ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের কথা কি রাষ্ট্র ভাববে না
Published: 21st, September 2025 GMT
দেশের নজরুলসংগীতের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র শবনম মুশতারি সম্বন্ধে একদিন ফলাও করে খবর বেরোল—কাউকে চিনতে পারছেন না তিনি! জানা গেল, তিনি ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত।
একই সমস্যায় আক্রান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সহধর্মিণীও। প্রধান উপদেষ্টা এক টিভি সাক্ষাৎকারে খুব আক্ষেপ করে বলছিলেন, ‘আমাকে ছাড়া সে আর কাউকেই চেনে না। আমি চলে গেলে তার কী হবে!’ এ দুটি উদাহরণ সমাজের সচ্ছল ও আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থার কাছাকাছি মানুষের। বাস্তবতা হলো, ডিমেনশিয়ার কবলে আজ সব শ্রেণি-পেশা ও শহর থেকে অজপাড়াগাঁয়ের প্রবীণ জনগোষ্ঠী।
এমন চেনা-অচেনা লক্ষকোটি মানুষ সারা পৃথিবীব্যাপী ভুগছেন মস্তিষ্কের ক্ষয়জনিত সমস্যা ডিমেনশিয়ায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) হিসাব অনুযায়ী, ২০২১ সাল পর্যন্ত সারা পৃথিবীতে ডিমেনশিয়ার সঙ্গে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা ৫৭ মিলিয়ন, যার মধ্যে শতকরা ৬০ ভাগ বসবাস করছেন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে।
সর্বশেষ গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, দেশের বৃদ্ধ জনগোষ্ঠীর ৮ শতাংশ ডিমেনশিয়ায় ভুগছেন—অর্থাৎ প্রতি ১২ জন বৃদ্ধ জনগোষ্ঠীর একজন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, ডিমেনশিয়া হলো পৃথিবীব্যাপী সব মৃত্যুর কারণগুলোর মধ্যে সপ্তম প্রধান কারণ। সারা পৃথিবীতে এবং একই সঙ্গে বাংলাদেশেও ডিমেনশিয়ার প্রকোপ ক্রমেই বেড়ে চলেছে।
ডিমেনশিয়া যেহেতু স্মৃতিশক্তি এবং স্বাভাবিক চিন্তা ও আচরণ করার ক্ষমতাকে নষ্ট করে দেয়, তাই এ নিয়ে রয়েছে প্রচুর ভ্রান্ত ধারণা বা কলঙ্ক (স্টিগমা)। বেশির ভাগ মানুষই মনে করে যে এটি মতিভ্রম কিংবা উন্মাদ হয়ে যাওয়ার একটি ধরন। কেউবা একে অতীন্দ্রিয় শক্তির কালো ছায়া কিংবা পাপের ফল হিসেবে গণ্য করে।
এর ফলে এদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি থাকে অদ্ভুত ধরনের, যার বেশির ভাগই নেতিবাচক। এর কারণে বেশির ভাগ পরিবারই তাদের আপনজনের এ ধরনের সমস্যার কথা যত দিন পারেন, গোপন রাখেন। আর এ বিলম্বের ফলে অসামান্য ক্ষতি হয়ে যায় ডিমেনশিয়ার সঙ্গে বসবাসকারী ব্যক্তিদের। এ বিলম্বে মস্তিষ্কের ক্ষয় আরও বেড়ে যায়। বেশির ভাগ ডিমেনশিয়ার সঙ্গে বসবাসকারী ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবার যাপন করতে থাকেন এক অসহনীয় জীবন।
বাস্তব অভিজ্ঞতায় প্রায়ই দেখা যায় যে সন্তান ও পরিবারের সদস্যদের অবহেলায় ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যান বিপুল ধনসম্পত্তির মালিক হয়েও ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত অনেক ব্যক্তি। শিকার হন নির্যাতনের। রাজধানী ঢাকারই এক সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিকে চিনি, যাঁর একমাত্র পুত্র দিনের পর দিন এক ফোঁটা জল পর্যন্ত মুখে না দিয়ে তিলে তিলে মেরেছে নিজ পিতাকে। অন্য সন্তানেরা দূর থেকে কেবল চেয়ে চেয়ে দেখেছে, আর বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরেও বিচার পাননি।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০১৭ সালে ডিমেনশিয়াকে জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে প্রাধান্য দিতে সদস্যরাষ্ট্রগুলোর অন্তত ৭৫ শতাংশ রাষ্ট্রকে ২০২৫ সালের মধ্যে ডিমেনশিয়া প্রতিরোধ ও এর যত্ন সম্পর্কিত রাষ্ট্রীয় নীতিমালা ও জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছিল।
কিন্তু এ পর্যন্ত মাত্র ২৫ শতাংশ সদস্যরাষ্ট্র ডিমেনশিয়া নীতিমালা প্রণয়ন করতে সক্ষম হয়েছে বা করেছে। বাংলাদেশে এ–সংক্রান্ত কোনো নীতিমালা প্রণয়নে এখনো এগিয়ে আসা হয়নি। যেহেতু আমাদের দেশে বৃদ্ধ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলছে এবং এর সঙ্গে ডিমেনশিয়া আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যাও, তাই এর সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আর্থিক চাপও উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রায়ই দেখা যায়, এ জনগোষ্ঠীর সামাজিক, আর্থিক ও আইনগত অধিকার পদে পদে লঙ্ঘিত হয়। তাই রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো এ জনগোষ্ঠীকে রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা প্রদানের মাধ্যমে তাদের শেষ দিনগুলোকে আরামদায়ক করে তোলা।
বাংলাদেশে প্রণীত হয়েছে প্রবীণ নীতিমালা, পিতা-মাতার ভরণপোষণ আইন, মানসিক স্বাস্থ্য আইন ও নীতিমালা। রয়েছে দুর্বল ও অসহায় জনগোষ্ঠীর জন্য সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী নিশ্চিত করার নানা আইনকানুন ও নীতিমালা। কিন্তু এসবের কোনোটিতেই ঠাঁই হয়নি ডিমেনশিয়া ও এর সঙ্গে জড়িত আলঝেইমারসহ অন্যান্য ধরনের ডিমেনশিয়া–সংক্রান্ত জটিলতায় বসবাসকারী ব্যক্তিদের সুরক্ষার কোনো বিধান। উদাহরণস্বরূপ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩-তে ১২ ধরনের প্রতিবন্ধিতার সুরক্ষার কথা বললেও বলা হয়নি বার্ধক্যজনিত অক্ষমতায় ভোগা ব্যক্তিদের সুরক্ষার কথা।
সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক যে জটিল ৬টি রোগের জন্য নগদ ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়, সেখানে নেই তৃতীয় পর্যায়ে উপনীত হয়ে, স্মৃতিশক্তিসহ চিন্তা করার সব শক্তি এবং বুদ্ধিবৃত্তিক ও শারীরিক সব ধরনের সক্ষমতা হারিয়ে নিশ্চিত মৃত্যুর জন্য দিন গোনা ডিমেনশিয়ার সঙ্গে বসবাসকারী ব্যক্তিদের সুরক্ষার কথা।
আরও পড়ুনকেন কফিশপে দেখা যায় না শুধু দুজন বয়স্ক দম্পতিকে ০৩ অক্টোবর ২০২১অথচ ডিমেনশিয়ার পারিবারিক, আর্থিক, সামাজিক ও স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর চাপ উল্লিখিত ৬টি রোগের চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়; বরং বেশিই। তাই সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান—বার্ধক্যে উপনীত হওয়া সব ব্যক্তির মধ্যে সবচেয়ে অসহায় এ অংশটিকে সব ধরনের সামাজিক সুরক্ষার আওতায় নিয়ে এসে তাদের শেষ দিনগুলোতে পাশে দাঁড়ানোর।
এবার আসি আইনগত সুরক্ষার কথায়। বাস্তব অভিজ্ঞতায় প্রায়ই দেখা যায় যে সন্তান ও পরিবারের সদস্যদের অবহেলায় ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যান বিপুল ধনসম্পত্তির মালিক হয়েও ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত অনেক ব্যক্তি। শিকার হন নির্যাতনের। রাজধানী ঢাকারই এক সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিকে চিনি, যাঁর একমাত্র পুত্র দিনের পর দিন এক ফোঁটা জল পর্যন্ত মুখে না দিয়ে তিলে তিলে মেরেছে নিজ পিতাকে। অন্য সন্তানেরা দূর থেকে কেবল চেয়ে চেয়ে দেখেছে, আর বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরেও বিচার পাননি।
এখানে যেমন আছে আইনের শাসনের অভাব, তেমনি আছে আইনেরও নানা সমস্যা। যেমন সন্তানের অবহেলা বা নির্যাতনের কারণে কোনো পিতার মৃত্যু হলে সেই সন্তান কি পিতার সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবেন কি না—প্রচলিত বার্ধক্য বিষয়ক আইনে এ নিয়ে স্পষ্ট কোনো বিধান নেই।
এ ক্ষেত্রে দেওয়ানি ও ফৌজদারি উভয় উপাদানের আলোকে বিচার এবং ফৌজদারি অপরাধের প্রমাণ সাপেক্ষে উত্তরাধিকার বিষয়ে আদালত সিদ্ধান্ত প্রদানের এখতিয়ার রাখে। এ বিষয়ে প্রচলিত আইনে সুস্পষ্ট বিধান এনে সংশোধনীর সুপারিশ করছি। একজন ডিমেনশিয়ার সঙ্গে বসবাসকারী ব্যক্তি যেহেতু তার যৌক্তিক চিন্তার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন, এ ক্ষেত্রে তাঁর সম্পত্তির বিষয়ে মানসিক স্বাস্থ্য আইনে কিছুটা বলা হলেও তাঁর চিকিৎসার সিদ্ধান্ত ও অক্ষমতা-পরবর্তী চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ নিয়ে কোনো সুরক্ষা আইনে স্পষ্ট নিশ্চিত করা হয়নি।
ডিমেনশিয়া আক্রান্ত ব্যক্তির ভরণপোষণ, যত্ন ও চিকিৎসা নিয়ে সন্তানদের মধ্যে শুরু হয় পারস্পরিক দায় চাপানোর প্রবণতা—কে নেবে এ দায়! শেষমেশ কোনো এক সন্তানকেই হয়তো মানবিক বিবেচনায় গ্রহণ করতে হয় পিতার বা মাতার সার্বিক ভার।
দেওয়ানি আইনে পিতার মৃত্যুর পর তাঁর যেকোনো দেনা ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার ব্যয় সন্তানের দেনা হিসেবে বর্তায় এবং তা পিতার সম্পত্তি থেকে ব্যয় করা আইনত বাধ্যতামূলক। এর আলোকে পিতার ব্যয়ভার যদি এক সন্তান বহন করেন, সে ক্ষেত্রে এ ব্যয় কেন অন্য সন্তানদের ওপর পিতার দেনা হিসেবে বর্তাবে না? এ বিষয়ে পিতা-মাতার ভরণপোষণ আইনে স্পষ্ট ধারা সন্নিবেশ করা একান্ত জরুরি।
ডিমেনশিয়ার সঙ্গে বসবাসকারী ব্যক্তিরা তাঁদের সোনালি যৌবনের মেধা, শক্তি, সামর্থ্য একসময় এ দেশের কল্যাণেই ব্যয় করেছেন। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রকে দিয়েছেন অনেক কিছু। এখন রাষ্ট্রের দায়িত্ব তাঁদের মৌলিক সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে আইনগত ও আর্থসামাজিক সুরক্ষায় নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।
ইমদাদুল হক তালুকদার জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র স রক ষ র ক জনগ ষ ঠ র সন ত ন র পর ব র আর থ ক র জন য ধরন র বসব স ক ষমত সমস য
এছাড়াও পড়ুন:
বিজয় ভাষণে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একহাত নিলেন জোহরান মামদানি
নিউইয়র্ক শহরের ইতিহাসে নতুন অধ্যায় রচনা করেছেন জোহরান মামদানি। তিনি শহরের প্রথম মুসলিম, প্রথম দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত এবং প্রথম আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া ব্যক্তি হিসেবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
তবে তার এই জয় সহজে আসেনি। নির্বাচনী প্রচারের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সরাসরি তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। এমনকি তিনি নিজ দলের রিপাবলিকান প্রার্থীকে বাদ দিয়ে স্বতন্ত্রপ্রার্থী অ্যান্ড্রু কুয়োমোকে সমর্থন জানিয়েছেন। নিউইয়র্কবাসী জোহরান নয়, কুয়োমোকে ভোট দিতে বলেছেন।
আরো পড়ুন:
কে এই জোহরান মামদানি?
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হয়ে ইতিহাস গড়লেন জোহরান মামদানি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “অ্যান্ড্রু কুয়োমোকে আপনি পছন্দ করুন আর নাই করুন, আপনার হাতে বিকল্প নেই। আপনাকে ভোট দিতেই হবে তাকে। আমি আশা করব সে দারুণ কাজ করবে। সে কাজের মানুষ, মামদানি নয়।”
তবে শেষ মুহূর্তে রিপাবলিকান ট্রাম্পের এমন মন্তব্য ডেমোক্র্যাট মামদানির জয়ের পথে বাধা হতে পারেনি শেষমেশ। তিনি ৫০.৪ শতাংশ ভোট নিয়ে জয়লাভ করেছেন নিউইয়র্ক মেয়র নির্বাচনে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ভোটে জিতে নিজের বিজয় ভাষণেই ট্রাম্পকে একহাত নিয়েছেন জোহরান মামদানি। তিনি বলেন, “ডোনাল্ড ট্রাম্প, আমি যত দূর জানি, আপনি দেখছেন। আমি আপনাকে চারটি শব্দ বলব: টার্ন দ্য ভলিউম আপ (আওয়াজ বাড়ান)।”
ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে মামদানি আরো বলেন, “আমাদের মধ্যে কারো কাছে আপনি পৌঁছাতে চাইলে আপনাকে আমাদের সবার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।”
সমর্থকদের উদ্দেশে মামদানি বলেন, “যদি কেউ এই জাতিকে দেখাতে পারে কীভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারানো যায়, তবে সেটি সেই শহরই, যেখানে ট্রাম্পের উত্থান ঘটেছিল। রাজনীতির এই অন্ধকার সময়ে নিউইয়র্ক হবে আলোর প্রতীক।”
ব্রুকলিনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী সমাবেশে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে শ্রমজীবী মানুষকে ধনী ও ক্ষমতাবানরা বোঝাতে চেয়েছে যে ক্ষমতা তাদের হাতে নয়। কিন্তু গত এক বছরে আপনারা প্রমাণ করেছেন, আপনাদের হাতেই সেই ক্ষমতা। আজকের এই জয় অসম্ভবকে সম্ভব করেছে।”
মার্কিন রাজনীতিতে বামঘেঁষা ডেমোক্র্যাট বলে পরিচিত মামদানি। আফ্রিকা মহাদেশের উগান্ডায় জন্ম হলেও তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তিনি ভারতীয় চিত্রপরিচালক মীরা নায়ারের পুত্র। তার পিতা উগান্ডার বিখ্যাত লেখক মাহমুদ মামদানি। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ডেমোক্র্যাট নেতা মামদানি নিউ ইয়র্কের প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই তাকে নানাভাবে নিশানা করে আসছিলেন ট্রাম্প। তাকে ‘১০০ শতাংশ উন্মাদ কমিউনিস্ট’ বলেও কটাক্ষ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
‘কমিউনিস্ট’ প্রার্থী মামদানি ভোটে জিতলে নিউ ইয়র্ক সিটির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারি অনুদান বন্ধ করে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তিনি বলেছিলেন, “যদি নিউ ইয়র্ক একটি কমিউনিস্ট মেয়র বেছে নেয়, তা হলে আমি ওই শহরের জন্য ফেডারেল অর্থবরাদ্দ বন্ধ করে দেব, যতক্ষণ না আইন আমাকে তা দিতে বাধ্য করছে।”
তবে ট্রাম্পের এই ধারাবাহিক আক্রমণের পরেও নিউ ইয়র্কের মেয়র পদের জন্য নির্বাচিত হলেন মামদানি। প্রায় এক বছর আগে রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করা মামদানির জন্য এটি এক অবিস্মরণীয় উত্থান। একজন তুলনামূলক অখ্যাত স্টেট অ্যাসেম্বলিম্যান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহরের নেতৃত্বে পৌঁছে গেলেন তিনি।
ঢাকা/ফিরোজ