রাজধানীর গুলশান-২ এ মঙ্গলবার রাতে ডিসিসি মার্কেটের সামনে দু’জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে কোটি টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আহতরা হলেন একটি মানি এক্সচেঞ্জের মালিক কাদের শিকদার ও তাঁর শ্যালক আমির হামজা।

কাদের শিকদারের ছোট ভাই মিন্টু শিকদার বলেন, বরুন বর্মণ মার্কেটের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে কাদের শিকদার মোটরসাইকেলে করে বাসায় ফিরছিলেন। সঙ্গে ছিলেন আমির হামজা। তারা কিছুদূর যেতেই ১৫/২০ জন মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে এবং রড দিয়ে আঘাত করে দু’জনকে ফেলে দেয়। হেলমেট ও ইট দিয়ে মাথায় আঘাত এবং কুপিয়ে আহত করে। এ সময় তাদের কাছে থাকা প্রায় কোটি টাকাসহ ব্যাগটি নিয়ে যায়। আহত দু’জনকে সেখান থেকে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

মিন্টু শিকদার আরও বলেন, ‘চার মাস আগে ইয়াসিন শিকদার নামে এক সন্ত্রাসী আমাকে অপহরণ করেছিল। সে সময় তারা ৭৯ লাখ টাকা নিয়ে গিয়েছিল। ওই ঘটনায় কাদের শিকদার বাদী হয়ে মামলা করেন। এ মামলায় ইয়াসিন কারাগারে ছিল। সম্প্রতি জামিনে মুক্ত হলে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে আসছিল। ধারণা করছি, ইয়াসিনই লোকজন দিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।’

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো.

ফারুক জানান, দু’জনকে আহত অবস্থায় নিয়ে আসার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লায় ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে দূর্বৃত্তদের গুলি

ফতুল্লায় কুতুবপুর ইউনিয়নের পাগলা বাজার এলাকায় মোটর সাইকেল যোগে এসে আফসার করিম প্লাজার মালিক নান্টু নামের এক ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে ৩ রাউন্ড গুলি করেছেন দুর্বৃত্তরা।  বৃহস্পতিবার (১ মে) রাত ৮টার দিকে পাগলা বাজার আফসার করিম প্লাজার সামনে ঘটনা ঘটে। 

এ বিষয়ে প্রতক্ষ্যদর্শী ফল ব্যবসায়ী উত্তম  সাংবাদিকদেট জানান, আমি রাস্তার পাশে ফল নিয়ে বসে ছিলাম এমন সময় দেখলাম পাগলা বাজার আবসার করি প্লাজারের মালিক আলহাজ্ব নান্টু সাহেব অপর এক দোকান থেকে ফল কিনছিলেন। 

এমন সময় তিনি গাড়িতে উঠার সময় তাকে লক্ষ্য করে দুইজন যুবক এলোপাথারি বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়, গুলির সময় ব্যবসায়ী নান্টু তার  ব্যবহৃত প্রাইভেট কারে দ্রুত  উঠে পড়েন। পরে সেখান থেকে তিনি গাড়ি নিয়ে ফতুল্লার দিকে  চলে যান। অপরদিকে হামলাকারী সন্ত্রাসীরা মোটর সাইকেল নিয়ে ঢাকার শ্যামপুরের দিকে পালিয়ে যায়।

ঘটনাস্থলে গাড়িতে গুলি করা কাচঁ  পরে থাকতে দেখা যায়। কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি,  এ ঘটনার পর থেকে পাগলা বাজার ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছেন।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শরিফুল ইসলাম  জানান আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি প্রাথমিকভাবে ঘটনা সত্যতা পাওয়া গেছেন তদন্তপূর্বক আইনগনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ