গাজীপুর ব্যাংক কর্মকর্তা অপহরণ, মুক্তিপণে মুক্তি
Published: 26th, September 2025 GMT
গাজীপুরের শ্রীপুরে প্রাইভেটকারে তুলে ইসলামী ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে অপহরণ করে সন্ত্রাসীরা। পরে পরিবারের কাছ থেকে ৯০ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করে চার ঘণ্টা পর তাকে ছেড়ে দেয় তারা। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাওনা চৌরাস্তার উড়ালসেতুর উত্তর পাশে পল্লী বিদ্যুৎ মোড়ে ঘটনাটি ঘটে।
অপহৃত মোকসেদ আলী ইসলামী ব্যাংক শ্রীপুর উপজেলার মাওনা শাখার জেনারেল ব্যাংকিং ইনচার্জ ও ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট (এফএভিপি)। তিনি গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তার পালের মাঠ এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করেন।
আরো পড়ুন:
নাসা গ্রুপের শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭
টিকটক ভিডিও করতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু
মোকসেদ আলী জানান, অফিস শেষে বাসে বাড়ি ফেরার জন্য বাসের অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। দীর্ঘ সময় গাড়ি না পেয়ে তিনি দুইজন অজ্ঞাত যাত্রীর সঙ্গে একটি সাদা প্রাইভেটকারে ওঠেন। কিছু দূর যাওয়ার পর গাড়িতে থাকা যাত্রীরা তার হাত-পা ও চোখ বেঁধে ফেলে। এ সময় তাকে মারধর করে বাসার ঠিকানা ও পরিবারের তথ্য নেয় তারা। পরে তার ফোন থেকে স্ত্রীকে কল দিয়ে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। ভয় দেখানো হয় টাকা না দিলে তাকে হত্যা করে লাশ জঙ্গলে ফেলে দেওয়ার। শেষ পর্যন্ত পরিবার বিকাশে ৯০ হাজার টাকা পরিশোধ করে।
তিনি জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার সিডস্টোর এলাকার এক জঙ্গলে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তাকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা। তারা তার কাছ থেকে দুইটি মোবাইল ফোন ও নগদ সাত হাজার টাকা কেড়ে নেয়। পরে নিজেই বাঁধন খুলে সড়কে উঠে স্থানীয় এক অটোরিকশা চালকের সহায়তায় সিডস্টোর থেকে বাসে করে গাজীপুরে বাসায় ফিরে আসেন তিনি রাত ১২টার দিকে।
মাওনা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আইয়ুব আলী জানান, এ ধরনের ঘটনার বিষয়ে তার জানা নেই।
শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহম্মদ আব্দুল বারিক জানান, এ বিষয়ে মৌখিকভাবে খবর পাওয়া গিয়েছিল। ভুক্তভোগী এখনো লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গাজীপুর হাইওয়ে পুলিশ সুপার ড.
ঢাকা/রফিক/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ অপহরণ পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
ময়মনসিংহে গারো স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, একজন গ্রেপ্তার
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে গারো স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রাত ১০টার দিকে জুগলি ইউনিয়নের নয়াপাগা গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মিলন মিয়া (২১)। তিনি একই এলাকার বাসিন্দা ও পেশায় অটোরিকশাচালক। এর আগে গতকাল রাতেই মূল অভিযুক্ত আবুল বাশার (২৫) ও তাঁর সহযোগী মিলন মিয়াকে আসামি করে হালুয়াঘাট থানায় মামলা করেন ওই ছাত্রীর মা। তবে মামলার প্রধান আসামিকে আজ সকাল পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা যায়নি।
আরও পড়ুনহালুয়াঘাটে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ১৫ ঘণ্টা আগেপুলিশ, স্থানীয় বাসিন্দা ওই কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরী (১৫) নবম শ্রেণিতে পড়ে। গত সোমবার দুপুরে মিলন মিয়ার (২১) সঙ্গে সে একটি পার্কে বেড়াতে যায়। বিকেলের দিকে সেখান থেকে বাড়ি পৌঁছে দিতে কিশোরীটিকে বাশারের অটোরিকশায় তুলে দেন মিলন। এ সময় বাশার হালুয়াঘাট উপজেলা শহরে পূজামণ্ডপ দেখানোর কথা বলে মেয়েটিকে নিয়ে ঘুরতে থাকেন। একপর্যায়ে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে স্কুলছাত্রীটিকে ধর্ষণ করেন। এরপর রাত ১১টার দিকে গামারীতলা এলাকায় তাকে নামিয়ে দিয়ে অটোরিকশাচালক চলে যান। পরে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে তাকে বাড়িতে নিয়ে যান।
খবর পেয়ে পুলিশ গতকাল রাতেই আবুল বাশারের (২৫) বাড়িতে অভিযান চালায়। তবে তাঁকে পাওয়া যায়নি। ওই সময় অটোরিকশাটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
হালুয়াঘাট থাকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে আমাদের চেষ্টা চলছে। তাঁর সহযোগী মিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মিলন জানিয়াছেন, মেয়েটি তাঁর বন্ধু।’
এদিকে হালুয়াঘাটে গারো ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী ছাত্র ও যুব সংগঠনগুলো। আজ বেলা তিনটায় ঢাকা শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সদস্য সাবেক যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) অলিক মৃ।
আজ বুধবার সকালে নিজের ফেসবুকে পেজে পোস্ট দিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ওই ঘটনার নিন্দা ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মেয়েটি জীবনের সবচেয়ে বড় ক্ষতি ও বিপর্যয়ের সম্মুখীন। মেয়েটির মা বিএনপি পরিবারের সদস্য ও গত ৩ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মিছিলেও অন্য গারো নারীদের সঙ্গে অংশ নিয়েছেন। অবশ্যই এই ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতে হবে।