বেসরকারি সংস্থায় ম্যানেজার নিয়োগ
Published: 17th, August 2025 GMT
আন্তর্জাতিক শিশুকল্যাণ সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন তাদের ঢাকা অফিসে ম্যানেজার-প্রকিউরমেন্ট ও সাপ্লাই ম্যানেজমেন্ট (এইচআইভি/এডস) পদে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি এই পদে যোগদানের জন্য ন্যূনতম ছয় বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রার্থী খুঁজছে, যার মধ্যে কমপক্ষে তিন বছর ম্যানেজারিয়াল দায়িত্বে থাকতে হবে।
নিযুক্ত প্রার্থী দায়িত্ব পালন করবেন এইচআইভি/এডস প্রকল্পের সম্পূর্ণ প্রকিউরমেন্ট ব্যবস্থাপনার। তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী সরবরাহপ্রক্রিয়ার পরিকল্পনা, সমন্বয় এবং কার্যকর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন। এ ছাড়া সরবরাহকারী, সরকারি প্রতিষ্ঠান, এনজিও ও সহকারী সংস্থার (SR) সঙ্গে বিশ্বাসযোগ্য সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং সমন্বয় সাধন করাও দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত।
প্রার্থীর এমবিএ বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মাস্টার ডিগ্রি থাকা আবশ্যক। সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টে পেশাদার সার্টিফিকেশন থাকলে তা অগ্রাধিকার হবে। বাংলা ও ইংরেজিতে চমৎকার লিখিত ও মৌখিক যোগাযোগদক্ষতা, কম্পিউটার ব্যবহার (MS Word, Excel, Database) এবং যোগাযোগ, সমন্বয়, রেকর্ড ম্যানেজমেন্ট, সরবরাহ ও বিতরণপ্রক্রিয়া পরিচালনায় দক্ষতা থাকা আবশ্যক।
সংস্থার কন্ট্রাক্ট টাইপ: ফিক্সড টার্ম রেগুলার (ডিসেম্বর ২০২৬ পর্যন্ত)।
কর্মস্থল: ঢাকা।
আরও পড়ুনএ সপ্তাহের (৮-১৪ আগস্ট) সেরা সরকারি চাকরির বিজ্ঞপ্তি, মোট পদ ১৬৬৩ ১৬ আগস্ট ২০২৫আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অনলাইনে করতে হবে
সংস্থা পরিচিতি:
সেভ দ্য চিলড্রেন বিশ্বব্যাপী ২৫ হাজারের বেশি কর্মী নিয়োগের মাধ্যমে ১০০টির বেশি দেশে শিশুদের কল্যাণে কাজ করছে। সংস্থাটি শিশুর শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করে এবং শিশু অধিকার বাস্তবায়নের জন্য উচ্চপর্যায়ে প্রচারণা চালায়।
একনজরে চাকরির বৃত্তান্ত
পদের নাম: ম্যানেজার-প্রকিউরমেন্ট ও সাপ্লাই ম্যানেজমেন্ট (এইচআইভি/এডস)
সংখ্যা: ১ জন
অবস্থান: ঢাকা
অভিজ্ঞতা: ন্যূনতম ৬ বছর (৩ বছর ম্যানেজারিয়াল অভিজ্ঞতা)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এমবিএ বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মাস্টার্স, প্রাধান্য সাপ্লাই চেইন সার্টিফিকেশন
আবেদন শেষ তারিখ: ২৩ আগস্ট ২০২৫
কর্মস্থল: ঢাকা
কন্ট্রাক্ট: ডিসেম্বর ২০২৬ পর্যন্ত ফিক্সড টার্ম
আবেদনপ্রক্রিয়া
আরও পড়ুনপ্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বড় নিয়োগ, পদ ১৬৪ ১০ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রক র
এছাড়াও পড়ুন:
থাইল্যান্ডে চালের দাম ১৫ বছরে সর্বনিম্ন, বিশ্ববাজারে এ বছর কমেছে ১৪%
এশিয়াসহ বিশ্বের চালের বাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এশিয়ায় চালের অন্যতম বৃহৎ সরবরাহকারী থাইল্যান্ডে চালের দাম ১৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। মূলত বাজারে চালের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
থাইল্যান্ডসহ চালের অন্যান্য বড় উৎপাদনকারী দেশ ভারত ও মিয়ানমারে উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় বিশ্ববাজারেও চালের দাম কমছে। বিশ্ব খাদ্য সংস্থার খাদ্যসূচক অনুযায়ী, চলতি বছর চালের দাম কমেছে ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। এমনকি বিশ্ববাজার চালের দাম আগস্ট মাসে আট বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে। খবর দ্য নেশনের
থাইল্যান্ডে চালের দামের এই নিম্নমুখী প্রবণতা একদম নতুন কিছু নয়, বেশ কয়েক মাস ধরেই এ প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে দেশটির কৃষিবিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দীর্ঘ সময় ধরে চালের দাম কম থাকায় দেশটির কৃষকেরা ধানের আবাদ কমিয়ে দিতে পারেন।
থাইল্যান্ডে গত বৃহস্পতিবার ৫ শতাংশ খুদযুক্ত চালের দাম দাঁড়ায় টনপ্রতি ৩৩৫ ডলার। আগের সপ্তাহে যা ছিল ৩৩৮ ডলার। থাইল্যান্ডের কৃষি খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গত ১৪ বছরে থাই সরকারের জনতুষ্টিমূলক নীতির কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সরকার কৃষকদের সন্তুষ্ট করতে বিভিন্ন ধরনের নিশ্চয়তা দিয়েছে। এসব কর্মসূচিতে প্রায় ৪০ বিালিয়ন বা ৪ হাজার কোটি ডলার ব্যয় হলেও একধরনের নীতিগত ফাঁদ তৈরি হয়েছে। ফলে কৃষকেরা প্রযুক্তি উন্নয়ন, দক্ষতা বাড়ানো কিংবা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার সঙ্গে খাপ খাওয়ানো থেকে নিরুৎসাহিত হয়েছেন।
সেই সঙ্গে থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা জানান, বর্ষা মৌসুমের শেষ দিকে বাজারে নতুন চালের সরবরাহ এসেছে। এটাও দাম কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। অন্যদিকে ভারত ও মিয়ানমারের মতো প্রতিযোগী দেশগুলো চালের গুণগত মানের উন্নতি করেছে। আধুনিকতা এনেছে উৎপাদনব্যবস্থায়। ফলে তারা কম খরচে ভালো মানের চাল রপ্তানি করতে পারছে। কিন্তু থাইল্যান্ড এখনো ভর্তুকিনির্ভর ব্যবস্থায় আটকে আছে। এ পরিস্থিতিতে দেশটির কৃষকেরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
এফএওর সূচক কমেছেপ্রতি মাসেই খাদ্যমূল্যসূচক করে থাকে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। তাতে দেখা যাচ্ছে, চলতি বছর বিশ্ববাজারে চালের দাম কেমেছে ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। গত অক্টোবর মাসে চালের মূল্যসূচক নেমে এসেছে ৯৮ দশমিক ৪–এ। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তা ছিল ১১৩ দশমিক ৬। সেই সঙ্গে ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে চালের মূল্যসূচক ছিল ১২৫ দশমিক ৭। সেই হিসাবে এক বছরে চালের দাম কমেছে ২১ দশমিক ৭ শতাংশ।
চালের দামের এই পতন শুরু হয় ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ চাল রপ্তানিকারক দেশ ভারত ধাপে ধাপে রপ্তানি–নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে শুরু করে তখন। এ ঘটনা চালের বাজারে বড় প্রভাব ফেলে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এ বছর সব ধরনের চালের মূল্যসূচক ১৩ শতাংশ কমেছে। খবর ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের
অথচ ২০২৪ সালের শুরুতে এর উল্টো চিত্র দেখা গেছে। তখন ভারত একের পর এক রপ্তানি সীমাবদ্ধতা জারি করলে ২০০৮ সালের পর চালের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। বিশ্বজুড়ে ভোক্তাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। মানুষের মধ্যে মজুতের প্রবণতা তৈরি হয়। অন্যান্য উৎপাদক দেশেও সুরক্ষাবাদী পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এর পর থেকে চালের দাম কমতে শুরু করে।