নিবন্ধন ছাড়া বিদেশি চিকিৎসকদের চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধে উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)। এ বিষয়ে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার বসুন্ধরাকে (আইসিসিবি) চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি।

সম্প্রতি নিবন্ধনহীন এক বিদেশি চিকিৎসক আইসিসিবিতে চিকিৎসা কার্যক্রম চালাচ্ছেন বলে খবর পায় বিএমডিসি। এরপরই আইসিসিবিকে দেওয়া চিঠিতে ওই চিকিৎসা কার্যক্রমের বুকিং বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।

শনিবার বিএমডিসির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ডা.

মো. লিয়াকত হোসেন চিঠিটি পাঠান। এতে আইসিসিবির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে উদ্দেশ করে বলা হয়, ২১ থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত ‘প্রশান্ত ফার্টিলিটি রিসার্চ সেন্টার’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসকের সেবা দেওয়ার কথা রয়েছে। এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত বিজ্ঞপ্তিতে স্থানীয় আয়োজকদের নাম ও পরিচয়ও উল্লেখ করা হয়নি।

চিঠিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ অনুযায়ী চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনার আগে বিদেশি চিকিৎসকদের সাময়িক নিবন্ধন গ্রহণ বাধ্যতামূলক। কিন্তু প্রশান্ত ফার্টিলিটি রিসার্চ সেন্টারের ওই চিকিৎসক বিএমডিসি থেকে কোনো সাময়িক নিবন্ধন নেননি। এটি আইন অনুযায়ী অবৈধ। তাই ওই চিকিৎসকের চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ করতে বুকিং বাতিল করা আবশ্যক।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আইস স ব ব এমড স চ ক ৎসক

এছাড়াও পড়ুন:

রোগীদের কেন নির্দিষ্ট কোম্পানির ওষুধ কিনতে বলা হবে, প্রশ্ন আইন উপদেষ্টার

রোগীদের কেন নির্দিষ্ট কোম্পানির ওষুধ কিনতে বলা হবে—এমন প্রশ্ন তুলেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। চিকিৎসকদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘পৃথিবীতে কোন জায়গায় হসপিটালে, প্রাইভেট ক্লিনিকে সব সময় ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধির জন্য নির্দিষ্ট টাইম থাকে ডাক্তারের।...আপনারা ওষুধ কোম্পানির দালাল? এ দেশে বড় বড় হসপিটালের ডাক্তাররা কি ওষুধ কোম্পানির মধ্যস্বত্বভোগী? কোন জায়গায় নামান আপনারা নিজেদের?’

আজ শনিবার সকালে রাজধানীর শহীদ আবু সাঈদ আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএইচসিডিওএ) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক ও বার্ষিক সাধারণ সভায় আইন উপদেষ্টা এ কথাগুলো বলেন।

সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন বিপিএইচসিডিওএর সভাপতি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বিশ্বাস ডাম্বেল।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইন উপদেষ্টা বলেন, চিকিৎসকদের বিষয়ে বেশ কিছু সাধারণ অভিযোগ তিনি প্রায়ই শোনেন, যার মধ্যে রয়েছে চিকিৎসকেরা ভালোভাবে রোগের কথা না শুনেই পরামর্শপত্র লেখেন এবং অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা দেন। তিনি বলেন, ‘এই অত্যাচার বন্ধ করেন। মানুষ অনেক গরিব। এখানে লোকজন খুব গরিব আছে। বড়লোকদের গলা কাটেন সমস্যা নাই। গরিব রোগীদের ১৪-১৫টি টেস্ট দেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ করান।’

সভায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান বলেন, ‘বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে অন্যায় মুনাফা করা বন্ধ করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘সরকারের পাশে বেসরকারি খাত না দাঁড়ালে স্বাস্থ্যসেবাকে পুনর্গঠন করা সম্ভব নয়।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চিকিৎসকদের নিয়ে আইন উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাল ড্যাব
  • অনর্থক স্বাস্থ্য পরীক্ষার অত্যাচার বন্ধ করুন: আসিফ নজরুল
  • রোগীদের কেন নির্দিষ্ট কোম্পানির ওষুধ কিনতে বলা হবে, প্রশ্ন আইন উপদেষ্টার