Prothomalo:
2025-10-03@05:37:52 GMT

১১৭ বছর বাঁচার রহস্য কী

Published: 28th, September 2025 GMT

শতবর্ষী মানুষদের হামেশাই একটি প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। প্রশ্নটি হলো, ‘আপনার এই দীর্ঘ জীবনের রহস্য কী?’ এমন প্রশ্নে কেউ কেউ কথায় কথায় দীর্ঘায়ু ও সুস্থ একটি জীবন পেতে কিছু পরামর্শও দেন। কিন্তু শুধু কথায় নয়, বৈজ্ঞানিকভাবে এই রহস্য উদ্‌ঘাটনের চেষ্টা করছেন গবেষকেরা।

কিছু মানুষ কেন অন্যদের চেয়ে বেশি দিন বাঁচেন? তাঁদের জিনগত গঠনে বিশেষ কী আছে? রোগে ভুগে যখন বহু মানুষ প্রতিনিয়ত প্রাণ হারাচ্ছেন, তখন কেন তাঁদের এসব রোগ হয় না? যদি কোনো রহস্য থেকেই থাকে, তাহলে তা কি অন্যদেরও দীর্ঘজীবী হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো সাহায্য করবে?

উল্লিখিত, এমন বহু প্রশ্নের উত্তর মিলবে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণা নিবন্ধে। গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক চিকিৎসা সাময়িকী সেল রিপোর্টস মেডিসিন-এ নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকেরা ১১৭ বছর ১৬৮ দিন বেঁচে থাকা এক নারীর জিনগত বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে তুলে ধরেছেন এতে।

মার্কিন বংশোদ্ভূত স্প্যানিশ ওই নারীর নাম মারিয়া ব্রানিয়াস মোরেরা। ২০২৪ সালের আগস্টে তিনি মারা গেছেন। মৃত্যুর আগপর্যন্ত তিনি ছিলেন বিশ্বের প্রবীণতম জীবিত ব্যক্তি। তিনি জীবিত থাকতেই তাঁকে নিয়ে এই গবেষণা শুরু হয়েছিল।

গবেষণাটি যাঁরা করেছেন, তাঁদের একজন মানেল এস্তেলার। স্পেনের বার্সেলোনার জোসেপ ক্যারারাস লিউকেমিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের এই গবেষক সিএনএনকে বলেন, ‘তিনি (মোরেরা) ছিলেন অত্যন্ত উদার মনের একজন মানুষ। তাঁর সঙ্গে কাজ করাটা ছিল অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা।’

মোরেরার দীর্ঘ জীবন নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে অনেক কিছু বিশ্লেষণ করা হয়েছে। প্রথমে গবেষকেরা মোরেরার রক্ত, থুতু ও মলমূত্রের নমুনা সংগ্রহ করে সেসবের জিনগত বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে দেখেন। এরপর আইবেরীয় উপদ্বীপ অঞ্চলে (দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপ) জন্ম নেওয়া আরও ৭৫ জন নারীর জিনগত বৈশিষ্ট্য সেসবের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়।

সব বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা এই উপসংহার টানেন যে মোরেরার দীর্ঘ জীবন পাওয়ার নেপথ্যে রয়েছে দুটি বিষয়। প্রথমত, তিনি বিশেষ জিনগত বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্ম নেন, যা তাঁকে দীর্ঘায়ু হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল। অর্থাৎ তাঁর ডিএনএ বা জিনে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য ছিল, যা দুর্লভ। এটা তাঁকে অনেক রোগ থেকে সুরক্ষা দিয়েছে। দ্বিতীয়ত, শুধু জিনগত বৈশিষ্ট্য হলেই হয় না, তাঁর জীবনযাপন পদ্ধতি ও খাদ্যাভ্যাস ছিল স্বাস্থ্যকর। মোরেরার দীর্ঘ জীবনের পেছনে জিনগত বৈশিষ্ট্য ও স্বাস্থ্যকর জীবনধারা—দুটোই প্রায় সমানভাবে কাজ করেছে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।

মানেল এস্তেলার কথায়, মোরেরা শুরু থেকেই ছিলেন ভাগ্যবান। আজীবন স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন দ্বিতীয় আশীর্বাদ হয়ে আসে। কখনো ধূমপান বা মদ্যপান করেননি। যতক্ষণ পারতেন কাজ করতেন। থাকতেন গ্রামীণ খোলামেলা জায়গায়। প্রতিদিন সকালে এক ঘণ্টা হাঁটতেন। তাঁর খাদ্যতালিকায় ছিল অলিভ অয়েল। আর ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের মানুষের মতো ছিল তাঁর খাদ্যাভ্যাস। তিনি দিনে অন্তত তিনবার করে দই খেতেন।

কিংস কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক ক্লেয়ার স্টিভস বলেন, ‘এই গবেষণায় যেসব বিষয় বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে, তা সত্যিই অসাধারণ। গবেষকেরা বার্ধক্যের নানা রকম প্রক্রিয়া খুঁটিয়ে দেখেছেন। আমার জানামতে, এত বিস্তারিতভাবে এর আগে এ ধরনের কোনো গবেষণা হয়নি।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ নগত ব শ ষ ট য দ র ঘ জ বন র জ নগত রহস য

এছাড়াও পড়ুন:

ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯

ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে ৬৯ জন হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ-সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা আজ বুধবার এ খবর জানান। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা ও পানি-বিদ্যুতের সংযোগ আবার চালু করার চেষ্টা করছে ফিলিপাইন সরকার।

দেশটির সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা রাফি আলেজান্দ্রো সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার আগে সেবু প্রদেশের উত্তরে বোগো শহরের কাছে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। স্থানীয় হাসপাতালগুলো আহত মানুষের ভিড়ে রীতিমতো উপচে পড়ছে।

আঞ্চলিক সিভিল ডিফেন্স দপ্তরের তথ্য কর্মকর্তা জেন আবাপো বলেন, সেবুর প্রাদেশিক দুর্যোগ দপ্তরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৬৯ জন। অন্য একজন কর্মকর্তা জানান, আহত হয়েছেন ১৫০ জনের বেশি।

দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের দ্রুত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিবেরা ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রিয়জন হারানো ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।

সেবু ফিলিপাইনের জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যগুলোর একটি। সেখানে প্রায় ৩৪ লাখ মানুষের বসবাস। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ম্যাকতান-সেবু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম চালু রয়েছে। এটা ফিলিপাইনের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর।

ভূমিকম্পে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সান রেমিগিও শহরটিও। উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য এ শহরে ‘দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা’ ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের ভাইস মেয়র আলফি রেইনেস বলেন, উদ্ধারকর্মীদের জন্য খাবার ও পানি, সেই সঙ্গে ভারী সরঞ্জাম প্রয়োজন।

স্থানীয় ডিজেডএমএম রেডিওকে আলফি রেইনেস বলেন, ‘ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বিদ্যুৎ নেই। আমাদের সত্যিই সহায়তা দরকার। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে পানির তীব্র সংকট রয়েছে। ভূমিকম্পে সেখানে সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

আরও পড়ুনফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত অন্তত ২৬, চলছে উদ্ধারকাজ৫ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪০ ঘণ্টা পর এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ আরেকজন
  • সিদ্ধিরগঞ্জে ৭ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার 
  • গরুর গোবর কুড়ানো থেকে সাত তারকা হোটেলে, জয়দীপের গল্প জানেন কি
  • টর্চলাইট
  • স্বাস্থ্য খাতে আলাদা বেতনকাঠামো হোক
  • গাজীপুরে আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে একজন গ্রেপ্তার
  • খাগড়াছড়ির ঘটনায় জাতিসংঘকে যুক্ত করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি
  • ডাক্তারদের হাতের লেখা ঠিক করার নির্দেশ দিলো আদালত
  • ‘মোটা জেনারেলদের’ কড়া সমালোচনা করলেন মার্কিন প্রতিরক্ষা হেগসেথ
  • ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯