Risingbd:
2025-10-03@01:21:00 GMT

আমি এত বোকা মেয়ে মানুষ না: পিয়া

Published: 26th, September 2025 GMT

আমি এত বোকা মেয়ে মানুষ না: পিয়া

আলোচিত মডেল-অভিনেত্রী পিয়া জান্নাতুল। শোবিজ অঙ্গনের পাশাপাশি আইনজীবী হিসেবে কাজ করছেন এই অভিনেত্রী। বিশ্ব মানের বেশ কিছু সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বিজয়ের মুকুট ছিনিয়ে এনেছেন পিয়া। তবে এখন আর কোনো সুন্দরী প্রতিযোগিতায় তাকে দেখা যায়। 

‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ-২০২৫’ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত আসরে উপস্থিত হয়ে বিজয়ীর মুকুট পরিয়ে দেন পিয়া। এ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এই অভিনেত্রী। এ আলাচারিতায় তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, আপনি আবার কবে সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন?    

আরো পড়ুন:

একাত্তরে হারিয়েছি, আজকেও হারাব: চমক

এবার ধারাবাহিক নাটকে যুক্ত হলেন সুনেরাহ

এ প্রশ্নের জবাবে পিয়া জান্নাতুল বলেন, “আপনারা কী ভাবেন মেয়ে মানুষের বয়স হয় না। আমি যদি এখনো ষোলো বছর, পঁচিশ বছরের মেয়েদের মতো হেঁটে বেড়াই, আমি আমার কাজটা করব না? আমার যে মেধা, পড়াশোনা করেছি সেটার প্রতিফলন ঘটাব না? আমি আজীবন বিউটি প্রেজেন্টে যাব, আজীবন হাঁটব, আমি এত বোকা মেয়ে মানুষ না।” 

সাংবাদিকদের উদ্দেশে পিয়া জান্নাতুল বলেন, “আপনারা যে কাউকে মডেল বানিয়ে দেন। আমি ১৭-১৮ বছর ধরে মডেলিং করছি। আমি জিমে যাই, সেখানে কী কাপড় পরব, তা আমাকে চিন্তা করতে হয়। আবার যখন বাসায় থাকি বা কোনো সাধারণ অনুষ্ঠানে যোগ দিই, তখন একই পোশাক আমি বিশবার রিপিট করি। এটা নরমাল জীবন। এই নরমালাইজড ব্যাপারটা আপনারা করতে দেন। সবার পাবলিসিটি করা, লাইমলাইটে নিয়ে আসার তো কোনো কারণ নাই। যারা লাইমলাইটে আসার যোগ্য তাদেরকে লাইমলাইটে নিয়ে আসুন।” 

পিয়া ছোটবেলায় স্বপ্ন দেখতেন ব্যারিস্টার হওয়ার। তাই পড়াশোনা করেন লন্ডন কলেজ অব লিগ্যাল স্টাডিজে। ২০২২ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভূক্ত হন সঞ্চালক, মডেল-অভিনেত্রী পিয়া জান্নাতুল।  

২০০৭ সালে ‘মিস বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন পিয়া। এরপর কর্মজীবন শুরু করেন র‌্যাম্প মডেলিংয়ের মাধ্যমে। তিনি ফ্যাশন মডেলিংয়ের পাশাপাশি একাধিক ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনে কাজ করেন। 

২০১২ সালে ‘চোরাবালি’ চলচ্চিত্রে ‘সুজানা’ চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র জগতে পিয়ার আবির্ভাব ঘটে। এরপর ‘গ্যাংস্টার রিটার্নস’, ‘স্টোরি অব সামারা’, ‘প্রবাসী প্রেম’, ‘রোমান্স ইন আমেরিকা’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। 

চলচ্চিত্রে অভিনয় এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করায় তার তারকাখ্যাতি আরো বাড়িয়ে দেয়। ২০১১ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় আয়োজিত ‘ওয়ার্ল্ড মিস ইউনিভার্সিটি’ শিরোপা অর্জন করেন। এছাড়া মিশরে অনুষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড টপ মডেল’ প্রতিযোগিতায় শীর্ষ মডেল হওয়ার সাফল্য অর্জন করেন পিয়া।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

ভাইকে বাঁচাতে বান্ধবীকে ফাঁসানোর অভিযোগ

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ঘুমন্ত অবস্থায় বান্ধবীর ছবি তুলেছিলেন ভাই। বিষয়টি নিয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানালে ভাইকে বাঁচাতে উল্টো বান্ধবীর নামে মিথ্যা চুরির মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে তানিয়া হক নামের এক নারীর বিরুদ্ধে। 

এছাড়াও চুরির ঘটনার কোনো তদন্ত ছাড়াই মামলা নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাবনা জেলা জজকোর্টের সামনে গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন ভুক্তভোগী নারী ইফফাত মোকাররমার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রাসেল। 

পাবনা সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আখতারুজ্জামানের আদালত ভুক্তভোগী নারী ইফফাত মোকাররমা সানিমুনকে জামিন দিয়েছেন।

অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রাসেল বলেন, “আমার মক্কেল ইফফাত মোকাররমা দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতায় পেশায় নিয়োজিত। তিনি একজন সম্মানিত লোক। মামলার বাদীর সঙ্গে তার দীর্ঘদিন বন্ধুত্বের সম্পর্ক। সেই সম্পর্কের কারণে তার বান্ধবীর বাসায় গিয়েছিলেন এবং একসঙ্গে ঘোরাঘুরির পর যখন রাত্রীযাপন করছিলেন সেই সময়ে বাদীর ভাই ইফফাত মোকাররমার ছবি তুলেছিলেন। বিষয়টি টের পেয়ে তিনি তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানান এবং ছবিগুলো দেখানোর জন্য অনুরোধ করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরেরদিন সকালে আইনী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলে ইফফাত মোকাররমা ঢাকায় চলে যান এবং সেখানে জিডি করেন। কিন্তু এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে উল্টো ইফফাত মোকাররমার বিরুদ্ধে মিথ্যা চুরির মামলা দায়ের করেন তার বান্ধবী।”

তিনি আরো বলেন, “বাদী তানিয়া হক উল্লেখ করেছেন ২৬ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার চুরি হয়েছে যা তিনি তার শরীরে পড়ে তার বান্ধবীর সঙ্গে ঘুড়ে বেড়িয়েছিলেন। কিন্তু ওইদিনের ঘোরাঘুরির ছবিতে তার শরীরে কোনো স্বর্ণালঙ্কার ছিল না। এছাড়াও ঘটনার দুইদিনের মাথায় যেভাবে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে তাতে বোঝা যায় কোনো তদন্ত ছাড়াই থানা কোনো পক্ষ থেকে প্রভাবিত হয়ে মামলা গ্রহণ করেছেন।”

ভুক্তভোগী নারী ইফফাত মোকাররমা বলেন, “এই মামলার নূন্যতম প্রমাণ নেই। আমি যে একজন শিক্ষক হিসেবে আমার ছাত্রদের সামনে দাঁড়াবো সেই অবস্থাও তারা আমাকে রাখেনি। আমার সন্তানসহ পুরো পরিবার সামাজিকভাবে হেয় পতিপন্ন হচ্ছে। আমি চাই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”

এ বিষয়ে মামলার বাদীর তানিয়া হকের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করে ফোন রিসিভ না করায় মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, “উনি (আইনজীবী) উনার মক্কেলের জন্য এসব কথা বলতেই পারেন। উনার মক্কেলকে সুবিধা দেওয়ার জন্য এসব অভিযোগ করেছেন। কিন্তু ঘটনার তদন্ত করে এবং আইনানুগভাবেই মামলা দায়ের হয়েছে, যা এখনও তদন্ত চলছে।”

ঢাকা/শাহীন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঋণ আদায়ে লাগবে ৩৩৩ বছর
  • ভাইকে বাঁচাতে বান্ধবীকে ফাঁসানোর অভিযোগ