টানা আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে আবারো শুরু হয়েছে ভূটান থেকে পাথর আমদানি। এতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে স্থলবন্দর এলাকা জুড়ে।

বন্ধ থাকার পর পরীক্ষামূলক আমদানির প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ভূটান থেকে ৪টি পাথর বোঝাই ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। 

বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীরা জানান, ভারত ও ভূটানের মধ্যে চলা অভ্যন্তরীণ জটিলতায় (স্লট বুকিয় দ্বন্দে) ভূটান থেকে পুরো দমে বোল্ডার পাথর আমদানি বন্ধ ছিল। এর মাঝে গেল বছর (২০২৪) নানা সমস্যায় নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দুই মাস ভারতের পাথর আমদানি বন্ধ ছিল। 

এদিকে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভারতের পাথর আমদানি শুরু হলেও ভূটান থেকে পাথর আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। কারণ হিসেবে ভারতের ফুলবাড়ি স্থলবন্দরে ট্রাক মালিক ও শ্রমিকরা ভুটানের পাথর বোঝাই ট্রাকগুলোকে স্লট বুকিং (সুবিধা অ্যাপস বা অনলাইনে ফি দিয়ে নিবন্ধন) এর আওতায় আনার দাবিতে আন্দোলন করলে ভূটান পাথর রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এতে স্থবিরতা নেমে আসে পুরো বন্দর এলাকা জুড়ে। 

আড়াই মাস পর ভূটান ভারতের সুবিধা অ্যাপসের আওতায় এসে ভূটান থেকে ৪টি পাথর বোঝাই গাড়ি বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। 

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “ভারত ও ভূটানের অভ্যন্তরীণ জটিলতায় ভূটান থেকে পাথর আমদানি কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর আজ বৃহস্পতিবার সকল সমস্যা কাটিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে পাথর আসা শুরু করেছে। প্রথম দিনে ভূটানের ৪টি পাথরের ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। আশা করি কোন সমস্যা না হলে ঈদের বন্দের পর থেকে যথারীতি প্রতিদিন ভূটান থেকে পাথর আমদানি হবে।”

ঢাকা/নাঈম/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আখাউড়া দিয়ে ভারত থেকে এলো সাড়ে ১২ টন জিরা

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে  ভারত থেকে জিরা আমদানি করা হচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাড়ে ১২ টন জিরা বন্দরে খালাস করা হয়। এর আগে সোমবার ১২ টন জিরা নিয়ে একটি ট্রাক বন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়।

জানা গেছে, সারা এগ্রো এনিমাল হেলথ এবং সততা ট্রেডিং নামে দুটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এই জিরা আমদানি করেছে। কাস্টমস ক্লিয়ারিং ও ফরোয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে আখাউড়া স্থলবন্দরের মেসার্স আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল।

আখাউড়া কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রতি কেজি জিরা প্রায় ৩ দশমিক ৫ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪২৭ টাকায় আমদানি করা হচ্ছে। গত কয়েক দিনে মোট ৩৬.৫ টন জিরা আমদানি হয়েছে, যার মাধ্যমে ৯৩ লাখ ৩৩ হাজার ৩৯০ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে।

আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মাহমুদুল হাসান বলেন, চলতি বছরে এর আগেও কয়েকবার এই বন্দর দিয়ে জিরা আমদানি হয়েছে। ঈদুল আজহা সামনে রেখে আরও আমদানির সম্ভাবনা রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে এল ২১ টন কচুর মুখি
  • ভারত থেকে এল ১২ টন কচুরমুখি 
  • তেঁতুলিয়ায় বিরল প্রজাতির শকুন উদ্ধার
  • আখাউড়া দিয়ে ভারত থেকে এলো সাড়ে ১২ টন জিরা