ডাকসু-জাকসুর ভিপি-জিএস-এজিএসরা পূর্বে ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন: নাছির
Published: 11th, November 2025 GMT
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেছেন, “ডাকসু (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ) ও জাকসুর (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ) ভিপি, জিএস ও এজিএস পদে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা পূর্বে ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে এসব পদে নির্বাচিত সবাই ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে হলে অবস্থান করেছেন এবং ছাত্রলীগের কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন।”
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (টিএসসি) ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আরো পড়ুন:
সাংবাদিক শামছুর ইসলামের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত জিডি প্রত্যাহার দাবি
২৪ ঘণ্টার মধ্যে রেজিস্ট্রারের অপসারণ চায় রাকসু
নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ চারটি কেন্দ্রে ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা নানা অনিয়মে জর্জরিত ছিল। আমরা দেখেছি, ডাকসু নির্বাচনে ভিপি, জিএস ও এজিএস প্রার্থীরা স্বৈরশাসকের আমল থেকেই পরিচয় গোপন করে হলে অবস্থান করেছে এবং ছাত্রলীগের সঙ্গে প্রকাশ্যভাবে যুক্ত থেকে নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিল। জুলাই আন্দোলনে তাদের কাউকেই রাজপথে দেখা যায়নি। অথচ এই বাংলাদেশকে স্বৈরশাসকের হাত থেকে মুক্ত করতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ১৪২ জন নেতা-কর্মী শহীদ হয়েছেন এবং অসংখ্য কর্মী আজো আহত অবস্থায় সুস্থ হওয়ার অপেক্ষায় আছেন।”
ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রদলের পিছিয়ে থাকার কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বিগত সময়ে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কারণে অসংখ্য নেতা-কর্মী বিনা কারণে জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন। একজন কর্মীও হলে অবস্থান করতে পারেননি, বঞ্চিত হয়েছেন মৌলিক অধিকার থেকে। ছাত্র সংসদ নির্বাচনে আমাদের আরো ভালো করা উচিত ছিল। তবে এই নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা আমাদের সংগঠনকে আরো সুসংগঠিত করতে পেরেছি। ভবিষ্যতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল প্রত্যেক ছাত্র সংসদ নির্বাচনে আরো ভালো ফলাফল অর্জন করবে।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল ছ ত রদল র অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে এনসিপির মনোনয়ন নিলেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসন থেকে এনসিপির মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী কাজী মুমিনুল হাসান।
তিনি দলটির নাসিরনগর উপজেলার যুগ্ম-সমন্বয়কারী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল সেলের সদস্য।
আরো পড়ুন:
জুবায়েদ হত্যা: জবিসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই বিএনসিসির কার্যক্রম, আদায় হচ্ছে ফি
সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী এবং সেক্রেটারি ডা. তাসনিম জারার কাছ থেকে মনোনয়ন ফর্ম সংগ্রহ করেন তিনি।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মুমিনুল হাসান বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ফলে এনসিপির আত্মপ্রকাশ ঘঠেছে। তার উদ্দেশ্য ছিল ৯০ এর গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হলেও ২৪ এর আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করা। ব্যর্থতা সফলতা যাই হোক না কেন, শেষ রক্ত বিন্দু পর্যন্ত এ সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।”
তিনি বলেন, “স্বাধীনতা পরবর্তী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে আমরা কোনো যথাযোগ্য নেতাকে নির্বাচিত করতে পারিনি। দুঃখজনক হলেও সত্য, এই আসন থেকে আজ পর্যন্ত স্বনামধন্য মন্ত্রী-এমপি এলেও নাসিরনগরবাসীর কাঙ্ক্ষিত জীবন মানের উন্নয়ন হয়নি। শিক্ষার মান এখনো তলানিতে। এই আসনটি চির অবহেলিত এবং বড় ধরনের কোনো উন্নয়ন হয়নি। এমনকি, বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ গ্যাস উত্তোলন ক্ষেত্রটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবস্থিত হলেও নাসিরনগরবাসী এর সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। সুযোগ পেলে এর সুষম বণ্টনের ব্যবস্থা করবো ইনশাআল্লাহ।”
কাজি মুমিনুল হাসানের পৈতৃক বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার বুড়িশ্বর গ্রামে। তিনি ২০১৯ সালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করে ঢাকা জজ কোর্টে শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে কর্মরত আছেন।
বর্তমানে তার বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত ‘মাওলানা আবু আহমদ কল্যাণ ট্রাস্ট’ এর অধীনে সমাজসেবামূলক কাজে নিয়োজিত আছেন। ওই ট্রাস্টের অধীনে মসজিদের জন্য শতাধিক অযুখানা ও মসজিদ নির্মাণসহ পারিবারিক টিউবওয়েল স্থাপন করেছেন। শীতকালীন বস্ত্র বিতরণ ও কুরবানী ঈদে শতাধিক পশু কুরবানি ও বিতরণের পাশাপাশি অঞ্চলের বিশাল একটা জনগোষ্ঠী হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়া সত্বেও তারা সেই ট্রাস্ট থেকে বিভিন্ন সহযোগিতা পাচ্ছেন।
তার বাবা মাওলানা আবু আহমদ একজন সরকারি নিকাহ রেজিস্ট্রার ও সাবেক দাখিল মাদ্রাসার সুপারিন্টেন্ডেন্ট এবং মা গৃহীনী। ছয় ভাইয়ের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়।
ঢাকা/মুজিবুর/মেহেদী