Risingbd:
2025-11-17@10:11:58 GMT

আমি এত বোকা মেয়ে মানুষ না: পিয়া

Published: 26th, September 2025 GMT

আমি এত বোকা মেয়ে মানুষ না: পিয়া

আলোচিত মডেল-অভিনেত্রী পিয়া জান্নাতুল। শোবিজ অঙ্গনের পাশাপাশি আইনজীবী হিসেবে কাজ করছেন এই অভিনেত্রী। বিশ্ব মানের বেশ কিছু সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বিজয়ের মুকুট ছিনিয়ে এনেছেন পিয়া। তবে এখন আর কোনো সুন্দরী প্রতিযোগিতায় তাকে দেখা যায়। 

‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ-২০২৫’ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত আসরে উপস্থিত হয়ে বিজয়ীর মুকুট পরিয়ে দেন পিয়া। এ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এই অভিনেত্রী। এ আলাচারিতায় তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, আপনি আবার কবে সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন?    

আরো পড়ুন:

একাত্তরে হারিয়েছি, আজকেও হারাব: চমক

এবার ধারাবাহিক নাটকে যুক্ত হলেন সুনেরাহ

এ প্রশ্নের জবাবে পিয়া জান্নাতুল বলেন, “আপনারা কী ভাবেন মেয়ে মানুষের বয়স হয় না। আমি যদি এখনো ষোলো বছর, পঁচিশ বছরের মেয়েদের মতো হেঁটে বেড়াই, আমি আমার কাজটা করব না? আমার যে মেধা, পড়াশোনা করেছি সেটার প্রতিফলন ঘটাব না? আমি আজীবন বিউটি প্রেজেন্টে যাব, আজীবন হাঁটব, আমি এত বোকা মেয়ে মানুষ না।” 

সাংবাদিকদের উদ্দেশে পিয়া জান্নাতুল বলেন, “আপনারা যে কাউকে মডেল বানিয়ে দেন। আমি ১৭-১৮ বছর ধরে মডেলিং করছি। আমি জিমে যাই, সেখানে কী কাপড় পরব, তা আমাকে চিন্তা করতে হয়। আবার যখন বাসায় থাকি বা কোনো সাধারণ অনুষ্ঠানে যোগ দিই, তখন একই পোশাক আমি বিশবার রিপিট করি। এটা নরমাল জীবন। এই নরমালাইজড ব্যাপারটা আপনারা করতে দেন। সবার পাবলিসিটি করা, লাইমলাইটে নিয়ে আসার তো কোনো কারণ নাই। যারা লাইমলাইটে আসার যোগ্য তাদেরকে লাইমলাইটে নিয়ে আসুন।” 

পিয়া ছোটবেলায় স্বপ্ন দেখতেন ব্যারিস্টার হওয়ার। তাই পড়াশোনা করেন লন্ডন কলেজ অব লিগ্যাল স্টাডিজে। ২০২২ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভূক্ত হন সঞ্চালক, মডেল-অভিনেত্রী পিয়া জান্নাতুল।  

২০০৭ সালে ‘মিস বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন পিয়া। এরপর কর্মজীবন শুরু করেন র‌্যাম্প মডেলিংয়ের মাধ্যমে। তিনি ফ্যাশন মডেলিংয়ের পাশাপাশি একাধিক ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনে কাজ করেন। 

২০১২ সালে ‘চোরাবালি’ চলচ্চিত্রে ‘সুজানা’ চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র জগতে পিয়ার আবির্ভাব ঘটে। এরপর ‘গ্যাংস্টার রিটার্নস’, ‘স্টোরি অব সামারা’, ‘প্রবাসী প্রেম’, ‘রোমান্স ইন আমেরিকা’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। 

চলচ্চিত্রে অভিনয় এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করায় তার তারকাখ্যাতি আরো বাড়িয়ে দেয়। ২০১১ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় আয়োজিত ‘ওয়ার্ল্ড মিস ইউনিভার্সিটি’ শিরোপা অর্জন করেন। এছাড়া মিশরে অনুষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড টপ মডেল’ প্রতিযোগিতায় শীর্ষ মডেল হওয়ার সাফল্য অর্জন করেন পিয়া।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

রিয়া মনির মামলায় জামিন পেলেন হিরো আলম

রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় হত্যাচেষ্টা, মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে সাবেক স্ত্রী রিয়া মনির করা মামলায় আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসান আজ শনিবার এই আদেশ দেন।

বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে হাতিরঝিল থানা থেকে হিরো আলমকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তাঁকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। কিছুক্ষণ পর পুলিশের কঠোর নিরাপত্তায় তাঁকে সিএমএম আদালতের ৯তলার এজলাসে নেওয়া হয়।

হিরো আলমের পক্ষের আইনজীবীরা তাঁর জামিন চেয়ে শুনানি করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে বিচারক ২০০ টাকা মুচলেকায় তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।

এদিকে হিরো আলমের মামলার শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন এই মামলার বাদী রিয়া মনি। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘হিরো আলমের একটা শিক্ষা হওয়া দরকার। আমাকে যেমন বিনা কারণে জেল খাটিয়েছে, তারও জেলে থাকা উচিত।’

এর আগে শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর হাতিরঝিল থানাধীন এলাকা থেকে সাবেক স্ত্রী রিয়া মনির দায়ের করা মামলায় হিরো আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামানের আদালত হিরো আলম ও তাঁর সহযোগী আহসান হাবিব সেলিমের বিরুদ্ধে ১২ নভেম্বর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। সেই পরোয়ানা অনুসারেই হিরো আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ২৩ জুন হাতিরঝিল থানায় রিয়া মনি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি হিরো আলম ও বাদী রিয়া মনির মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। এরপর হিরো আলম বাদীকে তালাক দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেন। গত ২১ জুন বাদীর পরিবারের সঙ্গে মীমাংসার কথা বলে হাতিরঝিল থানাধীন এলাকায় একটি বাসায় ডাকা হয়। ওই সময়ে হিরো আলমসহ ১০ থেকে ১২ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বাদী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। পরে তাঁরা বাদীর বর্তমান বাসায় বেআইনিভাবে প্রবেশ করে কাঠের লাঠি দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করেন। এতে বাদীর শরীরে জখম হয়। এ সময় তাঁর গলায় থাকা দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণের হার চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

আরও পড়ুনরিয়া মনির মামলায় হিরো আলম গ্রেপ্তার২ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এই রায়ে কষ্ট পেয়েছি: শেখ হাসিনার আইনজীবী
  • বিশ্ব দেখছে শেখ হাসিনার বিচার
  • হৃদয় থেকে বলছি, শেখ হাসিনা খালাস পেলে খুশি হব: রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী
  • জামিনের পর মামলা নিয়ে মেহজাবীনের বিবৃতি
  • দুই আসামিকে খালাসের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি পেল রাষ্ট্রপক্ষ
  • এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তিপ্রক্রিয়ায় অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নে নিষ্ক্রিয়তা প্রশ্নে রুল
  • এস আলমের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগসংক্রান্ত আদেশ স্থগিত
  • মামুন হত্যা মামলায় চার আসামি পাঁচ দিনের রিমান্ডে, অস্ত্র মামলায় ইউসুফের দায় স্বীকার
  • ‎আইনজীবী মাসুদ মিয়ারমৃত্যুতে আইনজীবী সমিতির শোক সভা ও দোয়া
  • রিয়া মনির মামলায় জামিন পেলেন হিরো আলম