আশাবাদ

পাখিডাকা ভোর,
এবং
নন্দনস্নিগ্ধতা।
হায়!
পাতাঝরা জীবন এখন কৃষ্ণপক্ষে।
হাতের মুঠোয় জ্বলন্ত উনুন
বুকপকেটে কবিতাব্যঞ্জনা;
চারপাশে নিঃঝুম নিস্তব্ধতা।
অপেক্ষা, রোদেলা দুপুরের. . .।

আবাল্য স্মৃতি

পুরো পৃথিবী হাতের তালুতে রেখে
ঘুমিয়ে পড়ি ইছাবার শিয়রে
বৃষ্টিময় জোছনায়

পাতালপুরীতে খেলা করে
সাপ আর ভ্রমর,
বৈকুণ্ঠে বাজে জয়ধ্বনি
ইছাবার জলে কাঁপন ধরে
আবাল্য স্মৃতির মুখে
ঝরে পড়ে অট্টহাসি.

..

বৃক্ষেরা সাক্ষী থাক

রজনীগন্ধার বিমুগ্ধ চাহনিতে
ঝরে পড়ে স্নিগ্ধ রূপময় স্বর্ণাভ আলো
বাতাসে শীতের স্পন্দিত মদির উচাটন
রঙিন ঝালরে পেখম ধরেছে স্মৃতির ময়ূর।
ও পথ গেছে গোকুলে
ও পথ গেছে নিমতলায়...
ও পথেই গন্ধরাজ মেলেছে সুরভি ডানা
পথের ধুলোয় পড়ে আছে কালের ফসিল
দুহাতে লুটে নিতে চায় মন!
আমার পথের নিশানা গেছি ভুলে
জোছনাগায়ে বিলি কাটে চন্দ্রাহত বালকবেলা
দুহাতে কুয়াশামোড়া জোনাকপোকা ধরি
নিরুদ্বেগ আবেগে সামনে এগোই
পথের ভুল নাকি মনের ভুল
বৃক্ষেরাই সাক্ষী থাক...

পরিচয়

অখিল জানে সোনালি দিনের কথা
আর জানে পুষ্পমঞ্জুরি
নদীর শিয়রে জমা আছে বকুলগন্ধা স্মৃতি

জোয়ারে আসে নতুন পানিমাছ
বিশ্বরূপ দেখে জাগ্রত বৃক্ষজীবন
আমারও ইচ্ছে হয়
আবার দড়াটানায় জনতার সাথে মিশে যেতে

বিপুলবিস্তারে চেয়ে আছে পত্রপল্লব
নরম নরম রোদেরা কুসুমছড়ায়
আমিও মিশে যেতে যেতে
রোদ দেখি, কুসুমমঞ্জুরি পকেটে পুরি

অখিল বন্ধু জানে কেতকীবনে
আমাদের সবুজাভ ইতিবৃত্ত

যত্ন করে দুঃখ পুষি

যত্ন করে বেদনার রং মাখি
গুগলে দুঃখমুখ দেখে দেখে বৃষ্টিপ্রহর গুনি
রাস্তার জলাবদ্ধতায় মন আটকে যায়
হাঁটুজলে ফোরস্ট্রোক আটকাবার মতো।
গভীর প্রণয়ের ভেজাল মুখ ভ্যাংচায়
অখিল জানল না তার অপরাধ কী
মধুমিতা সুখ নাকি দুঃখের সায়ের নৌকা
ভাসিয়েছে
জানা হলো না তা-ও
ও পাড়ার নিখিলেশ সেদিন জাল ফেলতে চেয়েছিল মেঘলার হৃদয়পুকুরে
ব্যর্থ হলো, নিরাভরণ ভিখারি জানে না অলংকারের সুখ;
ও বৃষ্টি, ও আষাঢ়, মুখ গোমরা করে থেকো না
মেঘলা আকাশ। মেঘলার চোখে কেবল দুঃখজল
ডানা ঝাপটায় গুলিবিদ্ধ রঙিন এক পাখি,
যত্ন করে দুঃখ পুষি মেঘলার হাসিমুখ দেখার অপেক্ষায়।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ন্যায়বিচার হয়েছে, এই রায় সামনের দিনের জন্য একটা উদাহরণ: সালাহউদ্দিন আহমদ

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলায় যে রায় হয়েছে, তাতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, এই বিচার, এই রায় সামনের দিনের জন্য একটা উদাহরণ।

আজ সোমবার রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে আসামিদের অপরাধের তুলনায় এই সাজা যথেষ্ট কম। কিন্তু আইনে এর ওপরে কোনো সাজা নাই।

আজ বেলা তিনটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই প্রতিক্রিয়া জানান সালাহউদ্দিন আহমদ। এর আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আরেক আসামি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড। বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আজ সোমবার এই রায় ঘোষণা করেন। এই ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, এই রায়ের মধ্য দিয়ে কয়েকটি জিনিস প্রমাণিত হয়েছে। ফ্যাসিস্ট, স্বৈরাচার যত শক্তিশালী হোক, যত দীর্ঘদিনই রাষ্ট্রক্ষমতা অবৈধভাবে পরিচালিত করুক, ক্ষমতা ভোগ করুক, একদিন না একদিন আদালতের কাঠগড়ায় তাঁদের দাঁড়াতেই হবে।

আরও যেসব মামলা আছে, সেই মামলাগুলোতেও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন সালাহউদ্দিন আহমদ।

এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, এই বিচার অপরাধের তুলনায় যথেষ্ট নয়। কিন্তু এটা শুধু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা নয়, সামনের দিনের জন্য একটা উদাহরণ। ভবিষ্যতে যাতে এই রাষ্ট্রে কেউ আর ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা কায়েম না করতে পারে, ফ্যাসিস্ট না হয়ে উঠতে পারে, একনায়কতন্ত্র যাতে প্রতিষ্ঠা না হয়, তার একটি উদাহরণ। এটা ভবিষ্যতের জন্য একটা শিক্ষা। শুধু অতীতের জন্য বিচার নয়, এটা মনে রাখতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ