টাকার হিসাব করছিলেন শ্রমিক নেতা, মোটরসাইকেলে দুর্বৃত্তরা এসে গুলি চালাল
Published: 18th, January 2025 GMT
রাজধানীর বাড্ডায় দুর্বৃত্তের গুলিতে জুয়েল খন্দকার নামে এক পরিবহন শ্রমিক নেতা আহত হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় মধ্য বাড্ডা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ডান উরুতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসাধীন জুয়েল হাসপাতালে জানান, জাতীয়তাবাদী পরিবহন চালক শ্রমিক দল নামে একটি সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক তিনি। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি মধ্য বাড্ডার মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে এএনজেড ভবনের নিচে একটি সমিতির টাকার হিসাব করছিলেন। তখন ছয়-সাতটি মোটরসাইকেলে একদল দুর্বৃত্ত এসে তাঁকে গুলি করে পালিয়ে যায়। তাদের সবার মাথায় হেলমেট থাকায় চিনতে পারেননি।
তিনি জানান, এর কয়েক ঘণ্টা আগে তাঁর মোবাইল ফোনে কল করে নিজেকে ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী মাহবুব’ পরিচয় দিয়ে দুবাই থেকে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। তিনি চাঁদা দিতে রাজি হননি। এর জের ধরে গুলি করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন তিনি।
বাড্ডা থানার ডিউটি অফিসার এসআই মোবাশ্বের রহমান বলেন, গুলির ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। প্রকৃতপক্ষে কী ঘটেছে তা তদন্তের পর বলা যাবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু
খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।
আরো পড়ুন:
গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের
নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা
স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।
ঢাকা/রূপায়ন/বকুল