করেছে তারা। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদ এবং জো বাইডেনের মেয়াদকালেও সে ধারা বজায় থাকতে দেখা গেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখার মূল কারণ হলো চীনের বিরুদ্ধে নয়াদিল্লিকে নিজেদের ছায়াশক্তি হিসেবে ব্যবহার করা। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের অর্থনৈতিক, সামরিক ও কৌশলগত শক্তি বেড়ে যাওয়ায় এমনটা পদক্ষেপ নেয় তারা।

সোভিয়েত ইউনিয়নে কমিউনিজম শেষ হওয়ার পর কৌশলগত বড় প্রতিদ্বন্দ্বী চীনকে সামাল দিতে যুক্তরাষ্ট্র এশিয়ার দিকে মনোযোগ বৃদ্ধি করে। এর জন্য তারা গণতান্ত্রিক দেশ ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়াকে সঙ্গে নিয়ে কোয়াড জোট গঠন করে।

ওবামা এক দশক আগে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্কের বিষয়ে বলেছিলেন, ‘সেরা সহযোগী।’

তবে এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। ট্রাম্প ভারতের কিছু পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করেছেন। যেসব দেশের পণ্যে ট্রাম্প সবচেয়ে বেশি শুল্ক আরোপ করেছেন, তার একটি ভারত। ৫০ শতাংশ শুল্কের মধ্যে অর্ধেকই আরোপ করা হয়েছে ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালে রাশিয়া থেকে তেল কেনার ‘জরিমানা’ হিসেবে।

অথচ বিশ্বে অপরিশোধিত তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে একসময় বাইডেন প্রশাসনই ভারতকে রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনতে উৎসাহিত করেছে।

এদিকে চীন রাশিয়ার কাছ থেকে ভারতের চেয়ে বেশি তেল কেনে। অথচ দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্ক থেকে সাময়িকভাবে রেহাই পেয়েছে। নয়াদিল্লির সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করছে ওয়াশিংটন।

ট্রাম্প চীনের প্রতি এক রকম আর ভারতের প্রতি অন্য রকম আচরণ দেখানোর কারণে প্রশ্ন উঠেছে, যুক্তরাষ্ট্র এশিয়া অঞ্চলে কৌশল বদলাচ্ছে কি না।

২০০০-এর দশকের শুরু থেকে নয়াদিল্লিতে যত সরকার এসেছে, তাদের সবাইকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখতে দেখা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও প্রযুক্তি খাতে কৌশলগত সহযোগী হয়ে উঠছিল ভারত। ট্রাম্প এ সম্পর্ককে ব্যক্তিগত পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। মোদির সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।

ট্রাম্প ভারতের কিছু পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করেছেন। যেসব দেশের পণ্যে ট্রাম্প সবচেয়ে বেশি শুল্ক আরোপ করেছেন, তার একটি ভারত। ৫০ শতাংশ শুল্কের মধ্যে অর্ধেকই আরোপ করা হয়েছে ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালে রাশিয়া থেকে তেল কেনার শাস্তি হিসেবে। অথচ বিশ্বে অপরিশোধিত তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে একসময় বাইডেন প্রশাসনই ভারতকে রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনতে উৎসাহিত করেছে।

ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে তিনি দুটি সমাবেশে মোদির সঙ্গে এক মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের কয়েকবারই একে অপরকে আন্তরিকভাবে জড়িয়ে ধরতে দেখা গেছে। তাঁরা একে অপরকে বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। তবু ট্রাম্পের উচ্চ শুল্ক থেকে নয়াদিল্লি রক্ষা পায়নি। ট্রাম্প ভারতের পণ্যের ওপর যে শুল্ক আরোপ করেছেন, তা ব্রাজিলের শুল্কের সমতুল্য।

কার্নেগি এনডোমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিসের দক্ষিণ এশিয়া–বিষয়ক কর্মসূচির পরিচালক মিলান বৈষ্ণব বলেন, শুল্কজনিত পদক্ষেপগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের কয়েক দশকের সম্পর্কের মধ্যে সবচেয়ে বড় চিড় ধরিয়েছে।

ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের হুমকি দেওয়ার পর কয়েক মাস ধরে নয়াদিল্লি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে শান্ত করার চেষ্টা করেছিল। তারা বাক্‌যুদ্ধে জড়াতে চাইছিল না।

তবে এখন পরিস্থিতি বদলেছে। ভারত অভিযোগ করেছে, যুক্তরাষ্ট্র দ্বিমুখী আচরণ করছে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র নিজেই এখনো রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য করছে এবং আগে তারাই চেয়েছিল, ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে অপরিশোধিত তেল কিনুক।

আল-জাজিরাকে বৈষ্ণব বলেন, একটা বিষয় পরিষ্কার: সাম্প্রতিক দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আস্থা অনেক কমে গেছে, যা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ওপর দীর্ঘ ছায়া ফেলেছে।

ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক প্রাভীন দোন্থির মতে, মোদি ও ট্রাম্পের ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের কারণে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ওপর প্রভাব পড়েছে।

এর আগেও রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের কারণে ভারত মার্কিন নিষেধাজ্ঞার হুমকিতে পড়েছিল। ভারত মস্কো থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কেনার পর এ হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তবে ২০২২ সালে প্রস্তাবিত সেই নিষেধাজ্ঞা থেকে ভারতকে ছাড় দেয় বাইডেন প্রশাসন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (ডানে) ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র র নয় দ ল ল ভ রতক

এছাড়াও পড়ুন:

নিভৃতচারী কৃষকের আর্তনাদ কি আমরা শুনছি

কৃষি এবং কৃষকই এ দেশের প্রাণ—এই ধ্রুব সত্যটি নিয়ে সংশয় নেই। কিন্তু বেদনাদায়ক বাস্তবতা হলো, মধ্যস্বত্বভোগী ও কপট ব্যবসায়ীদের কারণে কৃষকের স্বার্থ বরাবরই উপেক্ষিত। নীতিনির্ধারক ও মূলধারার রাজনীতিবিদদের নীরবতা এবং কৃষকের সমস্যা নিয়ে সম্প্রতি জনগুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যকে ‘ট্রল’ করার মতো দুর্ভাগ্যজনক প্রবণতা আমাদের জাতীয় সংবেদনশীলতার অভাবকেই প্রকটভাবে তুলে ধরে।

করোনাকালীন ভয়াবহ সংকটে কৃষি যেভাবে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করে অর্থনীতিকে রক্ষা করেছে, তা আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত হবে না। অথচ এত কমিশন গঠিত হলেও, কৃষি কমিশন গঠন করা হয়নি। এর মূল কারণ সম্ভবত নিভৃতে কাজ করে যাওয়া কৃষক বা কৃষিশ্রমিকের মূল্য এই সমাজে অনেক সস্তা।

বর্তমানে কৃষি খাত নিয়ে যত আলোচনা—তা সবই যেন নিরাপদ কৃষি, বাণিজ্যিক কৃষি, কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ, ভ্যালু চেইন ও উৎপাদন বৃদ্ধিকেন্দ্রিক। প্রধান স্টেকহোল্ডার কৃষক ও তাঁর জীবন-জীবিকার স্বার্থ প্রায়শই থেকে যাচ্ছে অন্তরালে। অন্যান্য পেশাজীবীর মতো কৃষকের কোনো সক্রিয় সংগঠন নেই। চাষাবাদ ফেলে ঢাকা শহরে দাবি আদায়ের আন্দোলনে নামাও তাঁদের পক্ষে অসম্ভব, কারণ তাতে তাঁদের পেটে ভাত জুটবে না।

অথচ কৃষকেরা শুধু অর্থনৈতিকভাবেই নয়, শারীরিকভাবেও চরম ঝুঁকির মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ক্যানসারে আক্রান্ত পুরুষ রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পেশায় কৃষক! মাস্ক, গ্লাভস বা রাবারের জুতা চোখে না দেখা, ছেঁড়া গামছা মুখে পেঁচিয়ে বিষাক্ত কীটনাশক স্প্রে করা ভূমিহীন মানুষটা আমাদের কাছে হয়তো ‘কৃষিশ্রমিক’, ‘কৃষক’ নন; কিন্তু খাদ্য উৎপাদনচক্রে তাঁর অবদান সবচেয়ে মৌলিক এবং তাঁর স্বাস্থ্যঝুঁকিও সবচেয়ে বেশি।

সমাজের চোখে ‘কৃষক’ বলতে যখন বিঘার পর বিঘা জমির মালিক, শিক্ষিত বাণিজ্যিক উদ্যোক্তাদের বোঝানো হচ্ছে, তখন প্রান্তিক, নিরক্ষর মানুষগুলোর অস্তিত্ব ও সংগ্রাম প্রায় অস্বীকৃত থেকে যাচ্ছে।

আবার কৃষক ও কৃষির সমস্যা শুধু অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্যগত নয়, এর শিকড় প্রোথিত আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাতেও। বিশেষ করে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। বাণিজ্যিক কৃষিকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে আমাদের শিক্ষায় কৃষির নৃতাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক দিকগুলো প্রায় উপেক্ষিত।

কৃষকের নিবিড় জীবন ও সংস্কৃতি সম্পর্কে আমাদের নতুন প্রজন্ম প্রায়শই অন্ধকারে থাকছে। গান গাইতে গাইতে ধান কাটা, ধান লাগানো বা নবান্ন উৎসব—এসব প্রথা ও রীতিনীতি কেবল সংস্কৃতি নয়, কৃষকের জীবনের আনন্দ, দুঃখ ও শ্রমের প্রকাশ। পাঠ্যক্রমে এসবের অনুপস্থিতি কৃষি ও কৃষক সম্পর্কে নাগরিকসচেতনতা বৃদ্ধির পথে এক বড় বাধা।

আমাদের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কৃষির উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ নিয়ে তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো আলোচনা বা গবেষণা নেই। কীভাবে নারীর হাত দিয়ে কৃষির সূচনা হয়েছিল—ফসলের বীজ সংগ্রহ, সংরক্ষণ, বপন ও পরিচর্যার প্রথম ধাপগুলোয় নারীর যে ঐতিহাসিক ভূমিকা ছিল, সেই গুরুত্বপূর্ণ নৃতাত্ত্বিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক দিকগুলো পড়ানো হয় না বললেই চলে।

বাংলার কৃষিকাজে লোকায়ত জ্ঞানের অন্যতম ধারক খনার বচন প্রাসঙ্গিক হলেও আবহাওয়া, ফসল রোপণের সময়, মাটির গুণাগুণ–সম্পর্কিত হাজার বছরের পরীক্ষিত প্রথাগত প্রজ্ঞা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাঠ্যক্রমে স্থান পায় না। এর বদলে শুধু স্থান পায় আধুনিক প্রযুক্তি ও বাণিজ্যিকীকরণের তত্ত্ব।

ধান লাগানো থেকে শুরু করে প্রক্রিয়াকরণ, বীজ সংরক্ষণ, ফসল মাড়াই ও ঝাড়াইয়ের মতো অনেক ধাপে নারীর সরাসরি অংশগ্রহণ বাংলাদেশের কৃষিতে অপরিহার্য অনুষঙ্গ। বিভিন্ন গবেষণায় এই সত্য বারবার প্রমাণিত হয়েছে। অথচ এই বিশাল শ্রমশক্তি ও তাঁদের সমস্যা নিয়ে মূলধারার একাডেমিক আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় না। যদিও সস্তা শ্রম আর অধিকার বঞ্চনার মতো প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও কৃষিতে নারীর উপস্থিতি বাড়ছে।

কৃষকের নিবিড় জীবন ও সংস্কৃতি সম্পর্কে আমাদের নতুন প্রজন্ম প্রায়শই অন্ধকারে থাকছে। গান গাইতে গাইতে ধান কাটা, ধান লাগানো বা নবান্ন উৎসব—এসব প্রথা ও রীতিনীতি কেবল সংস্কৃতি নয়, কৃষকের জীবনের আনন্দ, দুঃখ ও শ্রমের প্রকাশ। পাঠ্যক্রমে এসবের অনুপস্থিতি কৃষি ও কৃষক সম্পর্কে নাগরিকসচেতনতা বৃদ্ধির পথে এক বড় বাধা।

কৃষির এই বহুমুখী সংকট থেকে মুক্তি পেতে হলে শুধু যান্ত্রিকীকরণ আর উৎপাদন বৃদ্ধির দিকে নজর দিলেই চলবে না। প্রয়োজন সুদূরপ্রসারী নীতিগত পরিবর্তন।

যা করা যেতে পারে:

ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণ: সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ফসল কেনার সরকারি উদ্যোগকে আরও বিস্তৃত ও মধ্যস্বত্বভোগীর দৌরাত্ম্য কমাতে শক্তিশালী ‘ভ্যালু চেইন’ ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা।

স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ: প্রান্তিক কৃষক ও কৃষিশ্রমিকদের জন্য বিনা মূল্যে মানসম্পন্ন কীটনাশকপ্রতিরোধী মাস্ক, গ্লাভস এবং সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম সরবরাহ করা।

শিক্ষায় কৃষির সাংস্কৃতিক পাঠ অন্তর্ভুক্তিকরণ: উচ্চশিক্ষা ও স্কুল পর্যায়ের পাঠ্যক্রমে কৃষির উৎপত্তি, নৃতত্ত্ব, নারীর ভূমিকা, লোকায়ত জ্ঞান (যেমন খনার বচন) এবং কৃষকের জীবন ও সংস্কৃতিকে অন্তর্ভুক্ত করে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

কৃষিশ্রমিকের স্বীকৃতি: নারীর কৃষিভিত্তিক শ্রমের স্বীকৃতি প্রদান করা। কৃষিশ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা বেষ্টনী ও স্বাস্থ্যবিমার ব্যবস্থা করা। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলায় আলাদা বরাদ্দ রাখা।

সর্বোপরি নীতিগত সদিচ্ছা এবং কৃষকের ন্যায্য অধিকার ও স্বাস্থ্য সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ বৃদ্ধিই পারে আমাদের খাদ্যনিরাপত্তার মূল ভিত্তি—নিভৃতচারী কৃষককে তাঁর প্রাপ্য সম্মান ও স্বীকৃতি দিতে। কৃষি ও কৃষক সম্পর্কে প্রত্যেক নাগরিকের সচেতনতা বৃদ্ধি এখন সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দাবি।

মো. জুবায়ের ইবনে কামাল অফিসার, জনতা ব্যাংক পিএলসি। প্রাক্তন শিক্ষার্থী, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ