মামুন হত্যার ঘটনা উল্লেখ করে নিম্ন আদালত এলাকার নিরাপত্তা চেয়ে ডিএমপি কমিশনারকে চিঠি
Published: 11th, November 2025 GMT
পুরান ঢাকায় নিম্ন আদালত এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনারকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের পক্ষ থেকে আজ মঙ্গলবার এই চিঠি পাঠানো হয়।
চিঠিতে পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে গতকাল সোমবার তারিক সাইফ মামুন হত্যার ঘটনা উল্লেখ করে এর মধ্য দিয়ে আদালত প্রাঙ্গণের নিরাপত্তা কতটা নাজুক, তা তুলে ধরা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেসিতে ৩৭টি আদালত বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এই আদালতগুলোয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও চাঞ্চল্যকর মামলা আমলে গ্রহণ ও বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
ঢাকা মহানগরের ৫০টি থানার বিভিন্ন ধরনের মামলা পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটসহ অন্যান্য আদালতের বিচারকদের নিরাপত্তার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিচারকেরা এজলাসে বিচারকার্য, খাস কামরায় বিভিন্ন মামলার আদেশ ও রায় লেখার কাজ করে থাকেন। এর ফলে তাঁদের বাসায় ফিরতে প্রতিদিন প্রায় সন্ধ্যা হয়। এই আদালত ভবন এলাকা ও রাস্তায় বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ দোকান ও যানবাহন যত্রতত্রভাবে পরিচালনা করা হয়। এটি আদালত–সংশ্লিষ্ট সবার নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
আরও পড়ুনখুনের মামলায় হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে খুন হন মামুন১০ নভেম্বর ২০২৫সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, তারিক সাইফ মামুন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন (বাঁয়ে)। দুই ব্যক্তি খুব কাছে থেকে তাঁকে গুলি করছেন (ডানে).উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর চ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ঘুষি মেরে আনসার সদস্যের নাক ফাটাল অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) বেপরোয়া অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটের সদস্যরা এবার এক আনসার সদস্যের নাক ফাটিয়ে দিয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করে।
আহত আনসার সদস্যের নাম ফিরোজ সরকার। আটক তিনজন হলেন- অ্যাম্বুলেন্স চালক রজব, আব্দুল্লাহ ও মারুফ। ঘটনার পর অভিযান শুরু হলে অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটের মূল হোতা বলে অভিযুক্ত আল মামুন রাব্বুল, বাদশা, ডালিম ও আলিম গা-ঢাকা দিয়েছেন।
আনসার সদস্যরা জানান, দুপুরে হাসপাতালের চার নম্বর ফটকে দায়িত্ব পালন করছিলেন ফিরোজ সরকার। এই ফটক দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশ নিষেধ। তারপরও একটি অ্যাম্বুলেন্স ফটক দিয়ে ঢুকে পড়ে। ফিরোজ আলম এ ভাবে ঢুকে পড়ার কারণ জানতে চাইলে অ্যাম্বুলেন্স চালকের সঙ্গে তার তর্ক বাধে।
এ সময় আরেকটি অ্যাম্বুলেন্সের চালক এসে ফিরোজ আলমকে ঘুষি মারেন। এতে তার নাক ফেটে রক্ত ঝরতে থাকে। এ নিয়ে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
পরে অ্যাম্বুলেন্স চালকেরা হাসপাতালের বাইরে গিয়ে রাস্তার পাশে লাঠি ও হাসুয়া নিয়ে অবস্থান নেন। আর আনসার সদস্যরা অবস্থান নেন হাসপাতালের সামনে। খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র্যাব সদস্যরা আসেন। তারা অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করেন।
উল্লেখ্য, অভিযোগ রয়েছে রামেক হাসপাতালে বহিরাগত অ্যাম্বুলেন্স চালকদের সিন্ডিকেট খুবই বেপরোয়া। তারা রোগী এবং মরদেহ জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেন। যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে, তখন সে দলের স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি এই সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করেন। তাদের দৌরাত্ম বন্ধে সম্প্রতি রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএফএম শামীম আহম্মদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেন।
ঘটনার বিষয়ে হাসপাতাল পরিচালক বলেন, ‘‘বহিরাগত এই অ্যাম্বুলেন্স চালকেরা খুবই বেপরোয়া। তাদের মধ্যে কোনো রকম মানবিক মূল্যবোধ নেই। তারা রীতিমতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে। বিষয়টি জানিয়ে সম্প্রতি আমি বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়েছি। এরই মধ্যে এমন ঘটনা ঘটল। তিনজন ধরা পড়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।’’
উল্লেখ্য, যে অ্যাম্বুলেন্সটি ঢুকে পড়া নিয়ে ঘটনা, সেটি জব্দ করে নিয়ে গেছে পুলিশ।
ঢাকা/শিরিন//