চরফ্যাশনে আইনজীবী ছিদ্দিক উল্লাহর উদ্যোগে বিনা মূল্যে চক্ষু চিকিৎসাসেবা
Published: 27th, September 2025 GMT
ডান চোখের নেত্রনালি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দেখতে পান না বৃদ্ধ সুফিয়া বেগম (৮০)। আর্থিক সামর্থ্যের অভাবে বড় হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নেওয়া সম্ভব নয়। তাই তিনি চরফ্যাশনের ফ্যাশন স্কয়ারে আয়োজিত বিনা মূল্যের চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পে আসেন। সঙ্গে ছিলেন আরও তিন ননদ।
ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়ার পক্ষ থেকে এই বিশেষ চিকিৎসাসেবার আয়োজন করা হয়। গত বুধ ও বৃহস্পতিবার চরফ্যাশন উপজেলা সদর ও দক্ষিণ আইচা থানায় দুই দিনব্যাপী এ সেবা কার্যক্রম চলে। আয়োজকেরা জানান, দুই দিনের এই ক্যাম্পে অন্তত পাঁচ হাজার রোগীকে বিনা মূল্যে সেবা দেওয়া হয়।
গত মঙ্গলবার চরফ্যাশনে এসে নানা কর্মসূচিতে অংশ নেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। পরদিন বুধবার সকাল ১০টায় ফ্যাশন স্কয়ারে চক্ষু চিকিৎসাসেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এরপর উপজেলার আসলামপুর, ওমরপুর ও নজরুল নগর ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজারে গণসংযোগ করেন। বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ আইচা থানার চরমানিকা ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। একই দিন শশীভূষণ ও হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নে গণসংযোগ ও পথসভায় অংশ নেন। এ সময় তিনি বিএনপির পক্ষে জনগণের কাছে ভোট চান।
ঢাকা থেকে আগত পাঁচজন চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও তাঁদের দল বুধ ও বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিনা মূল্যে সেবা দিয়েছেন। চোখ পরীক্ষা, প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চশমা দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসার পাশাপাশি ছানি অস্ত্রোপচারেরও ব্যবস্থা রাখা হয়।
চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ফাতেমা বেগম বলেন, চোখ জ্বালাপোড়ার সমস্যা নিয়ে তিনি এসেছিলেন। চিকিৎসক চোখের ড্রপ দিয়েছেন। ওসমানগঞ্জের আব্দুল মালেকের ডান চোখে ছানি পড়েছে। প্রয়োজন হলে তাঁর অস্ত্রোপচার করা বলে জানানো হয়েছে।
চরফ্যাশন পৌরসভার আব্দুল মান্নান মুনসি (৬৫) চোখে পানি পড়ায় বিনা মূল্যে ড্রপ, চশমা ও ওষুধ পেয়েছেন। আসলামপুরের বিবি রহিমা (৫৬) ডান চোখে ছানি পড়ায় ওষুধ ও ড্রপ পেয়েছেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রিয়া মনির মামলায় জামিন পেলেন হিরো আলম
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় হত্যাচেষ্টা, মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে সাবেক স্ত্রী রিয়া মনির করা মামলায় আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসান আজ শনিবার এই আদেশ দেন।
বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে হাতিরঝিল থানা থেকে হিরো আলমকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তাঁকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। কিছুক্ষণ পর পুলিশের কঠোর নিরাপত্তায় তাঁকে সিএমএম আদালতের ৯তলার এজলাসে নেওয়া হয়।
হিরো আলমের পক্ষের আইনজীবীরা তাঁর জামিন চেয়ে শুনানি করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে বিচারক ২০০ টাকা মুচলেকায় তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
এদিকে হিরো আলমের মামলার শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন এই মামলার বাদী রিয়া মনি। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘হিরো আলমের একটা শিক্ষা হওয়া দরকার। আমাকে যেমন বিনা কারণে জেল খাটিয়েছে, তারও জেলে থাকা উচিত।’
এর আগে শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর হাতিরঝিল থানাধীন এলাকা থেকে সাবেক স্ত্রী রিয়া মনির দায়ের করা মামলায় হিরো আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামানের আদালত হিরো আলম ও তাঁর সহযোগী আহসান হাবিব সেলিমের বিরুদ্ধে ১২ নভেম্বর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। সেই পরোয়ানা অনুসারেই হিরো আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ২৩ জুন হাতিরঝিল থানায় রিয়া মনি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি হিরো আলম ও বাদী রিয়া মনির মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। এরপর হিরো আলম বাদীকে তালাক দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেন। গত ২১ জুন বাদীর পরিবারের সঙ্গে মীমাংসার কথা বলে হাতিরঝিল থানাধীন এলাকায় একটি বাসায় ডাকা হয়। ওই সময়ে হিরো আলমসহ ১০ থেকে ১২ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বাদী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। পরে তাঁরা বাদীর বর্তমান বাসায় বেআইনিভাবে প্রবেশ করে কাঠের লাঠি দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করেন। এতে বাদীর শরীরে জখম হয়। এ সময় তাঁর গলায় থাকা দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণের হার চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুনরিয়া মনির মামলায় হিরো আলম গ্রেপ্তার২ ঘণ্টা আগে