চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় শাহনাজ বেগম (৩৫) নামের এক গৃহবধূর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের উপাদিক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শাহনাজ বেগম পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের উপাদিক গ্রামের আমিনুল খানের স্ত্রী। বর্তমানে তিনি রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় নাছিমা বেগম (৪২) নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি ভুক্তভোগী নারীর প্রতিবেশী হাফিজ মিয়ার স্ত্রী।

ভুক্তভোগী শাহনাজের স্বামী আমিনুল খান জানান, সুদে নাছিমা বেগমের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। সেই টাকা পরিশোধও করা হয়। কিন্তু নাছিমা বেগম খালি স্ট্যাম্পে সই রেখে বারবার আরও ৩০ হাজার টাকা দাবি করে আসছিলেন। এ নিয়ে কয়েক মাস ধরে নাছিমার সঙ্গে তাঁদের বিরোধ চলে আসছে। নাসিমা বেগম খালি স্ট্যাম্পও ফেরত দিচ্ছিলেন না। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এর আগে তাঁর স্ত্রীকে কয়েক দফা মারধরও করা হয়।

আমিনুল খান অভিযোগ করে বলেন, সর্বশেষ গতকাল রাতে নাছিমা বেগমসহ তাঁর ভাড়াটে লোকজন তাঁর স্ত্রীর হাত-পা বেঁধে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। ঘটনার পর তিনিসহ স্থানীয় লোকজন তাঁর স্ত্রীকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। বর্তমানে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, শরীরে কেরোসিন দিয়ে আগুন দেওয়ায় শাহনাজ বেগমের পিঠের অধিকাংশসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গা পুড়ে যায়। এ জন্য তাঁরা তাঁকে ঢাকায় স্থানান্তর করেন।

পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুল হামিদ বলেন, নাসিমা বেগমের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় তিনি আরও উগ্র হয়ে যান। গতকাল শাহনাজ বেগমের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন। সুদের টাকার জন্য নাছিমা বেগমের দ্বারা এলাকার অনেক নিরীহ মানুষ নির্যাতিত হয়েছেন।

ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত নাছিমা বেগমকে আটক করা হয়। ভুক্তভোগীর মা হাজেরা বেগম আজ শনিবার বিকেলে থানায় মামলা করেছেন। মামলায় নাছিমা বেগমকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব গম র

এছাড়াও পড়ুন:

সকালে এক গ্লাস নাকি চার গ্লাস পানি পান করা ভালো

সকালে খালি পেটে পানি পান করলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়, একথা আমরা সবাই জানি। কিন্তু কত গ্লাস পানি পান করা ভালো সে কথা জানেন?  সেই প্রসঙ্গে আসছি, তার আগে বলে নেই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর খালি পেটে পানি পান করলে  ঠিক কোন কোন উপকার পাওয়া যায়।  অল্প কিছু বিষয় মেনে চললে সকালে খালি পেটে পানি পান করে সুস্থ-সবল থাকার পথে একধাপ এগিয়ে যেতে পারেন। জেনে নিনি বিস্তারিত—

এক. সকালে পানি পান করলে পাকস্থলী পরিষ্কার হয়। এই অভ্যাস অনেক রোগের ঝুঁকি কমায়। পরিপাকক্রিয়া থেকে সঠিকভাবে নানা পুষ্টি উপাদান গ্রহণে শরীরকে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে পানি পান করলে হজমশক্তি বাড়ে। আর এটা তো জানা কথা, হজমশক্তি ভালো হলে অনেক স্বাস্থ্য সমস্যাই দূর হয়।

আরো পড়ুন:

যেসব স্বাস্থ্যকর অভ্যাস জীবন বদলে দিতে পারে

লিভার ডিটক্সিফিকেশনের জন্য সাপ্লিমেন্ট খাওয়া কী জরুরি?

দুই. সকালে খালি পেটে  পর্যাপ্ত পানি পান করলে ত্বক উজ্জ্বল ও সুন্দর থাকে। রক্ত থেকে ‘টক্সিন’ বা বিষাক্ত নানা উপাদান দূর করে পানি।নতুন রক্ত কোষ এবং পেশি কোষ জন্মানোর প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।

তিন. খালি পেটে পানি পান করলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

যেভাবে পুরোপুরি সুফল পাবেন

বিশেষজ্ঞরা বলেন, সকালে পানি পান করার পারেই খাবার গ্রহণ করা উচিত নয়।

মনে রাখবেন,  প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস পানি পান করেই অনেক উপকার পেতে পারেন। আরও ভালো ফলাফল পেতে প্রতিদিন সকালে গড়ে চার গ্লাস পানি (প্রায় এক লিটার) পানি পান করতে পারেন।

প্রথম দিকে এই অভ্যাস গড়ে তুলতে একটু সমস্যা হতে পারে। তবে চেষ্টা করলে  এটা অনেক কিছুদিনের মধ্যে এই অভ্যাস আয়ত্বে চলে আসবে। এবং এর নানা উপকারিতাও বুঝতে পারবেন।

সূত্র: ওয়েবএমডি

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ