সারা পৃথিবীতেই বৈদ্যুতিক গাড়ির (ইভি) কেনাবেচা বাড়ছে। টেকসই বিভিন্ন প্রযুক্তিকে যুক্ত করে এসব গাড়ি নিরাপদ জ্বালানি ও নিরাপদ প্রযুক্তিনির্ভর অভিজ্ঞতা দিচ্ছে ব্যবহারকারীদের। নিউ এনার্জি ভেহিকল (এনইভি) প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বিওয়াইডি বাংলাদেশে বৈদ্যুতিক গাড়ি বিওয়াইডি অ্যাটো ৩ মডেলের নতুন সংস্করণ উন্মোচন করেছে। ঢাকার তেজগাঁওয়ে অবস্থিত বিওয়াইডি ফ্ল্যাগশিপ শোরুমে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গাড়িটি উন্মোচন করা হয়।  

বিওয়াইডি জানিয়েছে, বিওয়াইডি অ্যাটো ৩ মডেলে লিথিয়াম আয়ন ফসফেট ব্লেড ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। ডিসি ফাস্ট চার্জারের মাধ্যমে গাড়িটি মাত্র ৩০ মিনিটে ৩০ থেকে ৮০ শতাংশ চার্জ করা যাবে। গাড়িটিতে পারফরম্যান্স, নিরাপত্তা ও ইন্টেলিজেন্স বাড়াতে ব্যবহার করা হয়েছে ই-প্ল্যাটফর্ম ৩.

০। ইউরো এনসিএপি ৫-স্টার সেফটি রেটিংসহ এই গাড়িটিতে আরও রয়েছে ৭টি এয়ারব্যাগ, ভেন্টিলেটেড ফ্রন্ট সিট ও সর্বাধুনিক অ্যাডভান্সড ড্রাইভার অ্যাসিস্ট্যান্স সিস্টেমের (এডিএএস) মতো উন্নত নিরাপত্তা ফিচার।

নতুন বিওয়াইডি অ্যাটো ৩ মডেলে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। রি-ডিজাইন করা প্রিমিয়াম থমাস ব্ল্যাক ইন্টেরিয়রসহ ভেন্টিলেডেড ফ্রন্ট সিট স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করবে। অন্যদিকে এর নতুন কালো রঙের হেডলাইট, ১৮ ইঞ্চি টায়ারসহ বোল্ড রিম ডিজাইন ও স্পোর্টিয়ার স্টাইলিং এক্সটেরিয়রকে ভিন্ন লুক দিয়েছে। এই সংস্করণটিতে আরও রয়েছে সমৃদ্ধ ১২ভি লো-ভোল্টেজ লিথিয়াম আয়রন ফসফেট ব্যাটারি।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সিজি রানার বিডি লিমিটেডের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান বলেন, ‘সারা পৃথিবীতে বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রসার ঘটছে। ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশে আমরা বৈদ্যুতিক গাড়ি চলাচলের জন্য কাজ করছি।’

ক্রেতারা এখন দুটি মডেলের মধ্যে গাড়িটি কিনতে পারছেন। স্ট্যান্ডার্ড রেঞ্জ সংস্করণের দাম পড়বে ৪৯.৯০ লাখ টাকা। এই গাড়িটি একবার সম্পূর্ণ চার্জে ৩৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে সক্ষম। আরেকটি হলো এক্সটেন্ডেড রেঞ্জ সংস্করণ। এর দাম ৫৫.৯০ লাখ টাকা। এই মডেলটিকে একবার চার্জে ৪২০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলানো যাবে। ট্র্যাকশন ব্যাটারি, মোটর ও মোটর কন্ট্রোলারের জন্য আট বছর ও পুরো গাড়ির জন্য ছয় বছর ওয়ারেন্টি পাবেন ক্রেতারা। বিওয়াইডি বাংলাদেশের চিফ মার্কেটিং অফিসার ইমতিয়াজ নওশের বলেন, বাংলাদেশ ইলেকট্রিক ভেহিকল গাড়ি ব্যবহারে প্রস্তুত। বিওয়াইডি বাংলাদেশ সারা দেশে চার্জিং নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করতে কাজ করছে।

২১ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিওয়াইডি বাংলাদেশ আয়োজন করা হবে ‘অ্যাটো ৩ উইক’। এ আয়োজনে অ্যাটো ৩ মডেলের অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পাওয়া যাবে। নতুন মডেলের গাড়িটি কেনার আগে টেস্ট ড্রাইভের সুযোগ আছে। টেস্ট ড্রাইভ করা যাবে এই ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক

গাইবান্ধায় শিউলী বেগম নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার পর মরদেহ বাড়ির পাশের একটি কলাবাগানে ফেলে পালানোর অভিযোগ উঠেছে স্বামী ফরিদ উদ্দীনের (৪৫) বিরুদ্ধে।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের কাটাবাড়ী গ্রামের বাগদা বাজার টাওয়ার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শিউলী বেগম কাটাবাড়ী গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে ফরিদ উদ্দীনের দ্বিতীয় স্ত্রী। তিনি একই ইউনিয়নের বোগদহ সদর কলোনী এলাকার শরীফ ড্রাইভারের মেয়ে। তাদের সংসারে একটি ৮ বছরের ছেলে সন্তান রয়েছে। প্রায় ১২ বছর আগে শিউলী ও ফরিদের বিয়ে হয়। এরপর দ্বিতীয় বিয়ে করেন ফরিদ। ফরিদের প্রথম স্ত্রীর ঘরেও দুই সন্তান রয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে শিউলীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন ফরিদ। শনিবার সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। এক পর্যায়ে ফরিদ শিউলীকে মারধর করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে মরদেহ বাড়ির পাশে কলাবাগানে ফেলে রেখে পালিয়ে যান তিনি। প্রতিবেশীরা বিষয়টি দেখে পুলিশকে খবর দেন। 

খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন গাইবান্ধা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সি-সার্কেল) রশিদুল বারী।

নিহত শিউলীর বাবা শরীফ মিয়া ড্রাইভার ও স্বজনদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে প্রায় সময় মেয়েকে (শিউলি) বিভিন্ন অজুহাতে গায়ে হাত তুলতেন ফরিদ। শিউলীকে হত্যা করে বাড়ির পাশের কলাবাগানে ফেলে রেখে পালিয়েছে সে। দ্রুত তাকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তাদের। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ থানার (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম জানান, ফরিদের প্রথম স্ত্রী রয়েছে। শিউলী ফরিদের দ্বিতীয় স্ত্রী। দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হতো। নিহতের গলা ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন আছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রবিবার সকালে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। ফরিদ ঘটনার পর থেকেই পলাতক। তাকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।

ঢাকা/মাসুম/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ