রক্ত দিতে গিয়ে নবীনগরে প্রাণ গেল ২ চাচাতো ভাইয়ের
Published: 2nd, February 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে মোটরসাইকেলে চড়ে রক্ত দিতে গিয়ে ছিলেন শিহাব উদ্দিন (২৫) ও বোরহান উদ্দিন (২৪) নামে আপন দুই চাচাতো ভাই। তবে পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় দুই ভাইয়ের।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে নবীনগর কোম্পানীগঞ্জ সড়কের আলীয়াবাদ এলাকায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিহাব উপজেলার আলীয়াবাদ গ্রামের রফিক মিয়ার ছেলে, বোরহান উদ্দিন একই এলাকার ফরিদ মিয়ার ছেলে।
নবীনগর উপজেলায় ব্লাডগ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা আজহারুল জানান, শিহাব ও বোরহান অতন্ত ভদ্র ও নম্র ছিলেন। এই দুইজন মানুষের বিপদে যেকোন অবস্থায় ছুটে যেতেন। আজ সকালে কম্পানিগঞ্জে এক রোগীকে মোটরসাইকেলযোগে রক্ত দিতে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় শিহাবের মৃত্যু হয়। গুরুতর অবস্থায় ঢাকা নেওয়ার পথে বোহানের মৃত্যু হয়।
নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক ইলিয়াস আহম্মেদ জানান, ঘটনাস্থলেই মারা যায় শিহাব। ঢাকা নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় বোরহানের।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘‘শিহাব ঘটনাস্থলে ও বোরহানকে ঢাকা নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়। দুজনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।”
ঢাকা/রুবেল/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু
খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।
আরো পড়ুন:
গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের
নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা
স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।
ঢাকা/রূপায়ন/বকুল