ইরানে দুই বিচারককে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট ভবনের বাইরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, শনিবার তেহরানের সুপ্রিম কোর্ট ভবনের বাইরে গুলিতে দুই বিচারক নিহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন, মধ্যম স্তরের শিয়া মুসলিম ধর্মগুরু মোহাম্মদ মোগিসেহ এবং আলী রাজিনি।

বিচার বিভাগের মিজান অনলাইন ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, “সুপ্রিম কোর্টের তিনজন বিচারককে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে দুজন শহীদ এবং একজন আহত হয়েছেন। আক্রমণকারী আত্মহত্যা করেছে।”

হত্যার উদ্দেশ্য এখনো স্পষ্ট না হলেও বিচার বিভাগের মুখপাত্র আসগর জাহাঙ্গীর রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জানিয়েছেন, দুই বিচারক দীর্ঘদিন ধরে ‘গুপ্তচরবৃত্তি এবং সন্ত্রাসবাদসহ জাতীয় নিরাপত্তা মামলায়’ জড়িত ছিলেন।

তিনি বলেছেন, “গত এক বছরে, বিচার বিভাগ গুপ্তচর এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে চিহ্নিত করার জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টা চালিয়েছে, যা শত্রুদের মধ্যে ক্ষোভ এবং বিরক্তির জন্ম দিয়েছে।”

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, এই মামলাগুলো ইসরায়েল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত ইরানি বিরোধী দলের সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের সাথে সম্পর্কিত। 

বিরোধী দলের ওয়েবসাইটগুলো অতীতে জানিয়েছিল, মোগিসেহ রাজনৈতিক বন্দিদের বিচারে জড়িত ছিলেন।

এর আগে ১৯৯৮ সালে রাজিনিকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

এনসিপির উদ্বেগ আদালত অবমাননার শামিল: ইশরাক

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদ নিয়ে ইশরাক হোসেনের মামলা, রায় এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তৎপরতা নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উদ্বেগ প্রকাশের বিষয়টিকে আদালত অবমাননার শামিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেন। তিনি বলেছেন, এনসিপি আইনের ব্যাখ্যা এবং আইন সম্পর্কে অজ্ঞ থাকায় ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে। একই সঙ্গে বিজ্ঞ আদালতের আদেশকে অবমাননা করেছে।

বুধবার রাতে এক প্রতিবাদলিপিতে ইশরাক হোসেনের পক্ষে তাঁর আইনজীবী রফিকুল ইসলাম এ কথা বলেছেন। এর আগে গতকাল বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছিল এনসিপি।

দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি হওয়া নিয়ে এনসিপির উদ্বেগের বিষয়টি উল্লেখ করে ইশরাক হোসেনের পক্ষে পাঠানো প্রতিবাদলিপিতে তাঁর আইনজীবী বলেন, মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির কারণ নিয়ে এনসিপির বক্তব্য একেবারেই শিশুসুলভ। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় যেকোনো মামলায় দ্রুত নিষ্পত্তির বিজ্ঞ আদালতের একটি সহজাত ক্ষমতা। তা ছাড়া ২০২০ সালে দায়ের করা মামলাটি ২০২৫ সালে নিষ্পত্তি হয়েছে। এটি দীর্ঘ পাঁচ বছরের অধিক সময় অতিক্রান্ত হয়েছে, যা মোটেও সংক্ষিপ্ত সময় নয়; বরং মোকদ্দমাটি আরও আগেই নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন ছিল।

নির্বাচনী মামলার নিষ্পত্তি সংক্ষিপ্ত সময়ে হওয়া উচিত উল্লেখ করে প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, এনসিপির এ জাতীয় বক্তব্য আদালত অবমাননার শামিল। এ ছাড়া এ-সংক্রান্ত যে বক্তব্য দিয়েছে, তার সম্পূর্ণ আইনি অজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ। মামলার তদবিরকারক বাদীর ইচ্ছা অনুযায়ী যে কেউ হতে পারে বিধায় বিজ্ঞ আদালত হলফনামা গ্রহণ করেছেন, যা সম্পূর্ণ আইন মেনেই করা হয়েছে। এ ছাড়া আদালত কোনো প্রকার বিচার-বিশ্লেষণ করেননি বলে যে বক্তব্য এনসিপি দিয়েছে, তা এককথায় তাদের জ্ঞানের স্বল্পতারই বহিঃপ্রকাশ এবং আদালত অবমাননার শামিল।

প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়, ‘আদালত যথাযথ আইন মেনেই রায় প্রদান করেন। এ ক্ষেত্রে কেউ যদি ন্যায়বিচার হয়নি বলে মনে করে, তাহলে উচ্চ আদালতে আপিল করার সুযোগ আছে এবং তার বক্তব্য ওই উচ্চ আদালতে রাখারও সুযোগ আছে। এভাবে প্রেসনোট দিয়ে বক্তব্য প্রদান দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করা ও বিজ্ঞ আদালতকে অবমাননা ছাড়া কিছুই নয়।’

২০২০ সালে অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের ফল বাতিল করে সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে বিএনপি নেতার ইশরাক হোসেনকে গত ২৭ মার্চ মেয়র ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন আদালত। এর এক মাস পর আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গেজেট প্রকাশের পর এটি বর্তমানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এই মন্ত্রণালয় থেকে শপথ গ্রহণের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করার কথা। তবে কবে নাগাদ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে, সে বিষয়টি নিয়ে এখন ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।

নির্বাচনের হিসাব অনুযায়ী আগামী ১৫ মে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ