গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মাত্র ১৫ টাকা নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে ছুরিকাঘাতে আকবর হোসেন (২৫) নামের এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার পূর্বচন্দ্রা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত আকবর হোসেন যশোরের কেশবপুর উপজেলার ভান্ডারখোলা গ্রামের মোবারক মোড়লের ছেলে। তিনি কালিয়াকৈরের পূর্বচন্দ্রা এলাকার অ্যাপেক্স ল্যাঞ্জারির সামনে মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তির পোলট্রির খাদ্য বিক্রির দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। এ ঘটনায় আটক কিশোর একই দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিহত আকবর ও অভিযুক্ত কিশোর যে দোকানে কাজ করে, তার পাশে একটি শৌচাগার ও গোসলখানা আছে। সকালে সেখানে গোসল করতে যায় ওই কিশোর। সে ভুলে গোসলখানায় ১৫ টাকা ফেলে আসে। কিছুক্ষণ পর সেই গোসলখানায় যান আকবর। গোসল শেষে বেরিয়ে এলে অভিযুক্ত কিশোর গোসলখানায় ঢুকে দেখে টাকা নেই। সে ওই টাকা আকবরের কাছে চাইলে তিনি দিতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ওই কিশোর দোকানের ছুরি দিয়ে আকবরের বুকে আঘাত করেন। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

একই সময় ওই কিশোরকে আটক করে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায় এবং অভিযুক্ত কিশোরকে থানা হেফাজতে নেয়।

ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, ‘সকালে বাড়িতে থাকা অবস্থায় আমার দুই কর্মচারী দোকান খুলে ব্যবসা চালাচ্ছিল। ওই সময় তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে এক কর্মচারী (কিশোর) দোকানে থাকা ছুরি দিয়ে আকবরের বুকে আঘাত করে।’

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মান্নান প্রথম আলোকে বলেন, নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধারের পাশাপাশি এক কিশোরকে আটক করা হয়েছে। আটক কিশোর জানিয়েছে, ১৫ টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। প্রকৃত ঘটনা জানতে তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক শ রক ১৫ ট ক আটক ক এ ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

বাড়ির মেয়েদের দিকে কুদৃষ্টি দেওয়ায় আকবরকে হত্যা

নড়াইল সদর উপজেলার শড়াতলা গ্রামের ইজিবাইক চালক আকবর ফকিরকে (৬৫) হত্যার ঘটনায়  বাবু সরদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেলা গোয়েন্দা ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অভিযুক্তকে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

গত ২৬ সেপ্টেম্বর ভোরে সদর উপজেলার বুড়িখালী এলাকার বাঁশবাগান থেকে আকবর ফকিরের গলা ও শরীরের গোপনাঙ্গ কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় তার দেহ গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় ছিল। নিহত আকবর ফকির একই ইউনিয়নের শড়াতলা গ্রামের মৃত মমিন ফকিরের ছেলে।

আরো পড়ুন:

কক্সবাজারে ছাত্রলীগ কর্মীর ছুরিকাঘাতে জামায়াতের যুব বিভাগের নেতা নিহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যু, ফাঁড়ি ঘেরাও 

নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে নড়াইলের পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর নিহতের ছেলে নাজির ফকির বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। পরে জেলা গোয়েন্দাহ পুলিশের একাধিক টিম হত্যার রহস্য উদঘাটন ও আসামি শনাক্তে কাজ শুরু করে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে লোহাগড়া উপজেলার মশাগুনি এলাকার ব্র্যাক অফিস এলাকা থেকে বাবু সরদারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার বাবু সরদার হত্যার দায় স্বীকার করে জানান, নিহত আকবর ফকির দীর্ঘদিন ধরে তার স্ত্রীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন এবং শ্বাশুড়িকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তিনি তার মেয়ে ও পুত্রবধূর দিকে কুদৃষ্টি দেন। এসব ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই আকবর ফকিরকে হত্যা করেন বলে জানান বাবু সরদার।

পরিকল্পনা অনুযায়ী বাবু সরদার একটি চাকু এবং স্থানীয় ফার্মেসি থেকে ২০টি অ্যালার্জির ট্যাবলেট কেনেন। হত্যার দিন রাতে আকবর ফকিরকে কৌশলে নির্ধারিত স্থানে ডেকে কোমল পানীয়র সঙ্গে ট্যাবলেট মিশিয়ে পান করান। অচেতন হয়ে পড়লে গামছার টুকরা দিয়ে হাত-পা গাছে বেঁধে চাকু দিয়ে গলা কেটে আকবর ফকিরকে হত্যা করেন তিনি। পরে মরদেহ বিকৃত করতে নিহতের অন্ডকোষ ও গোপনাঙ্গ কেটে ফেলেন।

পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার বাবু সরদার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে অন্য কারো সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

ঢাকা/শরিফুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সংস্থার কার্যালয় পরিত্যক্ত, ঝোপঝাড়ে ঘেরা টিনশেডে ভিমরুলের চাক
  • বাড়ির মেয়েদের দিকে কুদৃষ্টি দেওয়ায় আকবরকে হত্যা