বিএনপির ১৬ বছরের আন্দোলনের ফসল জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান বলে মন্তব্য করেছেন দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান।

তিনি বলেন, “তারেক রহমানের নির্দেশে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে। ৫ আগস্ট সেই আন্দোলনের জয় হয়েছে।”

শনিবার (২ অগাস্ট) বিকেলে কেরাণীগঞ্জের নাজিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

আরো পড়ুন:

টাঙ্গাইলে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপির ৩ নেতা বহিষ্কার

জলাবদ্ধতা নিরসনে গৌরীপুরে বিএনপির উদ্যোগে খাল পুনঃখনন

আমানউল্লাহ আমান বলেন, “আল্লাহ দিনকে রাত, রাতকে দিন এবং মৃতকে জীবিত আবার জীবিতকে মৃত করেন। মানে, আল্লাহ চাইলে সব পারেন। বিগত ১৬ বছরে আমি ১১বার জেলে গিয়েছি। আমার কেরাণীগঞ্জের অনেক নেতাকর্মী বিনা দোষে কারাবরণ করেছেন। অনেক অত্যাচার সহ্য করেছি। দুঃসময় যারা বিএনপির সঙ্গে ছিলেন তারাই প্রকৃত বন্ধু।” 

নাজিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ডা.

আলী নূর পলাশের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন- কলাতিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. লিয়াকত আলী, কেরাণীগঞ্জ মডেল থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন জাকির, কলাতিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এনামুল হক চাঁন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক দাউদ শিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রানা।

ঢাকা/শিপন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে জকসু নির্বাচন চায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে করার দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এ দাবি জানায়।

সংবাদ সম্মেলনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতারা বলেন, বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বহুল প্রতীক্ষিত জকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে একধরনের উত্তেজনা ও উদ্বেগজনক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তফসিলে নির্বাচনের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ঘোষণা করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং অনেকাংশে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট।

সংবাদ সম্মেলনে দলের নেতারা অভিযোগ করেন, জকসু নির্বাচনের যে তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে, তা প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়। ডিসেম্বর বছরের শেষ মাস। এ সময় শিক্ষার্থীরা সারা বছরের একাডেমিক চাপ শেষে ছুটি কাটাতে বাড়ি যায়। অধিকাংশ শিক্ষার্থী এ সময় ক্যাম্পাসে থাকে না। নির্বাচনের জন্য এমন সময় নির্ধারণের একমাত্র উদ্দেশ্য হতে পারে ভোটারদের অংশগ্রহণ সীমিত করা।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতারা আরও বলেন, ডিসেম্বর মাসের শেষার্ধে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করতে পারে। এমন সময়ে জকসু নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের কোনো যুক্তিযুক্ত কারণ থাকতে পারে না।

সংবাদ সম্মেলনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি ইভান তাহসীভ বলেন, ‘একটি সুস্থ ও সর্বোচ্চ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হয়ে থাকবে। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর এটিই প্রথম ছাত্র সংসদ নির্বাচন, যা সংকটে জর্জরিত এই ক্যাম্পাসের ভাগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা রাখে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ