আন্তর্জাতিক শিশুকল্যাণ সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন তাদের ঢাকা অফিসে ম্যানেজার-প্রকিউরমেন্ট ও সাপ্লাই ম্যানেজমেন্ট (এইচআইভি/এডস) পদে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি এই পদে যোগদানের জন্য ন্যূনতম ছয় বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রার্থী খুঁজছে, যার মধ্যে কমপক্ষে তিন বছর ম্যানেজারিয়াল দায়িত্বে থাকতে হবে।

নিযুক্ত প্রার্থী দায়িত্ব পালন করবেন এইচআইভি/এডস প্রকল্পের সম্পূর্ণ প্রকিউরমেন্ট ব্যবস্থাপনার। তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী সরবরাহপ্রক্রিয়ার পরিকল্পনা, সমন্বয় এবং কার্যকর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন। এ ছাড়া সরবরাহকারী, সরকারি প্রতিষ্ঠান, এনজিও ও সহকারী সংস্থার (SR) সঙ্গে বিশ্বাসযোগ্য সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং সমন্বয় সাধন করাও দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত।

প্রার্থীর এমবিএ বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মাস্টার ডিগ্রি থাকা আবশ্যক। সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টে পেশাদার সার্টিফিকেশন থাকলে তা অগ্রাধিকার হবে। বাংলা ও ইংরেজিতে চমৎকার লিখিত ও মৌখিক যোগাযোগদক্ষতা, কম্পিউটার ব্যবহার (MS Word, Excel, Database) এবং যোগাযোগ, সমন্বয়, রেকর্ড ম্যানেজমেন্ট, সরবরাহ ও বিতরণপ্রক্রিয়া পরিচালনায় দক্ষতা থাকা আবশ্যক।

সংস্থার কন্ট্রাক্ট টাইপ: ফিক্সড টার্ম রেগুলার (ডিসেম্বর ২০২৬ পর্যন্ত)।

কর্মস্থল: ঢাকা।

আরও পড়ুনএ সপ্তাহের (৮-১৪ আগস্ট) সেরা সরকারি চাকরির বিজ্ঞপ্তি, মোট পদ ১৬৬৩ ১৬ আগস্ট ২০২৫

আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অনলাইনে করতে হবে

সংস্থা পরিচিতি:

সেভ দ্য চিলড্রেন বিশ্বব্যাপী ২৫ হাজারের বেশি কর্মী নিয়োগের মাধ্যমে ১০০টির বেশি দেশে শিশুদের কল্যাণে কাজ করছে। সংস্থাটি শিশুর শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করে এবং শিশু অধিকার বাস্তবায়নের জন্য উচ্চপর্যায়ে প্রচারণা চালায়।

একনজরে চাকরির বৃত্তান্ত

পদের নাম: ম্যানেজার-প্রকিউরমেন্ট ও সাপ্লাই ম্যানেজমেন্ট (এইচআইভি/এডস)

সংখ্যা: ১ জন

অবস্থান: ঢাকা

অভিজ্ঞতা: ন্যূনতম ৬ বছর (৩ বছর ম্যানেজারিয়াল অভিজ্ঞতা)

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এমবিএ বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মাস্টার্স, প্রাধান্য সাপ্লাই চেইন সার্টিফিকেশন

আবেদন শেষ তারিখ: ২৩ আগস্ট ২০২৫

কর্মস্থল: ঢাকা

কন্ট্রাক্ট: ডিসেম্বর ২০২৬ পর্যন্ত ফিক্সড টার্ম

আবেদনপ্রক্রিয়া

আরও পড়ুনপ্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বড় নিয়োগ, পদ ১৬৪ ১০ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রক র

এছাড়াও পড়ুন:

চলতি অর্থবছরে ৫% জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস এডিবির; ৪ কারণে চাপে প্রবৃদ্ধি

চলতি অর্থবছর মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) কিছুটা বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এডিবির পূর্বাভাস অনুসারে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশ হতে পারে। গত অর্থবছরের জন্য জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন হলো ৪ শতাংশ।

এডিবি আরও বলেছে, তৈরি পোশাক রপ্তানি স্থিতিশীল থাকলেও রাজনৈতিক পরিবর্তন, ঘন ঘন বন্যা, শিল্প খাতে শ্রমিক অস্থিরতা এবং বিরাজমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি কারণে দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা দুর্বল হয়ে পড়েছে। এই চার কারণে প্রভাব পড়ছে সামগ্রিক প্রবৃদ্ধিতে।

আজ মঙ্গলবার এডিবি এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) সেপ্টেম্বর সংস্করণ প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

এডিবি আরও বলেছে, চলতি অর্থবছরে ভোগ্যব্যয় বাড়বে। কারণ, রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়া আসন্ন নির্বাচনসংক্রান্ত নানা ধরনের খরচের কারণেও ভোগব্যয় বাড়াবে।

বাংলাদেশে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিয়ং বলেন, ‘ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধিনির্ভর করবে ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নয়নের মাধ্যমে প্রতিযোগিতা বাড়ানো, বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা এবং নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করার ওপর। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বাণিজ্যে মার্কিন শুল্কের প্রভাব এখনো স্পষ্ট নয়। দেশের ব্যাংক খাতের দুর্বলতা অব্যাহত রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য জরুরি।

এডিবির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২৬ অর্থবছরের জন্য কিছু ঝুঁকি রয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যসংক্রান্ত অনিশ্চয়তা, ব্যাংক খাতের দুর্বলতা এবং নীতি বাস্তবায়নের অনাগ্রহ প্রবৃদ্ধির অগ্রগতিতে বাধা হতে পারে। এ জন্য সঠিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বজায় রাখা এবং কাঠামোগত সংস্কার দ্রুততর করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৭ শতাংশ। গত অর্থবছরের তা বেড়ে দাঁড়ায় ১০ শতাংশ। এর পেছনে রয়েছে পাইকারি বাজারে সীমিত প্রতিযোগিতা, বাজার তথ্যের ঘাটতি, সরবরাহ শৃঙ্খলে বাধা এবং টাকার অবমূল্যায়ন।

এডিবি বলছে, চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হবে ভোগব্যয়, যা শক্তিশালী রেমিট্যান্স প্রবাহ ও নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট ব্যয়ের কারণে বাড়বে। তবে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ও রাজস্বনীতি এবং বিনিয়োগকারীদের সতর্ক মনোভাব বিনিয়োগকে মন্থর করতে পারে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রতিযোগিতা বাড়ায় রপ্তানি খাত এবং এর প্রবৃদ্ধি চাপ বাড়াবে। ফলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে রপ্তানিকারকদের মূল্য কমাতে হতে পারে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাংলাদেশে কফি–সংস্কৃতি প্রসারে ‘আমা কফি’
  • রাজশাহীতে আইনি ব্যবস্থা নিন
  • বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের ৩ প্যাকেজ ঘোষণা
  • চলতি অর্থবছরে ৫% জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস এডিবির; ৪ কারণে চাপে প্রবৃদ্ধি