বাংলাদেশের বাজে ব্যাটিংয়ের ব্যাখ্যায় যা বললেন কোচ সিমন্স
Published: 26th, September 2025 GMT
জয়ের জন্য লক্ষ্য ১৩৬। দুবাইয়ে পাকিস্তানের বোলিংয়ের বিপক্ষে ১৩৬ করা কোনোভাবেই অগ্নিপরীক্ষা হওয়ার কথা না। ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনিসদের কথা বাদই দিন, পাকিস্তানের এই বোলিং লাইন আপে একজন উমর গুল কিংবা সাঈদ আজমলও ছিল না। শাহিন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ নেওয়াজদের বিপক্ষে যদি ব্যাটিংয়ে এই দশা হয়, তাহলে এর ব্যাখ্যা কী? বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্সের মুখেই শুনুন সেই ব্যাখ্যা।
এশিয়া কাপের অলিখিত সেমিফাইনালে গতকাল পাকিস্তানের কাছে ১১ রানে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে সিমন্স বলেন, ‘সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। সব দলকেই কোনো না কোনো সময় এমন দিনের মুখোমুখি হতে হয়। আজ (গতকাল) আমাদের তেমন দিন গেল; আমাদের সিদ্ধান্ত আর শট নির্বাচন ভালো হয়নি।’
কাল ৪ নম্বরে ব্যাটিং করেছেন স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যার গড় ১১, আর স্ট্রাইকরেট ১০০। এমন একজনের কি আসলেই ৪ নম্বরের মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটিং পজিশনে ব্যাটিং করার সামর্থ্য আছে?
বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে পাকিস্তান.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯
ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে ৬৯ জন হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ-সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা আজ বুধবার এ খবর জানান। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা ও পানি-বিদ্যুতের সংযোগ আবার চালু করার চেষ্টা করছে ফিলিপাইন সরকার।
দেশটির সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা রাফি আলেজান্দ্রো সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার আগে সেবু প্রদেশের উত্তরে বোগো শহরের কাছে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। স্থানীয় হাসপাতালগুলো আহত মানুষের ভিড়ে রীতিমতো উপচে পড়ছে।
আঞ্চলিক সিভিল ডিফেন্স দপ্তরের তথ্য কর্মকর্তা জেন আবাপো বলেন, সেবুর প্রাদেশিক দুর্যোগ দপ্তরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৬৯ জন। অন্য একজন কর্মকর্তা জানান, আহত হয়েছেন ১৫০ জনের বেশি।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের দ্রুত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিবেরা ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রিয়জন হারানো ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
সেবু ফিলিপাইনের জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যগুলোর একটি। সেখানে প্রায় ৩৪ লাখ মানুষের বসবাস। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ম্যাকতান-সেবু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম চালু রয়েছে। এটা ফিলিপাইনের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর।
ভূমিকম্পে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সান রেমিগিও শহরটিও। উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য এ শহরে ‘দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা’ ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের ভাইস মেয়র আলফি রেইনেস বলেন, উদ্ধারকর্মীদের জন্য খাবার ও পানি, সেই সঙ্গে ভারী সরঞ্জাম প্রয়োজন।
স্থানীয় ডিজেডএমএম রেডিওকে আলফি রেইনেস বলেন, ‘ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বিদ্যুৎ নেই। আমাদের সত্যিই সহায়তা দরকার। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে পানির তীব্র সংকট রয়েছে। ভূমিকম্পে সেখানে সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
আরও পড়ুনফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত অন্তত ২৬, চলছে উদ্ধারকাজ৫ ঘণ্টা আগে