ক্রিকেট ব্যাটে ইয়াবা, স্ক্যান করায় কৌশল ফাঁস
Published: 17th, August 2025 GMT
কক্সবাজার বিমানবন্দরে ক্রিকেট ব্যাটের ভেতর বিশেষ কৌশলে লুকানো ৫ হাজার ১০০ পিস ইয়াবাসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটকদের একজন বিমানবন্দরের চাকরিচ্যুত কর্মী।
রবিবার (১৭ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে মালামাল তল্লাশির সময় তাদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান।
আটককৃতরা হলেন, মাদারীপুরের জাকির হোসেন (২৬) ও বরিশালের তানভীর আহমদ (৩০)। তানভীর বিমানবন্দরের চাকরিচ্যুত কর্মী।
ইলিয়াস খান জানান, আটককৃত দুজন সকাল সোয়া ১০টার দিকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছে বেলা ১১টা ২৫ মিনিটের ঢাকাগামী ইউএস-বাংলা ফ্লাইটে ওঠার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় মালামাল স্ক্যানিং করা হলে ক্রিকেট ব্যাটের ভেতরে বিশেষ কায়দায় লুকানো ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় আটক দুজনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে কক্সবাজার সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ইলিয়াস খান।
ঢাকা/তারেকুর
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে শিশু অপহরণের অভিযোগে নারী আটক
বন্দরে ৯ মাসের শিশু আবু বক্কর অপহরনের অভিযোগে স্থানীয় জনতা নারী অপহরনকারী সেতেরা বেগম (৪২)কে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে। ওই সময় জনতা অপহরনকারি কবল থেকে অপহৃত শিশু আবু বক্করকে উদ্ধার করে।
অপহৃত শিশু আবু বক্কর পুরান বন্দর চৌধুরীবাড়ী এলাকার রিয়াদ মিয়ার ছেলে। আটককৃত অপহরনকারী সেতারা বেগম বন্দর থানার কলাবাগ খালপাড় এলাকার আব্দুর রহমান মিয়ার মেয়ে ও উল্লেখিত এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী।
এ ব্যাপারে অপহৃত শিশুর নানী রাজেদা বেগম বাদী হয়ে রোববার (১৭ আগস্ট) সকালে আটককৃত অপহরনকারি সেতেরা বেগমকে আসামী করে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ২৭(৮)২৫। ধারা-৭ নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ২০০০ ৩ৎসহ ৩৩ পেনাল কোড ১৮৬০ ।
এর আগে গত শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টায় বন্দর থানার পুরান বন্দর চৌধুরীস্থ জনৈক মঞ্জুর আলমের বসত বাড়ি সামনে থেকে ওই অপহৃত শিশুটিকে উদ্ধার করে জনতা।
মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে, অপহৃত ৯ মাসের শিশু আবু বক্কর বাদিনী নাতিন। গত শনিবার বিকেলে বাদিনী মেয়ে মুক্তা বেগম তার ৯ মাসের শিশু সন্তানকে বসত ঘরে রেখে সাংসারিক কাজ করার সময় অপহরনকারি সেতারা বেগম বাদিনী মেয়ের বসত ঘরে কৌশলে অনাধিকার ভাবে প্রবেশ করে। পরে অপহরনকারি সেতেরা বেগম ৯ মাসের শিশু আবু বক্করকে অপহরন করে নিয়ে যাওয়ার সময় বিষয়টি বাদিনী নজরে আসে।
বাদিনী অপহরনকারিকে আটক করলে অপহরনকারি সেতেরা বেগম বাদিনীর বাম হাতের কনুইয়ের নিচে কামড় দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে শিশুটি নিয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে বাদিনী ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন পুরান বন্দর চৌধুরীবাড়ী মঞ্জুর আলমের বসত বাড়ীর সামনে শিশুটি উদ্ধার করে।
পরে স্থানীয় জনতা আটককৃত নারী অপহরনকারিকে আটক করে বেদম ভাবে পিটিয়ে বন্দর থানা পুলিশকে অবহিত করে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে অপহরনকারি সেতেরা বেগমকে গ্রেপ্তার করে।