বন্দরে ৯ মাসের শিশু আবু বক্কর অপহরনের অভিযোগে স্থানীয় জনতা নারী অপহরনকারী সেতেরা বেগম (৪২)কে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে। ওই সময় জনতা অপহরনকারি কবল থেকে অপহৃত শিশু আবু বক্করকে উদ্ধার করে। 

অপহৃত শিশু আবু বক্কর পুরান বন্দর চৌধুরীবাড়ী এলাকার রিয়াদ মিয়ার ছেলে। আটককৃত অপহরনকারী সেতারা বেগম বন্দর থানার কলাবাগ খালপাড় এলাকার আব্দুর রহমান মিয়ার মেয়ে ও উল্লেখিত এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী। 

এ ব্যাপারে অপহৃত শিশুর নানী রাজেদা বেগম বাদী হয়ে  রোববার (১৭ আগস্ট) সকালে আটককৃত  অপহরনকারি সেতেরা বেগমকে আসামী করে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে এ মামলা দায়ের করেন।  যার মামলা নং ২৭(৮)২৫। ধারা-৭ নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ২০০০ ৩ৎসহ ৩৩ পেনাল কোড ১৮৬০ ।

এর আগে গত শনিবার (১৬ আগস্ট)  বিকেল সাড়ে ৫টায় বন্দর থানার পুরান বন্দর চৌধুরীস্থ জনৈক মঞ্জুর আলমের বসত বাড়ি সামনে থেকে ওই অপহৃত শিশুটিকে উদ্ধার করে জনতা।

মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে, অপহৃত ৯ মাসের  শিশু আবু বক্কর বাদিনী নাতিন। গত শনিবার বিকেলে বাদিনী মেয়ে মুক্তা বেগম তার ৯ মাসের শিশু সন্তানকে  বসত ঘরে রেখে সাংসারিক কাজ করার সময় অপহরনকারি সেতারা বেগম বাদিনী মেয়ের বসত ঘরে কৌশলে অনাধিকার ভাবে প্রবেশ করে। পরে অপহরনকারি সেতেরা বেগম  ৯ মাসের শিশু আবু বক্করকে  অপহরন করে নিয়ে যাওয়ার সময় বিষয়টি বাদিনী নজরে আসে। 

বাদিনী অপহরনকারিকে আটক করলে অপহরনকারি সেতেরা বেগম বাদিনীর  বাম হাতের কনুইয়ের নিচে কামড় দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে শিশুটি নিয়ে দৌড়ে  পালানোর চেষ্টাকালে বাদিনী ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন পুরান বন্দর চৌধুরীবাড়ী মঞ্জুর আলমের বসত বাড়ীর সামনে শিশুটি উদ্ধার করে।

পরে স্থানীয় জনতা আটককৃত নারী অপহরনকারিকে আটক করে বেদম ভাবে পিটিয়ে বন্দর থানা পুলিশকে অবহিত করে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে অপহরনকারি সেতেরা বেগমকে গ্রেপ্তার করে।  
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ অপহরণ অপহরনক র অপহ ত শ শ ব গম ব

এছাড়াও পড়ুন:

বিভিন্ন অপরাধে যবিপ্রবিতে শিক্ষকসহ ৪ শিক্ষার্থীকে শাস্তি

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) পৃথক অপরাধে একজন শিক্ষককে বরখাস্ত ও চারজন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের সব সদস্যের ভিত্তিতে রিজেন্ট বোর্ডের ১০৮তম সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, লিফট অপারেটর পদে চাকরিপ্রার্থী এক অপহরণ মামলার আসামি ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মীকে হল থেকে বের করে দিতে গেলে তাকে রক্ষায় বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা বাধা প্রদান ও নানা ধরনের হুমকি প্রদান করেন। এ ঘটনায় আরো তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরো পড়ুন:

ডাকসু নির্বাচন: পঞ্চম দিনে মনোনয়ন ফরম নিলেন ১৮ জন

জবিতে জন্মাষ্টমী উদযাপিত

একইসঙ্গে সব স্বৈরাচারের দোসর ও তাদের অপরাধ অনুসারে ধারাবাহিকভাবে বিচারের আওতায় আনা হবে। এ ক্ষেত্রে বিচারে বাধা বা কেউ পুনর্বাসনমূলক আচরণ করলে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বহিষ্কৃতরা হলেন— শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান (পিইএসএস) বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মোহাম্মদ রাফি (অপহরণ মামলার আসামি), আল মামুন ফরহাদ, তুষার ইমরান এবং একই বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের কাবিরুল।

অন্যদিকে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় শিক্ষার্থীদের জুমার নামাজে বাধা প্রদান, স্বৈরাচারী আচরণের মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি ও শিক্ষকসুলভ বহির্ভূত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় সহকারী অধ্যাপক ড. ফিরোজ কবিরকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিজেন্ট বোর্ড। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল দলের তৎকালীন সদস্য সচিব এবং ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন (পিটিআর) বিভাগের শিক্ষক।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় শুক্রবার জুমার নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাসে প্রবেশের সময় যবিপ্রবির প্রধান ফটকে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বাধা দেন ড. ফিরোজ কবির। শিক্ষার্থীরা এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানালে তিনি মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করেন। পরে মসজিদে প্রবেশে বাধা পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে উত্তপ্ত রাস্তায় দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করেন। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।

ঢাকা/ইমদাদুল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ক্রিকেট ব্যাটে ইয়াবা, স্ক্যান করায় কৌশল ফাঁস 
  • দুই ভিক্ষুককে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • বিভিন্ন অপরাধে যবিপ্রবিতে শিক্ষকসহ ৪ শিক্ষার্থীকে শাস্তি
  • মেলানিয়ার লেখা ব্যক্তিগত চিঠি পুতিনকে পৌঁছে দিলেন ট্রাম্প, কী আছে চিঠিতে
  • চাঁদা দিতে না পারায় ব্যবসায়ীর মেয়েকে অপহরণের হুমকি, সাবেক ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার