রেলের কেনাকাটায় ৪ কোটি টাকা নয়ছয়, অনুসন্ধানে দুদক
Published: 8th, October 2025 GMT
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের কেনাকাটায় প্রায় ৪ কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০২১-২২ অর্থবছরে পাথর ও অন্যান্য রেলওয়ে সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক মূল্য দেখিয়ে এই টাকা লোপাটের অভিযোগ রয়েছে।
এক্ষেত্রে অনিয়মগুলো খতিয়ে দেখতে বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে দুদকের রাজশাহী জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমীর হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের এনফোর্সমেন্ট দল পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপকের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন নথি সংগ্রহ করেন।
আরো পড়ুন:
‘খুব শিগগির পাবনা-ঢাকা সরাসরি রেল চলাচল শুরু হবে’
নতুন সূচিতে সেবা, ট্রেন পাওয়া যাবে সোয়া ৪ মিনিট পরপর
দলের প্রধান আমীর হোসেন বলেন, ‘‘অডিট রিপোর্টে দেখা গেছে, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ২০২১-২২ অর্থবছরে রেল ট্র্যাকের পাথর, ট্রেন মেরামতের যন্ত্রপাতি, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার উপকরণ, প্রিন্টার, ওয়াকি-টকি ব্যাটারি, টেলিভিশন, পোশাক, ফ্লোর ম্যাট ও কাগজসহ কয়েকটি ক্রয় আইটেমের খরচ বাড়িয়ে দেখিয়েছে। সেই অনুসারে আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি।’’
তিনি বলেন, ‘‘২০২১ সালে যেসব অডিট আপত্তি তোলা হয়েছিল, সেগুলো রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এখনো সমাধান করেনি। এজন্য আমরা তদন্ত শুরু করেছি। আমরা ক্রয়কৃত সকল নথি ও রেকর্ড সংগ্রহ করেছি। এখন এগুলো যাচাই করা হচ্ছে। যদি অনিয়ম নিশ্চিত হই, আমরা একটি প্রতিবেদন প্রধান কার্যালয়ে দাখিল করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানাব।’’
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক ফারিদ আহমেদ বলেন, ‘‘আমি সম্প্রতি অফিসে যোগদান করেছি এবং কয়েক বছর আগে যে অনিয়ম হয়েছে, তা সম্পর্কে অবগত নই। দুদক দল ২০২১-২২ অর্থবছরে বিভিন্ন আইটেমের ক্রয় সংক্রান্ত নথি চেয়েছিল এবং আমরা যথাযথভাবে তা সরবরাহ করেছি। এখন তারা তাদের পদ্ধতিতে এসব নথি যাচাই করবে।’’
ঢাকা/কেয়া/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ল স ট শন র লওয়
এছাড়াও পড়ুন:
১০ মাসে সাড়ে ২৮ লাখ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করেছে চট্টগ্রাম বন্দর
চট্টগ্রাম বন্দর চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে সাড়ে ২৮ লাখের বেশি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করেছে। পাশাপাশি বন্দরে কার্গো ও জাহাজ হ্যান্ডলিং বেড়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক।
বন্দর সূত্র জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাসে ২৮ লাখ ৪৯ হাজার ৫৪২ টিইইউএস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে। কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে ১১ কোটি ৫০ লাখ ৬৭ হাজার ২০০ মেট্রিক টন। একই সময়ে জাহাজ হ্যান্ডলিং হয়েছে ৩ হাজার ৫৫২টি।
আরো পড়ুন:
‘চট্টগ্রাম বন্দরের বর্ধিত ৪১ শতাংশ মাশুল স্থগিত করুন’
হিলি বন্দরে কাঁচা মরিচ আমদানিতে ১৯ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়
সূত্রটি জানায়, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কন্টেইনার বেড়েছে ১ লাখ ৩২ হাজার ৩২৮ টিইইউএস। কার্গো বেড়েছে এক কোটি ২৯ লাখ ৮ হাজার ১৭৪ মেট্রিক টন। জাহাজ বেড়েছে ৩৫১টি। কনটেইনার হ্যান্ডলিং প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ। কার্গো প্রবৃদ্ধি ১২ দশমিক ৬৪ শতাংশ। জাহাজ প্রবৃদ্ধি ১০ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
বন্দরের পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত হ্যান্ডলিং হয়েছে ১২ লাখ ১৩ হাজার ৮০৫ টিইইউএস কন্টেইনার। কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে চার কোটি ৫২ লাখ ৮২ হাজার ৯০৭ মেট্রিক টন। হ্যান্ডলিং হয়েছে এক হাজার ৪২২টি জাহাজ।
আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় কন্টেইনার বেড়েছে এক লাখ ১১ হাজার ৮৮৮ টিইইউএস। কার্গো বেড়েছে ৬১ লাখ ৬৬ হাজার ৪০৫ মেট্রিক টন। জাহাজ বেড়েছে ১৪১টি। প্রবৃদ্ধি হয়েছে কন্টেইনারে ১০ দশমিক ১৫ শতাংশ। কার্গোতে ১৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ। জাহাজে ১১ শতাংশ।
চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, “জাহাজের ওয়েটিং টাইম এখন উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। সেপ্টেম্বরে ৯ দিন, অক্টোবরে ১৮ দিন ও নভেম্বরে ১৯ দিন বন্দরে কোনো ওয়েটিং টাইম ছিল না। জাহাজ অন অ্যারাইভাল বার্থ পাচ্ছে। ফলে আমদানিকারকরা দ্রুত সময়ের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি নিতে পারছেন। রপ্তানি পণ্যও সময়মতো জাহাজীকরণ হচ্ছে। ফলে পোর্ট লিড টাইম কমেছে।”
তিনি বলেন, “আধুনিক কার্গো কন্টেইনার হ্যান্ডলিং সরঞ্জাম যোগ হয়েছে। ইয়ার্ড ক্যাপাসিটি বেড়েছে। তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের পরিশ্রম এবং ব্যবহারকারীদের সহযোগিতায় কন্টেইনার হ্যান্ডলিং কার্যক্রমে প্রবৃদ্ধি বজায় আছে।”
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ