বন্দরে গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় থানায় অভিযোগ
Published: 29th, October 2025 GMT
বন্দরে ওয়ারিশ সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গৃহবধূ অজুদা বেগম (৩৮)কে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ ভাসুর মাহামুদ্দুল্লাহ বাদী হয়ে নির্দেশদাতা চাচা আলাউদ্দিন দেওয়ান ও ফুপু খোদেজা বেগমসহ হামলাকারী চাচাত ভাইদের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
এর আগে গত শনিবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টায় বন্দর থানার ১৯ নং ওয়ার্ডের মদনগঞ্জ ১০১, এম এন ঘোষাল রোড এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
অভিযোগের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার ১৯ নং ওয়ার্ডের মদনগঞ্জ ১০১, এম এন ঘোষাল রোড এলাকার মৃত শাহাদাত হোসেন দেওয়ানের ছেলে মহামুদ্দুল্লাহসহ তার ওয়ারিশগন বহু বছর ধরে তার পৈত্রিক সম্পত্তিতে বসবাস করে আসছে।
অভিযোগের বাদী দাদা মৃত্যুবরণ করার সময় সকল সম্পত্তি এজমালি রেখে যান। পরবর্তিতে বাদী পিতা মৃত্যুবরণ করার পর তার প্রাপ্ত সকল সম্পত্তি বাদীসহ তার ওয়ারিশগন মালিক হয়ে ভোগদখলে নিয়জিত রযেছে।
বাদী ওয়ারিশ সম্পদ লোভী চাচা আলাউদ্দিন দেওয়ান ও ফুপু খোদেজা বেগমসহ একটি চক্র বাদী মাহামুদ্দুল্লাহ ও তার ওয়ারিশগনের সম্পত্তি সম্পর্ন অবৈধ ভাবে ভোগ দখল করে রেখেছে।
এ ছাড়াও উল্লেখিত চাচা ও ফুপুরা বাদী পিতার পৈতৃক সম্পত্তি থেকে তাদেরকে বিতারিত করার জন্য নানা ভাবে ভয়ভীতি এবং খুন জখমের হুমকি প্রদান করে আসছে।
এর ধারাবাহিকতা গত শনিবার সন্ধ্যায় ভূমিদৎসু চাচা আলাউদ্দিন দেওয়ান ও ফুপু খোদেজা বেগমের নির্দেশে ভূমিদৎসু আলাউদ্দিন দেওয়ানের ২ ছেলে সানি দেওয়ান ও ডেনি দেওয়ান অভিযোগের বাদী বসত বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে বাদী ছোট ভাইয়ের স্ত্রী অযুদা বেগম (৩৮) কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ মারমুখী আচরণ করে বাসা থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে।
এ ব্যাপারে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী প্রতিবাদ করলে ওই সময় বিবাদী সানি দেওয়ান ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে গলায় টিপে শ্বাস রোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়। একই সাথে ৪নং বিবাদী ডেনি দেওয়ান উল্লেখিত গৃহবধূকে শ্লীতাহানি করে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: হত য ন র য়ণগঞ জ গ হবধ
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে পুলিশের উপর সন্ত্রাসী হামলা, ৩ নারীসহ গ্রেপ্তার ৪
বন্দরে পুলিশের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ নারীসহ ৪ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই সময় স্থানীয় এলাকাবাসী আহত পুলিশ সদস্য জনী (৩৫)কে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেছে। বর্তমানে সে বন্দর থানার মদনগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে কনস্টেবল পদে কর্মরত রয়েছে।
সন্ত্রাসী হামলায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, বন্দর থানার দড়ি সোনাকান্দা এলাকার জয়নাল মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন (৩০) একই এলাকার মৃত মনির হোসেনের মেয়ে ও রবিউল ইসলামের স্ত্রী লেডি সন্ত্রাসী মুন্নি আক্তার (২৭) সোনাকান্দা বেপারীপাড়া এলাকার নুরুল আমিন মিয়ার মেয়ে ফারজানা আক্তার (২৫) ও একই এলাকার মনির হোসেনের মেয়ে ও সোহেল মিয়ার স্ত্রী সুমা (২২)।
এ ব্যাপারে মদনগঞ্জ ফাঁড়ি উপ-পরিদর্শক সৈয়দ জাকির হোসেন বাদী হয়ে সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে গ্রেপ্তারকৃত ৪ হামলাকারিসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ্য করে ও আরো ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে সংশ্লিষ্ট থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তারকৃতদের সোমবার দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে গত রোববার (১৬ অক্টোবর) রাত ১০টায় বন্দর থানার ২০ নং ওয়ার্ডের দড়ি সোনাকান্দা এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে।
থানার তথ্য সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাতে মদনগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বন্দর থানার দড়ি সোনাকান্দা এলাকায় মাদক উদ্ধারের অভিযান পরিচালনা কালে গ্রেপ্তারকৃত আসামীরাসহ অজ্ঞাত নামা মাদক কারবারিরা পুলিশের উপর লক্ষ করে অতর্কিত হামলা চালায়। ওই সময় হামলাকারিরা পুলিশ সদস্য জনীক বেদম ভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতরা মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। তারা দীর্ঘ দিন ধরে উল্লেখিত এলাকায় অবাধে মাদক বিক্রি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে।
এর ধারাবাহিকতা গত ১৫ অক্টোবর রাত ৮টায় বন্দর থানার দড়ি সোনাকান্দা এলাকার মৃত জামাল হোসেনের ছেলে শওকত মিয়া কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে বন্দর থানাধীন দড়ি সোনাকান্দা বেপারীপাড়া সাকিনস্থ ধৃত লেডী সন্ত্রাসী মুন্নী বেগমের মুদি দোকানের সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌঁছামাত্র বিবাদী মুন্নীসহ অন্যান্য বিবাদীগন পথ গতিরোধ
অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ শওকতের নিকট ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে।
আমি বিবাদীদের দাবীকৃত চাঁদার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় বিবাদীগন আমাকে মারপিট করার জন্য উদ্যত হয়।