রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে মরদেহ সৎকারে গিয়ে নৌকাডুবিতে একজন মারা গেছেন। এ ছাড়া আরও দুজন নিখোঁজ হয়েছেন। আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার প্রেমতলী এলাকার পদ্মা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মৃত ব্যক্তির নাম জিতেন মণ্ডল (৬০)। তিনি পার্শ্ববর্তী কাঁঠালবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। নিখোঁজ আছেন ফরাদপুর গ্রামের দিলীপ (৩২) এবং ডুমুরিয়া গ্রামের হরেন সাহা (৬৫)। তাদের উদ্ধারে স্থানীয় ব্যক্তিদের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল কাজ করছে।

স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, সকালে প্রেমতলী পালপাড়া এলাকার কানাই কর্মকার (৭০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। তাঁর মরদেহ সৎকার করতে পদ্মা নদীর মাঝচরে নেওয়া হয়। এরপর মরদেহটি চরে রেখে আরও আত্মীয়স্বজনকে নিতে একটি নৌকা আসে। এতে ২০ থেকে ২৫ জন আত্মীয় নৌকায় উঠে নদী পার হয়ে মরদেহ সৎকারের জন্য যাচ্ছিলেন। তখন স্রোতের তোড়ে নৌকাটি ডুবে যায়। দুর্ঘটনার পর বাকিরা সাঁতরে পাড়ে উঠলেও তিনজন নিখোঁজ হন। পরে স্থানীয় লোকজন জিতেন মণ্ডলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

প্রেমতলী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ মাকসুদুর রহমান বলেন, নৌকাডুবিতে একজনের মৃত্যুর খবর তিনি পেয়েছেন। নিখোঁজ দুজনকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে এবং বিস্তারিত জানতে তিনি ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন।

রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু সামা বলেন, বেলা ১১টা ৫ মিনিটে রাজশাহী থেকে তাদের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে রওনা দিয়েছেন। সেখানে পানির গভীরতা প্রায় ১২০ ফুট। ডুবুরিরা অনুসন্ধান চালাচ্ছেন, দুপুর ১২টা পর্যন্ত নিখোঁজদের উদ্ধারের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উদ ধ র

এছাড়াও পড়ুন:

ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯

ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে ৬৯ জন হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ-সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা আজ বুধবার এ খবর জানান। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা ও পানি-বিদ্যুতের সংযোগ আবার চালু করার চেষ্টা করছে ফিলিপাইন সরকার।

দেশটির সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা রাফি আলেজান্দ্রো সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার আগে সেবু প্রদেশের উত্তরে বোগো শহরের কাছে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। স্থানীয় হাসপাতালগুলো আহত মানুষের ভিড়ে রীতিমতো উপচে পড়ছে।

আঞ্চলিক সিভিল ডিফেন্স দপ্তরের তথ্য কর্মকর্তা জেন আবাপো বলেন, সেবুর প্রাদেশিক দুর্যোগ দপ্তরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৬৯ জন। অন্য একজন কর্মকর্তা জানান, আহত হয়েছেন ১৫০ জনের বেশি।

দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের দ্রুত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিবেরা ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রিয়জন হারানো ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।

সেবু ফিলিপাইনের জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যগুলোর একটি। সেখানে প্রায় ৩৪ লাখ মানুষের বসবাস। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ম্যাকতান-সেবু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম চালু রয়েছে। এটা ফিলিপাইনের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর।

ভূমিকম্পে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সান রেমিগিও শহরটিও। উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য এ শহরে ‘দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা’ ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের ভাইস মেয়র আলফি রেইনেস বলেন, উদ্ধারকর্মীদের জন্য খাবার ও পানি, সেই সঙ্গে ভারী সরঞ্জাম প্রয়োজন।

স্থানীয় ডিজেডএমএম রেডিওকে আলফি রেইনেস বলেন, ‘ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বিদ্যুৎ নেই। আমাদের সত্যিই সহায়তা দরকার। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে পানির তীব্র সংকট রয়েছে। ভূমিকম্পে সেখানে সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

আরও পড়ুনফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত অন্তত ২৬, চলছে উদ্ধারকাজ৫ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪০ ঘণ্টা পর এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ আরেকজন
  • সিদ্ধিরগঞ্জে ৭ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার 
  • গরুর গোবর কুড়ানো থেকে সাত তারকা হোটেলে, জয়দীপের গল্প জানেন কি
  • টর্চলাইট
  • স্বাস্থ্য খাতে আলাদা বেতনকাঠামো হোক
  • গাজীপুরে আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে একজন গ্রেপ্তার
  • খাগড়াছড়ির ঘটনায় জাতিসংঘকে যুক্ত করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি
  • ডাক্তারদের হাতের লেখা ঠিক করার নির্দেশ দিলো আদালত
  • ‘মোটা জেনারেলদের’ কড়া সমালোচনা করলেন মার্কিন প্রতিরক্ষা হেগসেথ
  • ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯