বাগেরহাটে চারটি আসন পুনর্বহালের দাবিতে গণস্বাক্ষর
Published: 23rd, September 2025 GMT
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শুরু করেছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। মঙ্গলবার বিকেলে বাগেরহাট শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে গণস্বাক্ষর কর্মসূচির উদ্বোধন করেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির কো-কনভেনর ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম।
এ সময় সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির সদস্যসচিব জামায়াত নেতা শেখ মোহাম্মদ ইউনুস, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মোজাফফর রহমানসহ কমিটির নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি ব্যবসায়ী, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ নানা পেশাজীবীর মানুষ অংশ নেন।
এম এ সালাম বলেন, ‘আমরা আজকে গণস্বাক্ষর শুরু করছি। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত গণস্বাক্ষর চলবে। স্বাক্ষর করার জন্য আমরা বাঁধাই করা বই তৈরি করেছি। এসব বই প্রতিটি উপজেলা ও পৌরসভায় পাঠানো হবে। গণস্বাক্ষর কর্মসূচির পাশাপাশি বুধ ও বৃহস্পতিবার নির্বাচন কার্যালয় ঘেরাও চলবে।’
গত ৩০ জুলাই দুপুরে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে তিনটি আসন করার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয় নির্বাচন কমিশন। এর পর থেকেই বাগেরহাটবাসী আন্দোলন শুরু করেন। চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশ নেন বাগেরহাটবাসী। এরপরও ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসনই জারি রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। নির্বাচন কমিশনের ওই আসনবিন্যাস গণমানুষের দাবিকে উপেক্ষা করে করা হয়েছে বলে দাবি সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতা-কর্মীদের।
চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী, বাগেরহাট-১ (বাগেরহাট সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)। তার আগে দীর্ঘদিন ধরে চারটি আসনে নির্বাচন হয়ে আসছিল। তখনকার সীমানা অনুযায়ী বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (বাগেরহাট সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাউন্ড উইদিন স্টিলনেস: পয়েন্টালিজমের বিমূর্ত ভিজ্যুয়াল
ছবি: লেখকের সৌজন্যে