গহিন পাহাড়ে পাচারকারীদের কাছে বন্দী থাকা তিনজন উদ্ধার, আটক ১
Published: 26th, September 2025 GMT
কক্সবাজারের টেকনাফে মানব পাচারকারী চক্রের কাছে বন্দী থাকা তিনজনকে উদ্ধার করেছে বিজিবি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে উপজেলার বড়ইতলী এলাকার গহিন পাহাড় থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। এ সময় মানব পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে এক রোহিঙ্গা যুবককে আটক করা হয়েছে।
উদ্ধার তিনজন হলেন কক্সবাজারের রামু উপজেলার খুনিয়াপালং মরিচ্যার বাসিন্দা মৃত মো.
বিজিবি জানায়, গহিন পাহাড়ে কয়েকজন ব্যক্তিকে পাচারকারী চক্রের সদস্যরা আটকে রেখেছেন, এমন খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় পাচারকারী চক্রের এক সদস্যকে আটক এবং ওই তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার তিন ব্যক্তিকে সাগরপথে থাইল্যান্ড হয়ে মালয়েশিয়ায় নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে পাহাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাঁদের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা চলছিল। মুক্তিপণ না পেলে তাঁদের মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত মানব পাচারকারী একটি দলের কাছে বিক্রির হুমকি দেওয়া হয়।
টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, উদ্ধার হওয়া তিনজন এবং আটক রোহিঙ্গা যুবককে টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, টেকনাফে মানব পাচারের ঘটনা এবারই প্রথম নয়। চলতি মাসেই অন্তত পাঁচবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের অভিযানে আটক হয়েছেন মানব পাচারকারী চক্রের বেশ কিছু সদস্যকে। গত মঙ্গলবার টেকনাফের বাহারছড়ার কচ্ছপিয়ার গহিন পাহাড় থেকে অপহৃত পাঁচজনকে উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। এ ঘটনায় মানব পাচারকারী চক্রের দুই সদস্যকেও আটক করা হয়। সোমবার র্যাব ও বিজিবির অভিযানে অস্ত্রসহ তিনজন আটক করা হয়, উদ্ধার করা হয় ৮৪ জন ভুক্তভোগীকে। আবার ১৮ সেপ্টেম্বর কোস্টগার্ড ৬৬ জনকে উদ্ধার করে। ১৬ সেপ্টেম্বর বিজিবি ১২ জন মানব পাচারকারী সদস্যকে আটক ও ১১ ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম নব প চ র ত নজন
এছাড়াও পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে তিনজনকে হত্যার প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ
খাগড়াছড়িতে কিশোরীকে ধর্ষণের প্রতিবাদ ঘিরে সংঘর্ষে তিনজনকে হত্যার প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় সিপিবির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রাগিব আহসান বলেন, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী ও আঞ্চলিক আধিপত্যবাদী শক্তিগুলোর আগ্রাসী ভূরাজনৈতিক তৎপরতার কারণে লুসাই পর্বতমালাজুড়ে ক্রমাগত নিরাপত্তাঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ বাস্তবতায় বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের স্বার্থে ঐক্য ও সংহতি জোরদার করা বিশেষভাবে প্রয়োজন।
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন বলেন, পাহাড়ি কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণসহ সারা দেশে অব্যাহত ধর্ষণ-নিপীড়নের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও বিচার করতে হবে। পাহাড়ে স্থায়ী শান্তির জন্য পার্বত্য অঞ্চলে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
এ সময় সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহীন রহমান বলেন, সংবাদপত্র থেকে শুরু করে সরকারি নথিপত্র সর্বত্র ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর পরিচয় মুছে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও ভূমি সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হবে।
সমাবেশ পরিচালনা করেন সিপিবির ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটির সভাপতি হাসান হাফিজুর রহমান। বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম। সমাবেশ শেষে পল্টন মোড় থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব অভিমুখে একটি মিছিল হয়।