ক্যাপিটলে যাওয়ার আগে প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং তার স্ত্রী জিল ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মেলানিয়াকে হোয়াইট হাউসে এক চায়ের আমন্ত্রণে স্বাগত জানিয়েছেন।

হোয়াইট হাউসের উত্তর পোর্টিকোতে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘ওয়েলকাম হোম’ বলে স্বাগত জানান প্রেসিডেন্ট বাইডেন। হোয়াইট হাউসে প্রবেশের আগে সাংবাদিকরা চিৎকার করে প্রশ্ন করলেও কোনো প্রেসিডেন্টই উত্তর দেননি। আজ প্রথম বারের মতো এই জুটির দেখা হয়েছে।

এরই মধ্যে ইভাঙ্কাসহ ট্রাম্পের পরিবারের সদস্যদের ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে ঢুকতে দেখা গেছে। যেখানে কিছুক্ষণ পরেই নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট যাবেন।

ট্রাম্পের আগমনের ঠিক আগে, বাইডেনকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল হোয়াইট হাউসে তার শেষ দিনে আজ কেমন অনুভব করছেন। উত্তরে ‘ভালো’ বলে বলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি।

চায়ের বৈঠকটি রূদ্ধদার বৈঠক হবে। সেখানে কোন প্রেসের প্রবেশের অনুমতি নেই। প্রেসিডেন্ট মার্টিন ভ্যান বুরেন এবং অ্যান্ড্রু জ্যাকসনের সাথে এই ঐতিহ্যবাহী চায়ের বৈঠক শুরু হয়ে ছিল ১৮৩৭ সালে।

তবে, ২০২১ সালে সেই ঐতিহ্য ভেঙে ট্রাম্প বাইডেনকে চায়ের আমন্ত্রণ করেননি। সে সময় ২০২০ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন এমন মিথ্যা দাবি অনবরত করে গেছেন ট্রাম্প।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো শেখ মুজিবের ‘এক তর্জনী’ স্তম্ভ

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মসূচির প্রতিবাদে ঝিনাইদহে শেখ মুজিবের ‘এক তর্জনি’ স্তম্ভ গুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে শহরের স্বাধীনতা চত্বরে বুলডোজার দিয়ে স্তম্ভটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী জানান, আওয়ামী লীগের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সারা দেশে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে সকালে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে স্বাধীনতা চত্বরে অবস্থিত শেখ মুজিবুর রহমানের ‘এক তর্জনি’ স্তম্ভ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

এর আগে, গত বছরের ৫ আগস্ট ‘এক তর্জনি’ স্তম্ভটি ভাঙচুর করা হয়। তবে, স্তম্ভের কিছু অংশ অবশিষ্ট ছিল। আজ সেই অংশ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব সাইদুর রহমান বলেন, ‘‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে ক্ষমতা ধরে রাখতে অতিতে অগ্নিসংযোগ করে মানুষ হত্যা করেছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হাজার হাজার মানুষকে আওয়ামী লীগ ও হাসিনা পঙ্গু করে দিয়েছে। দেড় হাজারের বেশি ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে। আজও শহীদদের রক্তে রাজপথ ভেজা। আওয়ামী লীগ হায়েনার মতো আবারো অগ্নিসন্ত্রাসে মেতে উঠেছে। যে কারণে, ছাত্র-জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে বাকশালের জনক শেখ মুজিবের স্তম্ভ গুঁড়িয়ে দিয়েছে।’’

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘‘বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা স্তম্ভটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।’’

ঢাকা/শাহরিয়ার/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ