Risingbd:
2025-11-03@15:01:27 GMT

বাঁশ গাছ কতদিন বাঁচে?

Published: 12th, July 2025 GMT

বাঁশ গাছ কতদিন বাঁচে?

সারা বিশ্বে প্রায় ১৫০০ প্রজাতির বাঁশ আছে। বাংলাদেশে আছে ৩৭ প্রজাতির বাঁশ। এগুলোর মধ্যে ২৫-২৬টি প্রজাতিই হল গ্রামীণ বাঁশ আর বাকিগুলো বুনো প্রজাতির।

বাঁশে সাধারণত ফুল দেখা যায় না। আর ফুল দেখা দিলেই তা বাঁশের মৃত্যুর জানান দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘‘বাঁশে ফুল এলে তার ফিজিওলজিক্যাল এক্টিভিটি বা শারীরিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সে আর খাবার তৈরি করতে পারে না। এজন্য তার অস্তিত্ব টিকে থাকে না।”

তবে বিশ্বের ১৫০০ প্রজাতির বাঁশের মৃত্যু এক রকমভাবে হয় না। কোনও কোনও বাঁশ আছে, যাতে কখনোই ফুল আসে না। সেগুলো রোগাক্রান্ত হয়ে বা অন্য কোনো প্রাকৃতিক সমস্যা মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে মারা যায়।
কথিত আছে, একটি বাঁশে নাকি প্রতি ৫০ বছর পর পর ফুল ফোটে। বিষয়টি তেমনও নয়।বাঁশফুল নিয়ম মেনে ফোটে না। একটি বাঁশ গাছে ৪০ বছর থেকে শুরু করে ১২০ বছর বয়সেও ফুল ফুটতে পারে। কিন্তু একটি বাঁশ গাছ তখনই ফুল দেয়, যখন সেই গাছের উৎপাদন সক্ষমতা শেষ হয়ে যায়।

আরো পড়ুন:

বৃষ্টির দিনে মেকাপ করলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি

বর্ষায় র‌্যাশের সমস্যা কমানোর ৫ টি উপায় 

বাংলাদেশ বন গবেষণা ইন্সটিউটের চট্টগ্রামের বিভাগীয় কর্মকর্তা ড.

মো. মাহবুবুর রহমান বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ‘‘আমরা গবেষণায় দেখেছি, কোনো কোনো বাঁশ গাছে ২৫ বছর পরও ফুল ফোটে। তারপর সেটা মারা যায়। এটি আসলে প্রজাতিভেদে নির্ভর করে। কিন্তু অন্তত ২০-২৫ বছর সময় নেয়ই।”

ঢাকা/লিপি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

জকসু নির্বাচন নিয়ে ছাত্রদলের ১২ দাবি

আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে ১২ দফা দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।

সোমবার (৩ নভেম্বর) সংগঠনটির নেতারা জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসানের কাছে এসব দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

আরো পড়ুন:

২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ

২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির

স্মারকলিপিতে ছাত্রদল অভিযোগ করেছে, জকসু নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন গোষ্ঠী সংবিধি ও আচরণবিধি নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছে। তারা বিশ্বাস করে, নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের জন্য দায়বদ্ধ।

স্মারকলিপিতে উল্লেখিত ছাত্রদলের ১২ দফা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে; নির্বাচনে অমোচনীয় কালি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে; স্বচ্ছ গ্লাসের ব্যালট বাক্স ব্যবহার করতে হবে এবং প্রতিটি বাক্সে আলাদা নম্বর থাকতে হবে; ব্যালট ছাপানোর সংখ্যা, কাস্টিং ভোটার ও নষ্ট ব্যালটের সংখ্যা প্রকাশ করতে হবে; কোনো মিডিয়া ট্রায়ালের ক্ষেত্রে (ভুল তথ্য প্রচার হলে) সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, তবে সরকার অনুমোদিত সব মিডিয়াকে অবাধ স্বাধীনতা দিতে হবে; পোলিং এজেন্টরা নিজ কেন্দ্রেই অবস্থান করবেন, তবে অন্য কেন্দ্রে প্রবেশ বা অনুমতি ছাড়া পরিবর্তন করা যাবে না।

বাকি দাবিগুলো হলো- ডাকসু, চাকসু, রাকসু ও জাকসুর নির্বাচনের সময়সূচি বিবেচনা করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের যোগাযোগের সুবিধা অনুযায়ী যথাযথ সময় রেখে জকসু নির্বাচন নির্ধারণ করতে হবে; আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন হলে নির্বাচনী প্রচারণার আচরণবিধি স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করতে হবে, পাশাপাশি ফাউন্ডেশনের চুক্তি ও অবস্থান বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে হবে; অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এমফিল শিক্ষার্থীদেরও জকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে এবং বিধিমালা থেকে তাদের বাদ দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে।

এছাড়া জকসুর আচরণবিধির ৬ নম্বর ধারার আলোকে সক্রিয় ছাত্রসংগঠনগুলোর পূর্ণাঙ্গ কমিটির সদস্যদের জন্য বিশেষ কার্ড দিতে হবে, যা নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগে কার্যকর হবে; রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর কার্যকরী কমিটির সদস্যদের নির্বাচনী প্রচার ও অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের ঘোষিত ধারাবাহিক কর্মসূচি চলমান রাখার সুযোগ দেওয়ার দাবি করেন।

নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানিয়ে সংগঠনটির পক্ষ থেকে স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়েছে, যেন একটি গণতান্ত্রিক, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা হয়, যেখানে সব ছাত্র সংগঠনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়। অন্যথায়, কমিশন কোনো গোষ্ঠীর প্রভাব বা চাপের মুখে পড়ছে বলে শিক্ষার্থীদের মনে হতে পারে।

ছাত্রদলের নেতারা জানান, তারা সন্তোষজনকভাবে নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি উপস্থাপন করেছে এবং কমিশনের নিরপেক্ষ ভূমিকার ওপর তাদের আস্থা রয়েছে।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ