Prothomalo:
2025-11-11@15:34:34 GMT

তিনি একাই এক শ

Published: 11th, November 2025 GMT

তিন বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার পর পর্দায় দেখা গেল দক্ষিণি তারকা পবন কল্যাণকে। তেলেগু ইন্ডাস্ট্রিতে পবন কল্যাণ মানেই হল উপচে পড়া দর্শক। শুধু তাঁর নামেই সিনেমা চলেছে, এমন উদাহরণও আছে অনেক। গত ২৯ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাওয়া ‘দে কল হিম ওজি’ সিনেমার ক্ষেত্রেও দেখা গেল এমনটাই। সিনেমার মুক্তি বারবার পেছালেও ট্রেলার মুক্তির আগেই বিক্রি হয়েছে ২২ কোটি রুপির টিকিট! প্রেক্ষাগৃহের পর সম্প্রতি সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে। ওটিটিতেও পবন কল্যাণ ঝড় থেমে নেই। মুক্তির প্রায় তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও সিনেমাটি এখনো রয়েছে নেটফ্লিক্স ইন্ডিয়া ও বাংলাদেশের শীর্ষ তালিকার দুইয়ে।

একনজরে
সিনেমা: ‘দে কল হিম ওজি’
চিত্রনাট্য ও পরিচালনা: সুজিত
ধরন: অ্যাকশন, ক্রাইম  
অভিনয়: পবন কল্যাণ, ইমরান হাশমি, সুধেভ নায়ার, শ্রীয়া রেড্ডি, প্রকাশ রাজ, প্রিয়াঙ্কা মোহন, অর্জুন দাস
স্ট্রিমিং: নেটফ্লিক্স
রানটাইম: ২ ঘণ্টা ৩৪ মিনিট

‘বাহুবলী’ তারকা প্রভাসকে নিয়ে ২০১৯ সালে সুজিত বানিয়েছিলেন ‘সাহো’ সিনেমাটি। বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে না পড়লেও সুজিতকে ধুয়ে দিয়েছিলেন দর্শকেরা। বিগ বাজেটের সিনেমা আর নামী তারকাদের নিলেই যে ভালো সিনেমা হয় না, ‘সাহো’ ছিল তার প্রমাণ। ‘সাহো’র ছয় বছর পর সুজিত ফিরলেন বড় বাজেটের সিনেমা নিয়ে। তবে তেলেগু নির্মাতার এই সিনেমা যতটা না গল্পে মাতাল, তার চেয়ে বেশি যেন পবন কল্যাণকে শ্রদ্ধা জানানোর প্রচেষ্টা! এর মধ্যে বাড়তি যোগ ছিলেন বলিউড অভিনেতা ইমরান হাশমি। তেলেগু ইন্ডাস্ট্রিতে এই সিনেমার হাত ধরেই অভিষেক হলো তাঁর। তাই সিনেমার পর্দায় পবন কল্যাণের প্রত্যাবর্তন তাঁর ভক্তরা যেমন উপভোগ করেছেন, তেমনি অ্যাকশন সিনেমায় ইমরান কেমন করেন সেটা দেখার জন্যও বলিউডের সিনেমাপ্রেমীরা যে মুখিয়ে ছিলেন, বলাই বাহুল্য।

জাপান ও মুম্বাইয়ের অপরাধজগতের গল্প দেখানোর মাধ্যমে শুরু হয় ‘দে কল হিম ওজি’। টোকিওতে এক গোপন সংঘের অধীনে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন ওজাস গম্ভীরা নামে এক তরুণ সামুরাই। কিন্তু জাপানি গ্যাংস্টার দল ইয়াকুজার তাণ্ডবে সে সংঘের সবাই মারা পড়ে, বেঁচে যায় একমাত্র ওজাস গম্ভীরা তথা ওজি। ভাগ্যের ফেরে ওজাসের পরিচয় হয় সত্যনারায়ণ ওরফে সত্য দাদার (প্রকাশ রাজ) সঙ্গে। ওজাস প্রতিজ্ঞা করে যা কিছুই হয়ে যাক, সে সত্য দাদা এবং তাঁর পরিবারকে সব সময় রক্ষা করবে। সত্য দাদা স্বপ্ন দেখেন মুম্বাইয়ে একটি বন্দর তৈরি করার। নব্বইয়ের দশকের সে মুম্বাইতে অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণ করে বন্দর নিয়ন্ত্রণ করতে ওজাসই ছিল তাঁর একমাত্র ভরসা।
কিন্তু বহুদিন ধরে ওজাস নিখোঁজ। কেউ জানে না কোথায় সে। এদিকে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে প্রভাবশালী ব্যবসায়ী মিরাজকর (তেজ সাপ্রু)।

‘দে কল হিম ওজি’ সিনেমায় পবন কল্যাণ। আইএমডিবি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সন্ত্রাসীদের দেখামাত্র ব্রাশফায়ারের নির্দেশ চট্টগ্রাম পুলিশ কমিশনারের

সন্ত্রাসীদের দেখামাত্র সাবমেশিনগান (এসএমজি) থেকে ব্রাশফায়ার করার নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে মৌখিকভাবে নিজস্ব বেতার বার্তায় তিনি থানা ও টহল পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে এ নির্দেশনা দেন। বেতার বার্তায় পুলিশ কমিশনার বলেন,‘শটগান হবে না, চায়না রাইফেলও বাদ, এখন এসএমজি ব্রাশফায়ার মুডে থাকবে।’

বেতার বার্তায় যেকোনো পরিস্থিতি এবং নাশকতা এড়াতে টহল টিমগুলোকে এসএমজি ছাড়াও শটগান, দুইটি গ্যাসগান এবং টিম ইনচার্জকে নাইন এমএম পিস্তল বহন করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া স্থায়ী চেকপোস্ট ৭টি থেকে বাড়িয়ে ১৩টি করতে নির্দেশ দিয়েছেন কমিশনার। সব দায় কমিশনার বহন করবেন বলে জানান।

জানতে চাইলে বিষয়টি স্বীকার করেন নগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ। তিনি সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাইরে থেকে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা এসে নগরবাসীকে গুলি করে চলে যাবে, তা হতে পারে না। এ জন্য সন্ত্রাসীদের দেখামাত্র এসএমজি দিয়ে ব্রাশফায়ার করার নির্দেশ দিয়েছি। দেখামাত্র ব্রাশফায়ার নিরস্ত্র জনসাধারণের জন্য নয়। যার হাতে অস্ত্র নেই, তার ওপর তো আর এসএমজি ইউজ করব না।’

এক প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ সংগঠন। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ এই জঙ্গি সংগঠন অরাজকতা করতে রাস্তায় নামলে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। গুলি চালানো হবে না। গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হবে। পাঠানো হবে আদালতে।’

পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, ‘সন্ত্রাসী সরোয়ার বাবলা হত্যায় জড়িত কয়েকজন আসামিকে এর আগে আমরা ধরে দিয়েছিলাম। কিন্তু বেশি দিন তাঁরা কারাগারে থাকেননি। কয়েক সপ্তাহ পর জামিনে বেরিয়ে আসেন।’

গত বুধবার সন্ধ্যায় নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার চালিতাতলীর খন্দকারপাড়া এলাকায় চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর জনসংযোগের বহরে গুলিতে তিনিসহ পাঁচজন আহত হন। তাঁদের মধ্যে মারা যান জনসংযোগের বহরে থাকা ‘সন্ত্রাসী’ সরোয়ার হোসেন। পুলিশ জানায়, সরোয়ারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অস্ত্র, হত্যাসহ ১৫টি মামলা রয়েছে।

ওই ঘটনা নিয়ে যখন নগরজুড়ে মাতামাতি, তখন শুক্রবার নগরের হালিশহর মাইজপাড়া এলাকায় মো. আকবর নামের এক ব্যক্তিকে রাস্তায় প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় মাদকের মামলা রয়েছে।

এর আগে ব্যানার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে গত ২৭ অক্টোবর নগরের বাকলিয়া বগার বিলের মুখ এলাকায় ছাত্রদলের কর্মী মো. সাজ্জাদকে (২২) গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অন্তত ১০ জন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ