মাত্র ৫২ বছর বয়সে ভারতীয় গায়ক জুবিন গার্গের আকস্মিত মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন তার লাখ লাখ ভক্ত-অনুরাগীরা। সিঙ্গাপুর থেকে তার মরদেহ আসামে পৌঁছানোর পর কার্যত থমকে যায় রাজ্যটি। লাখ লাখ শোকাহত ভক্ত-অনুরাগী গুয়াহাটিসহ রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে গিয়ে ভিড় করে; তৈরি হয় ভারতের সাংস্কৃতিক ইতিহাসের অন্যতম স্মরণীয় মুহূর্ত; যা একজন সুপারস্টারের তারকা খ্যাতিকেও হার মানায়।

শহরের রাস্তাগুলো কার্যত অচল হয়ে পড়েছিল, ভালোবাসার জোয়ারে ভেসে আসে মানুষের স্রোত। গান, অশ্রু, প্রার্থনা এবং নিঃশব্দ অভিবাদনে প্রতিফলিত হয় জুবিন গার্গের প্রতি মানুষের গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা। লিমকা বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস জানায়, জুবিন গার্গের শোকযাত্রায় প্রায় ২০ লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন; যা বিশ্বের চতুর্থ জমায়েত। এর আগে সংগীতশিল্পী মাইকেল জ্যাকসন, পোপ ফ্রান্সিস এবং রানি এলিজাবেথ দ্বিতীয় মারা যাওয়ার পর এমন দৃশ্য দেখা গিয়েছিল। 

আরো পড়ুন:

শাহরুখ পুত্রের ওয়েব সিরিজ: সেই ওয়াংখেড়ের মামলা

৬ দিনে অক্ষয়ের সিনেমার আয় ১৩৯ কোটি টাকা

জুবিনের শোকযাত্রার দৃশ্য দেখার পর একটা প্রশ্ন সবার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে, তা হলো—শুধু গানের জন্যই একজন মানুষ এতটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন? না কি জুবিনের গানের অন্তরালে অন্য কিছু লুকিয়ে ছিল? চলুন, এই প্রশ্নের উত্তর উদ্ধারের চেষ্টা করা যাক—

জুবিন গার্গ শুধু একজন গায়ক ছিলেন না; তিনি ছিলেন একজন সৎ ও নির্ভীক ব্যক্তিত্ব। সহজ ভাষায় নিজের মনের কথা বলতেন, যা সাধারণ মানুষ খুব সহজেই বুঝতে পারতেন। ভণ্ডামির বিরুদ্ধে কথা বলতেন জুবিন। গরিবদের পাশে দাঁড়াতেন, সামাজিক ইস্যু নিয়ে সরব হতেন, প্রকৃতি ও প্রাণীদের প্রতি ছিল তার গভীর মমতা ও ভালোবাসা। এই সব গুণই জুবিনকে আসাম ছাড়িয়ে সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতে আইকনে পরিণত করেছিল।

মঞ্চে জুবিনের উপস্থিতি ছিল প্রাণবন্ত, কখনো কখনো অপ্রত্যাশিত। ভূপেন হাজরিকার মতো শান্ত ও মেলোডিক গানে অভ্যস্ত প্রবীণ শ্রোতারা প্রথমে জুবিনকে গ্রহণ করতে একটু দ্বিধায় ছিলেন। কিন্তু তার গানই শেষ পর্যন্ত একটি নতুন ধারা সৃষ্টি করেছিল অসমীয় সংস্কৃতিতে। প্রেম, আশা, দুঃখ-বেদনা, আনন্দ—সব মিলিয়ে তার গানগুলো ছিল আবেগে ভরপুর, যা সমালোচকদের মনও জয় করে নিয়েছিল।

নানা ধরনের হুমকি ও প্রথার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন জুবিন গার্গ। ইউনাইটেড লিবারেশ ফ্রন্ট অব আসামের (ইউএলএফএ) হিন্দি গান নিষিদ্ধ করার নিয়ম উপেক্ষা করে বহু অনুষ্ঠানে হিন্দি গান গেয়েছেন জুবিন। কিছু ধর্মীয় রীতিনীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এমনকি, তার নৃত্যশৈলী অনুকরণ করার বিষয়ে রাজনীতিবিদদের সঙ্গে রসিকতাও করেছিলেন জুবিন। ভারতের নতুন নাগরিকত্ব আইন (সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট—সিএএস)-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন। অর্থাৎ জুবিনের প্রভাব কেবল সংগীতেই সীমাবদ্ধ ছিল না; তা ছড়িয়েছিল সমাজের নানা স্তরে। 

জুবিনের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে নানা সময়ে নানা গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। পরে এক সাক্ষাৎকারে জুবিন বলেছিলেন—“আমি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নই। আমি একজন গায়ক; যে আমাকে পারিশ্রমিক দেবেন, আমি তার জন্য গান গাইব।”

জুবিনের জীবনে নরম দিকও ছিল। প্রায়ই তার প্রয়াত মা, ছোট বোন জনকির (সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান মাত্র ২৬ বছর বয়সে) কথা ভালোবাসা ভরে বলতেন। জুবিন পশুদের খুব ভালোবাসতেন। পশুদের উদ্ধার করে নামও দিতেন তিনি। তার সাহসিকতা আর কোমল হৃদয় তাকে বিশেষ একটি স্থানে নিয়ে গিয়েছিল, মানুষের মনে তার স্থায়ী আসন তৈরি করেছিল।

১৯৭২ সালের ১৮ নভেম্বর মেঘালয়ের তুরা শহরে অসমীয়া একটি ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন জুবিন গার্গ। তার বাবার নাম মোহনী মোহন ববঠাকুর, মায়ের নাম ইলি ববঠাকুর। প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক জুবিন মেহতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মোহন-এলি দম্পতি পুত্রের নাম রাখেন জুবিন ববঠাকুর। কিন্তু পিতা-মাতার পদবি ‘ববঠাকুর’ বহন না করে, তিনি তার ব্রাহ্মণ গাত্রের (গোত্র) উপাধি ‘গার্গ’ গ্রহণ করেন। এই সিদ্ধান্তের ফলে তার একটি স্বতন্ত্র পরিচয় তৈরি হয়—যা বিশ্বজোড়া অনুপ্রেরণার সঙ্গে অসমীয় ঐতিহ্যের ভারসাম্য রক্ষা করে। যদিও ‘মানব ধর্মে’ বিশ্বাসী ছিলেন জুবিন।

জুবিন গার্গ একাধারে ছিলেন গায়ক, সংগীত পরিচালক, সুরকার, গীতিকার, সংগীত প্রযোজক, অভিনেতা ও চলচ্চিত্র পরিচালক। ১৯৯২ সালে অনুষ্ঠিত যুব মহোৎসব পাশ্চাত্য একক পরিবেশনায় স্বর্ণপদক লাভ করার পর জুবিনের জীবন বদলে যায়। ১৯৯২ সালে অসমিয়া অ্যালবাম ‘অনামিকা’ মুক্তির মাধ্যমে জুবিন পেশাদার সংগীতজগতে প্রবেশ করেন। ২০০৬ সালে ‘গ্যাংস্টার’ সিনেমায় ‘ইয়া আলি’ গান গেয়ে তাক লাগিয়ে দেন জুবিন। তারপর বেশ কিছু সুপারহিট গান উপহার দেন তিনি। ভারতীয় বাংলা সিনেমার বেশ কিছু সুপারহিট গানের  শিল্পী জুবিন। ৩৩ বছরের ক্যারিয়ারে ৪০টি ভাষায় ৩৮ হাজারের বেশি গান গেয়েছেন এই শিল্পী।   

মাত্র ৩ বছর বয়সে গান শুরু করেছিলেন জুবিন। অসমীয়া লোকসংগীত, শাস্ত্রীয় সংগীত, পাশ্চাত্য এবং বলিউড সংগীত—সব ক্ষেত্রেই দক্ষতা দেখিয়েছেন জুবিন। বলিউড তাকে খ্যাতি ও অর্থ দিলেও, তিনি ফিরে এসেছিলেন আসামে—নিজের মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধ ও অনুপ্রেরণামূলক সংগীত তৈরির ইচ্ছায়। পরে বলিউডে খুব একটা কাজ করতে দেখা যায়নি তাকে। আসামের আঞ্চলিক সংগীত নিয়েই বেশি ব্যস্ত ছিলেন এই শিল্পী। গত ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে মারা যান জুবিন; চিরতরে স্তব্ধ হয়ে যায় এই গায়কের কণ্ঠ।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ রহণ কর কর ছ ল

এছাড়াও পড়ুন:

সংবেদনশীল না হলে কেউ ভালো শিল্পী হতে পারে না: জুয়েল আইচ

ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে প্রায়ই তরুণদের দেখা যায় সঠিক দিকনির্দেশনার অভাবে ভুগতে। ফলে অনেক সময় যথেষ্ট মেধা, আগ্রহ ও দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও তাঁরা ক্যারিয়ারে ভালো করতে পারেন না। তরুণদের সঠিক দিকনির্দেশনা ও অনুপ্রেরণা জোগাতে প্রথম আলো ডটকম ও প্রাইম ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত পডকাস্ট শো ‘লিগ্যাসি উইথ এমআরএইচ’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মোহাম্মদ রিদওয়ানুল হকের সঞ্চালনায় একাদশতম পর্বে অতিথি হিসেবে অংশ নেন বিশ্বখ্যাত জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ। আলোচনার বিষয় ছিল ‘শিল্প, মুক্তিযুদ্ধ এবং মানবতার সংমিশ্রণে গঠিত এক অনন্য লিগ্যাসি’।

‘মানুষ তার আশার সমান সুন্দর, বিশ্বাসের সমান বড় এবং কাজের সমান সফল। কাজই মুক্তি। তবে আশাও বড় রাখতে হবে। আশা না থাকলে কাজ হবে না।’ ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে তরুণদের উদ্দেশে কথাগুলো বলেন জুয়েল আইচ। পডকাস্ট শোর এ পর্ব প্রচারিত হয় গতকাল শনিবার প্রথম আলোর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে।

পডকাস্টের শুরুতেই সঞ্চালক জানতে চান, মুক্তিযুদ্ধের শরণার্থীশিবিরে প্রথম যেদিন জাদু দেখালেন, সেই অনুভূতি কেমন ছিল?

উত্তরে জুয়েল আইচ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ যখন শুরু হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সব বাদ দিয়ে যুদ্ধে যোগ দিই। আমরাই খুব সম্ভবত প্রথম পাকিস্তানি বাহিনীকে প্রতিহত করি। আমি শৈশব থেকেই জাদু দেখাই। তবে মুক্তিযুদ্ধের শরণার্থীশিবিরে জাদু দেখানোর সেই অনুভূতিটি ছিল একেবারেই ম্যাজিক্যাল।’

প্রসঙ্গক্রমে সঞ্চালক জানতে চান, শিল্পকে সাহস করে অস্ত্রতে পরিণত করার এই আত্মবিশ্বাস কোথা থেকে এল?

জুয়েল আইচ বলেন, ‘এটা আত্মবিশ্বাস নয়। আমি অসম্মান সহ্য করতে পারি না। আমার জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই দেখছিলাম, তারা (পাকিস্তান) আমাদের বিভিন্নভাবে অসম্মান করে আসছে। কখনো গানে, কখনো ছবি এঁকে কিংবা কবিতার ভাষায় আমরা সব সময় এর প্রতিবাদ করে এসেছি। এভাবে করেই শেষ পর্যন্ত আমরা মুক্তিযুদ্ধে নেমে গেলাম।’

জুয়েল আইচকে কেউ বলেন ম্যাজিশিয়ান, আবার কেউ বলেন মিউজিশিয়ান। তবে জুয়েল আইচ একজন দার্শনিকও বটে। জাদুর মোহনীয়তা আর বাস্তবতার যে রূঢ় চিত্র—এই দুটো আপনার জীবনে কেমন প্রভাব ফেলেছে?

সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের উত্তরে জুয়েল আইচ বলেন, ‘বাস্তবতাকে আমরা বলে থাকি “কঠিন” আর স্বপ্ন তো আমরা আকাশসমান ভাবতে পারি। একদম রংধনুর মতো সাত রং। এই দুটোকে যদি কেউ আয়ত্ত না করতে পারে, তবে তার জীবন কিন্তু সেখানেই শেষ। সে বেঁচে থাকবে কিন্তু মরার মতো।’ তিনি বলেন, ‘সে জন্য আত্মনিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা দরকার। যেমন আপনি কোনোভাবেই আমাকে দুঃখী বানাতে পারবেন না। আমি দুঃখ পাই না, তবে বারবার আমাকে খ্যাপাতে থাকলে আমি রুখে দাঁড়াই।’

জুয়েল আইচ কখনোই পরিপূর্ণ প্রস্তুতি ছাড়া স্টেজে ওঠেন না। সঞ্চালক জানতে চান, এর পেছনে কারণ কী?

জুয়েল আইচ বলেন, প্রস্তুতি ছাড়া কোনো কাজ সুন্দরমতো হয় না। প্রস্তুতি ছাড়া যদি কেউ কিছু করে, তবে সেগুলো অনেক নিম্নমানের হবে। তিনি বলেন, ‘আমি একটি বাঁশি দিয়ে সব রাগ বাজাতে পারি। এটা কি এক দিনেই সম্ভব!’

আপনার পারফরম্যান্সের সময় আপনি মাঝেমধ্যে নিঃশব্দ হয়ে যান। যেখানে কোনো উদ্যম নেই। এই ‘সাইলেন্স’-এর কারণটা কী?

সঞ্চালক জানতে চাইলে জুয়েল আইচ বলেন, শব্দের চেয়ে নিঃশব্দের ভাষা বেশি গভীর। একটি পেইন্টিং, যেখানে কোনো শব্দ থাকে না কিন্তু কত কিছু বলে দেয়! দেখবেন কেউ অনেক খেপে গেলে নীরব হয়ে যায়। আসলে শব্দে যা বলা যায়, নিঃশব্দে তার চেয়ে বেশি প্রকাশ করা সম্ভব।

বর্তমানের এই ডিজিটাল যুগে সবকিছুই হাতের নাগালে, এমনকি জাদুও। জাদু ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে আসার পর এর আবেদন কিছুটা কমে যাচ্ছে কি না? জানতে চাইলে জুয়েল আইচ বলেন, খালি চোখে দেখলে তা আসলেই কমে যাচ্ছে। কারণ, এখন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে যে জাদুগুলো দেখানো হচ্ছে, তা দেখে মানুষ বিস্মিত। তিনি বলেন, ‘তারা ভাবছে, আমরা আগে যেসব জাদু দেখেছি, এগুলো তো তার থেকেও বিস্ময়কর। কিন্তু তারা হয়তো বুঝতে পারছে না, এখন সবকিছুর সঙ্গে মিশে গেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।’

সঞ্চালক এরপর প্রশ্ন করেন, আপনি একসময় ‘পালস স্টপিং’ ধরনের ইলিউশন বন্ধ করেছিলেন। এর পেছনে উদ্দেশ্য কী ছিল?

জুয়েল আইচ বলেন, ‘এই পালস স্টপিংয়ের মাধ্যমে আমি পুরো দেশজুড়ে এক বিস্ময় সৃষ্টি করেছিলাম। দলে দলে মানুষ এটি দেখতে আসত। কিন্তু এসব দেখে মানুষ অনেক বেশি আতঙ্কিত হতো, অনেক মানুষ অজ্ঞান হয়ে পড়ত। একবার একজন অনেক বড় পালোয়ান এটি দেখতে এসে অজ্ঞান হয়ে পড়লেন। সেদিন শো শেষ করেই আমি আমার টিমকে বলি, এই ম্যাজিক আর হবে না। কারণ, এই ম্যাজিক এত এত মানুষকে ডেকে আনছে বটে কিন্তু এটি মাত্রা অতিক্রম করে ফেলছে। যা মোটেও ঠিক নয়।’

প্রসঙ্গক্রমে সঞ্চালক জানতে চান, তাহলে কি একজন শিল্পীকে সংবেদনশীলও হতে হয়?

‘অবশ্যই।’ জুয়েল আইচ বলেন, একজন শিল্পীকে অবশ্যই সংবেদনশীল হতে হবে। সংবেদনশীল না হলে তিনি ভালো শিল্পী হতে পারবেন না।

আপনি যেমন বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতাদের সামনে পারফর্ম করেছেন, তেমনি এমন শিশুদের জন্যও জাদু দেখিয়েছেন, যারা কখনো টিকিট কিনে শো দেখতে পারে না। আপনার চোখে আসল মর্যাদা কোথায়—বৃহৎ মঞ্চে, নাকি একটিমাত্র বিস্মিত মুখে?

সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে জুয়েল আইচ বলেন, ‘আসলে মঞ্চ ব্যাপার নয়। আমি আমার জাদুতে বিস্মিত এবং মুগ্ধ হয়ে থাকা দেখতে ভালোবাসি। শুধু বিস্ময় নয়, বিস্ময়ের সঙ্গে মুগ্ধতা আমার ভালো লাগে।’

আরও পড়ুননীতি আর মূল্যবোধ শক্ত থাকলে কেউ থামাতে পারবে না: রুবাবা দৌলা১২ অক্টোবর ২০২৫

পডকাস্টের শেষ পর্যায়ে সঞ্চালক জানতে চান, আমরা আরেকজন জুয়েল আইচ কবে পাব?

মুচকি হেসে জুয়েল আইচ বলেন, ‘যখন সেই উদ্যম নিয়ে কেউ কাজ করবে, ঠিক তখন। সে হয়তো আমাকেও ছাড়িয়ে যাবে। শুধু ম্যাজিকে নয়, সব দিক দিয়েই।’

আরও পড়ুনবাবা প্রথমে আমাকে অফিস সহকারীর কাজ দিয়েছিলেন: হাতিলের চেয়ারম্যান সেলিম এইচ রহমান০৫ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এপস্টেইনের নথি প্রকাশের পক্ষে হঠাৎ কেন অবস্থান নিলেন ট্রাম্প
  • এশিয়ার প্রভাবশালী নারী ব্যবসায়ী কারা, কীসের ব্যবসা তাঁদের
  • করদাতা মারা গেলেও যে কারণে কর দিতে হয়, কীভাবে দেওয়া হয়
  • ৩ কোটি টাকা, ব্যক্তিগত উড়োজাহাজসহ আরও যা যা পান একজন মিস ইউনিভার্স
  • গায়িকা থেকে বিধায়ক, মৈথিলীর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনুসারী চমকে ওঠার মতো
  • সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিলেন উপদেষ্টার এপিএস
  • বিএনপি নেতা খুন: অভিযুক্ত ছাত্রদল কর্মী ফেসবুকে লিখলেন ‘আউট’
  • সাজা হলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘কনভিকশন ওয়ারেন্টের’ আবেদন করা হবে
  • সূর্যের সামনে স্কাইডাইভার, তৈরি হয়েছে এক অলীক আলোকচিত্র
  • সংবেদনশীল না হলে কেউ ভালো শিল্পী হতে পারে না: জুয়েল আইচ