মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলায় বেতকা পরিবহন নামে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় আরভি (৬) নামে এক মাদরাসা ছাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ জনতা বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেন।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে টঙ্গীবাড়ি উপজেলার ঢাকা-টঙ্গীবাড়ি সড়কের রান্ধুনীবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে দুর্ঘটনার শিকার হন আরভি। 

আরো পড়ুন:

দাঁড়িয়ে থাকা পিকআপের পেছনে ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ২

কোটি টাকার ট্রমা সেন্টারে নেই সেবা

মারা যাওয়া আরভি রান্ধুনীবাড়ি এলাকার আলমগীর শেখের মেয়ে। সে একই এলাকার সিকদার বাড়ি মাদরাসার প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান, বাস চাঁপায় এক শিশু শিক্ষার্থী নিহত হন। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা বাসটিতে আগুন দেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

টঙ্গীবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল আলম জানান, বেতকা পরিবহনের একটি বাস ঢাকা থেকে ছেড়ে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার বেতকা এলাকায় যাচ্ছিল। রান্ধুনীবাড়ি এলাকায় বাসটি মাদরাসা শিক্ষার্থীকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই ওই শিক্ষার্থী মারা যান। পরে স্থানীয় লোকজন বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেন। বাস চালক পলাতক থাকায় তাকে আটক করা যায়নি। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

ঢাকা/রতন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত আগ ন

এছাড়াও পড়ুন:

স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে বাসচাপায় শিশুশিক্ষার্থী নিহত, বাসে আগুন

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় বাসের ধাক্কায় এক মাদ্রাসাছাত্রী নিহত হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার রান্ধুনীবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের বেতকা-সিরাজদিখান সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর বাসটিতে আগুন দেয় উত্তেজিত জনতা।

নিহত আরবী (৬) বেতকা ইউনিয়নের রান্ধুনীবাড়ি এলাকার আলমগীরের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার নূরানী শাখার ছাত্রী ছিল।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাদ্রাসা ছুটির পর বাড়ি ফিরছিল আরবী। এ সময় একটি বাস টঙ্গিবাড়ীর দিকে যাচ্ছিল। এ সময় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আরবীকে চাপা দেয়। এতে তার শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে যায়। ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে শিশুটির মৃত্যু হয়।
এ ঘটনার পরপর বাসের চালক ও তাঁর সহকারী পালিয়ে যান। একপর্যায়ে উত্তেজিত লোকজন যাত্রীদের নামিয়ে বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। পরে ঘণ্টাখানেক ধরে সিরাজদিখান-বেতকা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।

প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় বাসটির আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানান মুন্সিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।

টঙ্গিবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, স্বজনেরা শিশুটির লাশ বাড়ি নিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ