ট্রাম্প নোবেল শান্তি পুরস্কার কেন পাবেন না, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা
Published: 26th, September 2025 GMT
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার জন্য মুখিয়ে আছেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্প এ পুরস্কার পাবেন না। কারণ, তিনি বৈশ্বিক শৃঙ্খলা নষ্ট করছেন, যা নোবেল কমিটি খুবই গুরুত্বসহকারে দেখে।
নরওয়ের নোবেল কমিটি নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণা করে থাকে। আগামী ১০ অক্টোবর চলতি বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণা করা হবে।
পাঁচ সদস্যের নরওয়ে নোবেল কমিটির এক সদস্য রয়টার্সকে বলেন, পুরস্কার পেতে ট্রাম্প যে তদবির চালাচ্ছেন, তা হিতে বিপরীত হতে পারে। কারণ, পুরস্কার বাছাই কমিটি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পছন্দ করে এবং বাইরের চাপ থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখে।
বরং কমিটি পুরস্কারের জন্য এমন কোনো মানবিক সহায়তা সংস্থাকে গুরুত্ব দিতে পারে, যারা ট্রাম্পের মার্কিন সহায়তা কমানোর সিদ্ধান্তের কারণে তৈরি হওয়া প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এ তালিকায় থাকতে পারে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর, জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ, আন্তর্জাতিক সংগঠন রেডক্রস, জরুরি চিকিৎসা সহায়তা দানকারী সংগঠন ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস অথবা সুদানের ইমার্জেন্সি রেসপন্স রুমসের মতো কোনো তৃণমূল সংগঠন।
পুরস্কার বিশেষজ্ঞ অ্যাসলে স্ভিন মনে করেন, ট্রাম্পের নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ হিসেবে তিনি গাজার যুদ্ধে ইসরায়েলের পাশে ট্রাম্পের থাকা এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ার চেষ্টার কথা উল্লেখ করেছেন।
সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের উইলের ভিত্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়। ওই উইলে বলা আছে, পুরস্কারটি সেই ব্যক্তিকে দেওয়া উচিত, যিনি দেশগুলোর মধ্যে সৌহার্দ্য বাড়াতে সবচেয়ে বেশি বা সেরা কাজ করেছেন। পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট অসলোর পরিচালক নিনা গ্রেগারের মতে, ট্রাম্প তা করছেন না।সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের উইলের ভিত্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়। ওই উইলে বলা আছে, পুরস্কারটি সেই ব্যক্তিকে দেওয়া উচিত, যিনি দেশগুলোর মধ্যে সৌহার্দ্য বৃদ্ধি করতে সবচেয়ে বেশি বা সেরা কাজ করেছেন। পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট অসলোর পরিচালক নিনা গ্রেগারের মতে, ট্রাম্প তা করছেন না।
রয়টার্সকে নিনা গ্রেগার বলেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করেছেন, পুরোনো বন্ধু ও মিত্রদের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করেছেন। যখনই আমরা শান্তিপ্রিয় প্রেসিডেন্ট বা সত্যিকারে শান্তি প্রচারে আগ্রহী কাউকে ভাবি, তখন আমরা ঠিক এমন আচরণ আশা করি না।’
আরও পড়ুনট্রাম্প কি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাবেন, নিয়ম কী বলছে১১ জুলাই ২০২৫অপ্রত্যাশিতভাবে পুরস্কার পেয়েছেন যাঁরা
অতীতে অনেকে আশ্চর্যজনকভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন। যেমন বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট হওয়ার আট মাসের কম সময়ের মধ্যে পুরস্কার পান। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হেনরি কিসিঞ্জার পুরস্কার পেয়েছিলেন। কখনো কখনো মানুষ ভয়ংকর বা কর্তৃত্ববাদী রেকর্ড থাকা সত্ত্বেও পুরস্কার পেয়েছেন। এমনকি তাঁরা আগে অন্যায় বা খারাপ কাজেও জড়িত ছিলেন।
নরওয়ে নোবেল কমিটির সাবেক সদস্য হেনরিক সাইস বলেন, ‘কখনো কখনো নৃশংস কর্মকাণ্ড ও কর্তৃত্ববাদী আচরণ এবং অন্যায় বা খারাপ কাজে জড়িত থাকার থাকার ইতিহাস সত্ত্বেও কাউকে কাউকে শান্তি পুরস্কার পেতে দেখা গেছে। তবে তাঁরা বুঝতে পেরেছিলেন, তাঁরা যা করেছেন, তা ভুল ছিল। তাই সেই ভুল ঠিক করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।’
এ ক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে সাইস দক্ষিণ আফ্রিকার নেতা এফ ডব্লিউ ডি ক্লার্কের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। ১৯৯৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার সঙ্গে যৌথভাবে তিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন।
গ্রেগার মনে করেন, ট্রাম্প যদি ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বা গাজায় যুদ্ধ থামানোর জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে চাপ দিতে পারেন, তাহলে তাঁকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ভাবা যেতে পারে।
আরও পড়ুনট্রাম্প যদি নোবেল শান্তি পুরস্কার চান, গাজার যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে: এমানুয়েল মাখোঁ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫জোরেশোরে তদবির চলছে
অনেকে নোবেল শান্তি পুরস্কার জিততে তদবির চালিয়েছেন। তবে ট্রাম্পের মতো এতটা জোরালোভাবে কেউ তদবির চালাতে পারেননি। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের অবস্থান ব্যবহার করে বারবারই দাবি করেছেন, তিনি এই পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য। এমনকি গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেওয়ার সময়ও তিনি একই দাবি করেছেন।
তবে নরওয়ের নোবেল কমিটির উপনেতা আসলে তোয়ের মতে, এ ধরনের তদবিরের ফল সাধারণত উল্টো হয়।
তোয়ে বলেন, ‘এ ধরনের প্রভাব খাটানোর চেষ্টা বরং বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। কারণ, আমরা কমিটিতে এ নিয়ে আলোচনা করি। কোনো প্রার্থী খুব জোর দিয়ে চাপ দিলে সেটা আমাদের ভালো লাগে না।’
অতীতে অনেকে আশ্চর্যজনকভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন। যেমন বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট হওয়ার আট মাসের কম সময়ের মধ্যে পুরস্কার পান। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হেনরি কিসিঞ্জার পুরস্কার পেয়েছিলেন। কখনো কখনো মানুষ ভয়ংকর বা কর্তৃত্ববাদী রেকর্ড থাকা সত্ত্বেও পুরস্কার পেয়েছেন। এমনকি তাঁরা আগে অন্যায় বা খারাপ কাজেও জড়িত ছিলেন।আসলে তোয়ে এখানে ঢালাওভাবে তদবিরের প্রসঙ্গ টেনেছেন, তিনি সুনির্দিষ্ট করে কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেননি।
তোয়ে হাসিমুখে বলেন, ‘আমরা সাধারণত একটি বন্ধ কক্ষে কাজ করি, যেখানে আমাদের প্রভাবিত করার চেষ্টা চালানোর সুযোগ নেই। আমাদের নিজেদের মধ্যে সমঝোতা হতেই অনেক কষ্ট হয়ে যায়, তার ওপর আরও কেউ আমাদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করলে তা আরও কঠিন হয়ে পড়ে।’
তবে নরওয়ের নোবেল কমিটির প্রধান জোর্গেন ওয়াটনে ফ্রাইডনেস মনে করেন, নোবেল পেতে বিশ্বের রাজনীতিবিদদের তৎপরতার কোনো প্রভাব তাঁদের কাজের ওপর পড়ে না।
তাহলে কে জিতবেন শান্তি পুরস্কার
মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলো তো সম্ভাব্য তালিকাতে থাকছেই। এর পাশাপাশি কমিটি জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকেও বিবেচনায় নিতে পারে। যেমন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) বা পুরো জাতিসংঘ।
এ ছাড়া সাংবাদিকদের পুরস্কৃত করার বিষয়েও ভাবা হতে পারে। গত বছর সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে বেশির ভাগেরই মৃত্যু হয়েছে গাজায়। এ ক্ষেত্রে নোবেল কমিটি সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার থাকা সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস বা রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসকে পুরস্কৃত করতে পারে।
বিভিন্ন সংঘাত থামানোর চেষ্টায় যুদ্ধবিরতির আলোচনায় নিযুক্ত স্থানীয় মধ্যস্থতাকারীদেরও পুরস্কারের তালিকায় রাখা হতে পারে। যেমন মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রের শান্তি কমিটি, ওয়েস্ট আফ্রিকা নেটওয়ার্ক ফর পিসবিল্ডিং বা দারফুরের এল্ডারস অ্যান্ড মিডিয়েশন কমিটি ইন আল ফাশার।
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান করিম হাগাগ মনে করেন, ‘এগুলোর মধ্যে যেকোনো সংগঠনই পুরস্কারের যোগ্য।’
আরও পড়ুনট্রাম্পকে নোবেলের জন্য মনোনয়ন দেবেন হিলারি, যদি...১৬ আগস্ট ২০২৫
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন ব ল প রস ক র প য ক তর ষ ট র ন ব ল কম ট র প রস ক র প য প রস ক র র তদব র চ ক জ কর কর ছ ন র প রস আম দ র র জন য স গঠন
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলকে কি নিষিদ্ধ করবে উয়েফা, ভোটাভুটি হতে পারে এ সপ্তাহেই
কেউ বলছেন, ইসরায়েলকে উয়েফার প্রতিযোগিতা থেকে নিষিদ্ধ করা হোক। কেউ আবার আন্তর্জাতিক খেলাধুলা থেকেই ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছেন। আপাতত পরিস্থিতি যেদিকে গড়াচ্ছে তা হলো, খেলাধুলা থেকে ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করার দাবি ধীরে ধীরে জোরালো হচ্ছে।
সর্বশেষ এ দাবি তুলেছেন নরওয়ে ফুটবল ফেডারেশন সভাপতি লিসু ক্লাভেনেস। তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরায়েল ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এই সপ্তাহে ভোটাভুটির আয়োজন করতে পারে উয়েফা।
সম্ভাব্য এই ভোটাভুটি সামনে রেখে নরওয়ের পডকাস্ট ‘পপ অ্যান্ড পলিটিকস’-কে ক্লাভেনেস বলেছেন, ‘আদর্শিক জায়গা থেকে আমি বিষয়টি দেখছি। আমরা নিজেরা (ইসরায়েলের বিপক্ষে ম্যাচ) বয়কট করব না। বয়কট করলে আমাদের বদলে ইসরায়েল বিশ্বকাপে যাবে। আমরা ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পক্ষে কাজ করছি। আমরা বিশ্বাস করি, তাদের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া উচিত, আর বিষয়টি হলো নিয়মকানুন অটুট রাখার। ব্যক্তিগতভাবে আমি বিশ্বাস করি, (ইউক্রেনে হামলা করায়) রাশিয়া যেহেতু নিষিদ্ধ, তাই ইসরায়েলেরও নিষিদ্ধ হওয়া উচিত। ফুটবল সভাপতি হিসেবে ব্যক্তিগত মত থাকতেই পারে এবং আমার সেটা আছে।’
আগামী ১১ অক্টোবর অসলোয় নরওয়ের বিপক্ষে এবং ১৪ অক্টোবর উদিনেতে ইতালির বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচ খেলবে ইসরায়েল। উয়েফার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ‘আই’ গ্রুপে ৯ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় ইসরায়েল। শীর্ষে থাকা নরওয়ের চেয়ে তারা ৬ পয়েন্ট পিছিয়ে। নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দল সরাসরি বিশ্বকাপে খেলবে, দ্বিতীয় দল যাবে প্লে-অফে।
নরওয়ে ফুটবল সভাপতি ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলার আগে এ নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন অনেকেই। ৫০ জন সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড় মিলে সই করা একটি চিঠি পাঠিয়েছেন ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফায়। দাবি একটাই—উয়েফার প্রতিযোগিতা থেকে ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করা হোক। এ খেলোয়াড়দের মধ্যে আছেন ফ্রান্সের ফুটবল তারকা পল পগবা থেকে ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেট অলরাউন্ডার মঈন আলী।
আরও পড়ুনকাইরাত-রিয়াল মাদ্রিদ: চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসে সবচেয়ে অসম লড়াই১১ ঘণ্টা আগেশুধু তাই নয়, এর আগে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ ইসরায়েলকে খেলাধুলায় নিষিদ্ধ করার দাবি তোলেন। তুরস্ক ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম হাজিওসমানোউলুও ফিফা, উয়েফা ও জাতীয় ফুটবল সংস্থাগুলোর প্রধানদের কাছে চিঠি লিখে ইসরায়েলকে ফুটবল প্রতিযোগিতা থেকে নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করার দাবি ওঠার কারণও নিশ্চয়ই সবার জানা? চলতি মাসের শুরুতে জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন বলেছিল, গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েল গণহত্যা চালিয়েছে। ইসরায়েল অবশ্য নিয়মিতভাবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলার পর গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল সামরিক বাহিনী। এর পর থেকে গাজায় অন্তত ৬৫ হাজার ৪১৯ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
অবশ্য ইসরায়েলের পক্ষে দাঁড়ানোর দেশও আছে। যুক্তরাষ্ট্র ভিন্ন সুরে কথা বলছে। গত বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন জানায়, ২০২৬ বিশ্বকাপে ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করার চেষ্টা ঠেকাতে তারা কাজ করবে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বিবিসি স্পোর্টসকে বলেন, ‘ইসরায়েলের জাতীয় ফুটবল দলকে বিশ্বকাপ থেকে নিষিদ্ধ করার কোনো চেষ্টা যেন সফল না হয়, সে জন্য আমরা অবশ্যই কাজ করব।’
রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরায়েলকে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতা থেকে নিষিদ্ধ করতে এ সপ্তাহে জরুরি ভোটাভুটির প্রস্তুতি নিচ্ছে উয়েফা। কিন্তু একই দিন স্পেনের সংবাদমাধ্যম ‘এএস’ জানায়, এ মুহূর্তে সভাপতি আলেক্সান্দার সেফেরিনের নেতৃত্বে উয়েফার নির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার সূচি নেই। তবে এ বিষয়টি গত কয়েক দিন ধরে আলোচিত হচ্ছে। বিশেষ করে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে একই গ্রুপে পড়া নরওয়ে ও ইতালি ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার।
আরও পড়ুনআলভারেজদের কাছে রিয়াল মাদ্রিদের বিধ্বস্ত হওয়ার ৪ কারণ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫