কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ছিনতাই প্রতিরোধে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগে থানায় বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় কয়েক শ জনতা। তাঁরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) জন্য শাড়ি ও চুরি নিয়ে আসেন। আজ শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে এ বিক্ষোভ হয়। ছিনতাই প্রতিরোধে পুলিশকে তিন দিনের আলটিমেটাম দেন তাঁরা। এ সময় থানার ওসি খন্দকার ফুয়াদ (রুহানী) ও জ্যেষ্ঠ উপপরিদর্শক (এসআই) এমদাদুর রহমান বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন।

বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা বলেন, ভৈরব শহরের কোনো সড়ক এখন আর নিরাপদ নেই। কেবল রাতে নয়, দিনেও লোকজন ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে সর্বস্ব খোয়াচ্ছেন।

ছিনতাইকারীরা কেবল মুঠোফোন ও টাকা নিয়ে শান্ত হচ্ছে না, সব দিয়ে দেওয়ার পরও ছুরিকাঘাত করে পথচারীদের রক্তাক্ত জখম করছে। তখন আক্রান্ত ব্যক্তিদের অসহায়ত্ববরণ করতে হয়। শত চেষ্টা করেও ছিনতাই কমানো যাচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যর্থতা পদে পদে দৃশ্যমান হচ্ছে। এ অবস্থায় ভৈরবে স্বাভাবিক জীবনযাপন প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে। পুলিশ সক্রিয় থাকলে পরিস্থিতি এতটা নাজুক হতো না। পুলিশের ক্রমাগত ব্যর্থতার জন্যই উপহার হিসেবে ওসির জন্য শাড়ি ও চুড়ি নিয়ে আসা হয়েছে। ছিনতাই প্রতিরোধে ব্যর্থ হলে, বিশেষ করে ওসি যেন শাড়ি–চুড়ি পরে অফিস করেন।

তিন দিনের ভেতর ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তার ও পুরোপুরি ছিনতাই বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে কঠিন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকার ঘোষণা দেন বিক্ষুব্ধ লোকজন। থানায় বিক্ষোভ করার আগে ঢাকা–সিলেট মহাসড়কের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাস্কর্য ‘দুর্জয় ভৈরব’ চত্বরে ছাত্র ও যুবসমাজের ব্যানারে সভা হয়। সভায় বক্তব্য দেন মনিরুজ্জামান, আজহারুল ইসলাম, নূরে আলম, শাহরিয়ার মোস্তুফা, মো.

রিয়াদ, হান্নান আহমেদ, মো. জিহাদ, ভুক্তভোগী ফারদিন আহমেদ প্রমুখ।

ওই সভায় বক্তারা বলেন, আগে ভৈরবের ১ নম্বর সমস্যা ছিল মাদক। ভৈরবে মাদক কমেনি, বেড়েছে। তারপরও এখন ছিনতাইকে ভৈরবের ১ নম্বর সমস্যা ধরা হয়। ছিনতাই ইস্যুতে ভৈরবের ঘরে ঘরে আতঙ্ক। সমস্যা সমাধানে নাগরিক সমাজের নানা উদ্যোগেও প্রত্যাশিত ফল আসছে না। এ ক্ষেত্রে পুলিশও ব্যর্থ। ফলে দিন দিন ছিনতাই না কমে, বরং বাড়ছে। আগে রাতে ছিনতাই হতো, এখন দিনেও হচ্ছে। ভৈরবের বেশ কয়েকটি প্রভাবশালী বাড়ির লোকজনের প্রত্যক্ষ শেল্টারে ছিনতাইকারীর একাধিক চক্র সক্রিয়। প্রতিবছর ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে এক বা একাধিক ব্যক্তির মৃত্যু হচ্ছে। কোনোটির বিচার হচ্ছে না।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন ছ নত ই ভ রব র

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ