গাজীপুরের কালিয়াকৈরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকসহ ৩৮ জনের নামে মামলা হয়েছে। মামলায় আরো ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে মতিউর রহমান নামে এক যুবক মামলাটি করেন। ওই মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

কালিয়াকৈর থানার ওসি রিয়াদ মাহমুদ বলেন, “একটি মামলা হয়েছে। একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।” 

আরো পড়ুন:

কুমিল্লার আ.

লীগ নেতা কবিরুল কারাগারে 

‌‘আমার কাছে বালির মূল্য বেশি, মানুষের কোনো মূল্য নাই’

গ্রেপ্তারকৃত হলেন- উপজেলার মৌচাক জামতালা এলাকার আকরাম আলীর ছেলে ও মৌচাক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ছামান উদ্দিন (৬০)। 

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুরাদ কবির ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন সিকদার, কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সরকার মোশারফ হোসেন, কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সারোয়ার হোসেন শামিম, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সেলিম আজাদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ, মৌচাক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান সিকদার ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল্লাহ বেলালী, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম তুষার, মৌচাক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে মতিউর রহমানসহ দুই-তিন হাজার ছাত্র-জনতা সফিপুর বাজার থেকে মিছিল নিয়ে চন্দ্রার দিকে যাচ্ছিলেন। আনসার একাডেমির ৩ নম্বর গেটের সামনে পৌঁছালে আসামিদের সঙ্গে মিছিলকারীদের সংঘর্ষ শরু হয়। এসময় আওয়ামী লীগের নেতাদের নির্দেশে ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করা হয়। আসামিদের ছোররা গুলিতে বাদী আহত হন। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। অবস্থার উন্নতি না হলে, তাকে পঙ্গু হাসপাতাল থেকে কুর্মিটোলা জেরারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। 

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্প দায় চাপালেন বাইডেনের ওপর

বছরের প্রথম তিন মাসে আমদানি বেড়ে যাওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি অপ্রত্যাশিতভাবে সংকুচিত হয়েছে। এই আমদানি বৃদ্ধির পেছনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক পরিকল্পনার প্রভাব রয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। এপ্রিল মাসের শুরুতে কার্যকর ট্রাম্পের ব্যাপক বাণিজ্য শুল্কনীতি কার্যকর হওয়ার আগে, মার্কিন ভোক্তাদের বিদেশি পণ্য মজুত করার প্রবণতা ও আমদানির তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ অবস্থা তৈরি হয়েছে।

তবে এ পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দেশবাসীকে ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিয়ে এর জন্য পূর্ববর্তী বাইডেন প্রশাসনের ওপর দায় চাপিয়েছেন। এদিকে আমদানি পণ্যে ব্যাপকভাবে শুল্ক আরোপ করায় ট্রাম্পের জনপ্রিয়তাও হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু এতে না দমে শিগগিরই অর্থনীতি ও জনপ্রিয়তার ‘পুনরুত্থান’ ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

দ্য ইকোনমিক নিউজ-এর বরাত দিয়ে এএফপি জানায়, ওয়াল স্ট্রিট-এর তিনটি প্রধান সূচকই পড়ে গেছে, নাসডাক ২ শতাংশের বেশি কমেছে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ পরিস্থিতির জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নীতিকে দায়ী করে বলেন, ‘এটাই বাইডেন, এটি ট্রাম্প নয়।’ তবে তিনি প্রথম প্রান্তিকে মোট স্থায়ী বিনিয়োগ ২২ শতাংশ বৃদ্ধির বিষয়টিকে বিস্ময়কর ও লক্ষণীয় বলে উল্লেখ করেছেন। জো বাইডেনের সময় যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ছিল ২ শতাংশের ওপরে। ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ছিল ২ দশমিক ৮ শতাংশ। কিন্তু চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে জিডিপি শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যা ২০২২ সালের পর প্রথম সংকোচন। গত বুধবার মার্কিন বাণিজ্য পরিদপ্তর জানিয়েছে, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রথম ত্রৈমাসিকে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ বার্ষিক হারে হ্রাস পেয়েছে, যা ২০২৪ সালের শেষ মাসগুলোতে ছিল ২ দশমিক ৪ শতাংশ। বাণিজ্য নীতিতে হঠাৎ পরিবর্তনের কারণে আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানায় বাণিজ্য পরিদপ্তর।

রয়টার্স জানায়, মার্কিন মন্ত্রিসভার দীর্ঘ দুই ঘণ্টার এক বৈঠক চলাকালে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা হস্তান্তর করে দেওয়া সত্ত্বেও কিছু সংখ্যা ছিল, যেগুলো আমরা ঘুরিয়ে দিয়েছিলাম আর আমরা সত্যিই সেগুলো ঘুরিয়ে দিচ্ছিলাম।’ মন্ত্রিসভার এই বৈঠক টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। এর আগে ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো অর্থনীতির সংকোচন নিয়ে বলেন, এটি হ্রাস পেয়েছে কারণ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগে বিদেশ থেকে পণ্য কিনছে। তার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানানো ট্রাম্পের আরেক দাবির সঙ্গে বিরোধপূর্ণ। ট্রাম্প বলেছিলেন, শেয়ারবাজারের দরপতনের ক্ষেত্রে শুল্কের কোনো ভূমিকা নেই। ট্রাম্প ইতিমধ্যে তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম ১০০ দিন পার করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ