বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি সচিবালয় দেশের ১০টি ব্যাংক ও ১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অফিসার (সাধারণ) পদে বড় পরিসরের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।

এসব প্রতিষ্ঠানে মোট ১ হাজার ৮৮০ জন যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ৩০ নভেম্বরের পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

আরো পড়ুন:

শরিয়াহভিত্তিক ডিজিটাল ব্যাংক চালুর পরিকল্পনা আকিজের

‘বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজ করার স্বাধীনতা দিতে হবে’

বুধবার (২৯ অক্টোবর) এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি সচিবালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে অনুযায়ী, সোনালী ব্যাংকে ২২৬টি, রূপালী ব্যাংকে ৩০টি, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে ১৩৯টি, বেসিক ব্যাংকে ৫০টি , বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে ১ হাজার ২৮৯টি, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে ৪৮টি, বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনে ২০টি, কর্মসংস্থান ব্যাংকে আটটি, আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকে ৩৩টি, প্রবাসী কল্যান ব্যাংকে ২০টি এবং পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে ১৭টি পদে বিপরীতে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হবে।  

২০২৫ সালের ১ জুলাই তারিখে সাধারণ প্রার্থীদের বয়স সর্বোচ্চ ৩০ বছর, আর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধী কোটায় সর্বোচ্চ ৩২ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রার্থীদের স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে কোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বা চার বছর মেয়াদী স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি থাকতে হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে অন্তত একটি প্রথম বিভাগ বা সমমানের সিজিপিএ থাকতে হবে। কোনো পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগ গ্রহণযোগ্য নয়।

বেতন ও সুবিধা: জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ১৬,০০০–৩৮,৬৪০ টাকা এবং অন্যান্য ভাতা ও সুবিধা প্রদান করা হবে।

আবেদন প্রক্রিয়া: আবেদন করতে হবে শুধুমাত্র অনলাইনে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়োগ সংক্রান্ত ওয়েবসাইট https://erecruitment.

bb.org.bd লিংকে প্রবেশ করে আবেদন করতে হবে।

ঢাকা/নাজমুল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বাবার কবরে শায়িত বিজ্ঞানী ও লেখক রেজাউর রহমান

বাবার কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক ড. রেজাউর রহমান। গতকাল বুধবার তাঁকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সলিমুল্লাহ রোড জামে মসজিদ কমপ্লেক্স কবরস্থানে বাবা ফজলুর রহমানের কবরে দাফন করা হয়। এর আগে বাদ আসর এই মসজিদে মরহুমের তৃতীয় জানাজা হয়।

ধানমন্ডির ১২/এ সড়কের তাকওয়া মসজিদে বাদ জোহর রেজাউর রহমানের প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়। এখানে মসজিদের মুসল্লিরা ছাড়াও মরহুমের আত্মীয়, সুহৃদ, অনুরাগী ও শুভানুধ্যায়ী, স্কুল–কলেজের সতীর্থদের অনেকে অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ পরে দাফনেও অংশ নিয়েছেন। জানাজা ও দাফনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, শিল্পী রফিকুন নবী, প্রাবন্ধিক মফিদুল হক, শিল্পী আবুল বার্‌ক্‌ আলভী, মনিরুল ইসলাম, অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক, প্রাণিবিজ্ঞানী অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম, এথিকস অ্যাডভান্স টেকনোলজি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মুবিন খান, লেখক আনিসুল হকসহ কবি, শিল্পী, চিকিৎসকদের অনেকে।

প্রথম জানাজার পরে শেষবারের মতো রেজাউর রহমানের মরদেহ তাঁর ধানমন্ডির বাসভবনে আনা হয়। এখানে পরিবারের সদস্য, বিশেষত নারী আত্মীয়স্বজনসহ অনেকে শেষবারের মতো তাঁকে দেখতে আসেন। বাসভবন ছেড়ে যাওয়ার আগে এখানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবেশী ও স্বজনেরা জানাজায় অংশ নেন। এরপর দাফনের জন্য মোহাম্মদপুর সলিমুল্লাহ রোড জামে মসজিদে আনা হয়।

রেজাউর রহমান ৮১ বছর বয়সে ২৬ অক্টোবর রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় ল্যাবএইড হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।

আরও পড়ুনরেজাউর রহমানের চলে যাওয়া শুধু ব্যক্তিগত ক্ষতি নয়…২৭ অক্টোবর ২০২৫

ব্যক্তিগত জীবনে বিনয়ী ও সদাচারী ছিলেন রেজাউর রহমান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৯৬৫ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। পরে ১৯৭৯ সালে চেক একাডেমি অব সায়েন্সেস-প্রাগ থেকে কীটতত্ত্বে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। দীর্ঘ ৩৫ বছর কাজ করেছেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে। পেশাগত জীবনে কীটপতঙ্গ নিয়ে দেশ-বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করেছেন তিনি।

পেশাগতভাবে বিজ্ঞানী হলেও লেখক

হিসেবে রেজাউর রহমান বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। দেশের বিজ্ঞানবিষয়ক লেখক হিসেবে তিনি ছিলেন বিশিষ্ট স্থানে। বিজ্ঞানে সামগ্রিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২৪ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। সাহিত্যচর্চা ও বিজ্ঞান গবেষণার পাশাপাশি দেশের বিজ্ঞানচর্চার বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন রেজাউর রহমান।

আরও পড়ুনগ্রহান্তরে ভালো থাকবেন ড. রেজাউর রহমান২৮ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ