মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক তরুণ এক পুলিশ সদস্যকে ধাক্কা মেরে থানা থেকে পালিয়ে যান। পরে অভিযান চালিয়ে রেলস্টেশনে ট্রেনের একটি পরিত্যক্ত বগি থেকে তাঁকে আটক করা হয়। গতকাল শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে।

ওই তরুণের নাম নয়ন (২৫)। তাঁর বাড়ি মৌলভীবাজার সদর উপজেলার জগন্নাথপুর এলাকায়। তিনি শ্রীমঙ্গল পৌর শহরের মুসলিমবাগে একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কুলাউড়া পৌর শহরে চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গতকাল দুপুরের দিকে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে নয়নসহ তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সেবা কক্ষে আটকে রাখা হয়। সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে আটক নয়ন প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার কথা জানান। ওই কক্ষের বাইরে দায়িত্বে থাকা কনস্টেবল সবিতা পাশী দরজা খুলে দিলে নয়ন তাঁকে ধাক্কা মেরে দৌড়ে পালিয়ে যান। এরপর নয়নকে আটকের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করে পুলিশ। রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুলাউড়া জংশন রেলস্টেশনে ট্রেনের একটি পরিত্যক্ত বগির ভেতরে তাঁকে পাওয়া যায়। সেখান থেকে তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.

কামরুল হাসান। তিনি আজ শনিবার সকালে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, নয়নের বিরুদ্ধে মৌলভীবাজার সদর ও শ্রীমঙ্গল থানায় পাঁচটি মামলা আছে। এর মধ্যে তিনটিতে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। গতকালের ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। থানা থেকে আটক তরুণের পালানোর ঘটনায় পুলিশ সদস্যদের আরও সতর্ক থাকা দরকার ছিল। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ