‘থ্রি ইডিয়টসের র্যাঞ্চো’ কীভাবে উদ্ভাবক থেকে দিল্লির চোখে উসকানিদাতা হয়ে উঠলেন
Published: 27th, September 2025 GMT
সারা বিশ্ব তিন দশকের বেশি সময় ধরে সোনম ওয়াংচুককে একজন শিক্ষা সংস্কারক, জলবায়ুকর্মী ও উদ্ভাবক হিসেবে চেনেন। তাঁর উদ্ভাবিত বরফের স্তূপা লাদাখের ঠান্ডা মরুভূমিকে নতুন জীবনের আশা দেখিয়েছে। লাদাখ থেকে নয়াদিল্লি; ভারতজুড়ে সবার প্রিয় পাত্র ছিলেন ওয়াংচুক।
কিন্তু পরিবেশ রক্ষায় ওয়াংচুকের আন্দোলন ধীরে ধীরে তাঁকে লাদাখের জটিল রাজনীতির ভেতর ঠেলে দেয়।
কিন্তু পরিবেশ রক্ষায় সোনম ওয়াংচুকের আন্দোলন ধীরে ধীরে তাঁকে লাদাখের জটিল রাজনীতির ভেতর ঠেলে দেয়।লাদাখের ভঙ্গুর পরিবেশ রক্ষার দাবিতে আন্দোলন শুরু করা ওয়াংচুক এই তিন দশকে একজন অনমনীয় রাজনৈতিক কর্মী হয়ে উঠেছেন। তিনি লাদাখের জন্য আলাদা রাজ্যের মর্যাদার দাবিতে আন্দোলন করছেন এবং ভূমি, কর্মসংস্থান ও সাংস্কৃতিক পরিচয়ের সুরক্ষা দাবি করেছেন। এসব আন্দোলন করতে গিয়ে শেষমেশ গতকাল শুক্রবার তাঁকে গ্রেপ্তার হতে হয়েছে। তাঁকে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা আইনে (এনএসএ) গ্রেপ্তার করেছে কেন্দ্রীয় নরেন্দ্র মোদি সরকার।
১৯৬৬ সালে লেহের এক প্রত্যন্ত গ্রামে জন্ম হয় সোনম ওয়াংচুকের। তাঁর জীবনের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছিল বলিউডের বিখ্যাত সিনেমা ‘থ্রি ইডিয়টস’। ২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া ওই সিনেমায় আমির খান অভিনীত ‘র্যাঞ্চো’ চরিত্রটি তৈরি হয়েছিল সোনম ওয়াংচুকের আদলে।
ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী। লাদাখের বহুদিনের স্বপ্ন পূরণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লাদাখবাসী ধন্যবাদ জানাচ্ছে।...সোনম ওয়াংচুকগত ২৪ সেপ্টেম্বর এভাবেই বিক্ষোভে আগুনে জ্বলে উঠেছিল লাদাখ
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯
ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে ৬৯ জন হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ-সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা আজ বুধবার এ খবর জানান। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা ও পানি-বিদ্যুতের সংযোগ আবার চালু করার চেষ্টা করছে ফিলিপাইন সরকার।
দেশটির সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা রাফি আলেজান্দ্রো সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার আগে সেবু প্রদেশের উত্তরে বোগো শহরের কাছে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। স্থানীয় হাসপাতালগুলো আহত মানুষের ভিড়ে রীতিমতো উপচে পড়ছে।
আঞ্চলিক সিভিল ডিফেন্স দপ্তরের তথ্য কর্মকর্তা জেন আবাপো বলেন, সেবুর প্রাদেশিক দুর্যোগ দপ্তরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৬৯ জন। অন্য একজন কর্মকর্তা জানান, আহত হয়েছেন ১৫০ জনের বেশি।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের দ্রুত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিবেরা ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রিয়জন হারানো ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
সেবু ফিলিপাইনের জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যগুলোর একটি। সেখানে প্রায় ৩৪ লাখ মানুষের বসবাস। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ম্যাকতান-সেবু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম চালু রয়েছে। এটা ফিলিপাইনের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর।
ভূমিকম্পে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সান রেমিগিও শহরটিও। উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য এ শহরে ‘দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা’ ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের ভাইস মেয়র আলফি রেইনেস বলেন, উদ্ধারকর্মীদের জন্য খাবার ও পানি, সেই সঙ্গে ভারী সরঞ্জাম প্রয়োজন।
স্থানীয় ডিজেডএমএম রেডিওকে আলফি রেইনেস বলেন, ‘ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বিদ্যুৎ নেই। আমাদের সত্যিই সহায়তা দরকার। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে পানির তীব্র সংকট রয়েছে। ভূমিকম্পে সেখানে সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
আরও পড়ুনফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত অন্তত ২৬, চলছে উদ্ধারকাজ৫ ঘণ্টা আগে