রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা চূড়ান্ত, তবে ট্রাম্প কি অনুমোদন দেবেন
Published: 3rd, May 2025 GMT
রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চূড়ান্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে ব্যাংক ও জ্বালানি খাতসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পদক্ষেপও রয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেন তাঁর প্রচেষ্টায় মস্কোর ওপর চাপ আরও জোরালো করতে পারেন, সে লক্ষ্যেই নতুন এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের উদ্যোগ।
তিনজন মার্কিন কর্মকর্তাও এ বিষয়ে অবগত আছেন, এমন একটি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা বলেন, এ নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু হবে রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি সংস্থা গ্যাজপ্রমসহ প্রাকৃতিক সম্পদ ও ব্যাংকিং খাতের সঙ্গে যুক্ত বড় প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে এর বেশি কিছু জানাননি তিনি।
ট্রাম্প নিষেধাজ্ঞার এ প্যাকেজে অনুমোদন দেবেন কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। মস্কোর বিবৃতি ও কর্মকাণ্ডের প্রতি তাঁর সহানুভূতি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের যুদ্ধবিরতি এবং শান্তি আলোচনার আহ্বান প্রত্যাখ্যানে হতাশায় পরিণত হয়েছে।তবে ট্রাম্প এ প্যাকেজে অনুমোদন দেবেন কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। মস্কোর বিবৃতি ও কর্মকাণ্ডের প্রতি তাঁর সহানুভূতি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের যুদ্ধবিরতি এবং শান্তি আলোচনার আহ্বান প্রত্যাখ্যানে হতাশায় পরিণত হয়েছে।
এ বিষয়ে অবগত আছে, এমন একটি সূত্র বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ সমন্বিত করার চেষ্টা করছে। এটি ট্রাম্পকেই অনুমোদন দিতে হবে।’ দ্বিতীয় একজন মার্কিন কর্মকর্তা নিশ্চিত করে বলেন, ‘এটি পুরোপুরি তাঁর সিদ্ধান্ত।’
আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খনিজ চুক্তিকে জেলেনস্কি ‘সমতাভিত্তিক’ বলার পরই ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা০২ মে ২০২৫ওই কাউন্সিলের মুখপাত্র জেমস হিউইট বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট শুরু থেকেই (রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে) পূর্ণাঙ্গ ও ব্যাপক যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি স্পষ্ট করে আসছেন। চলমান মধ্যস্থতার বিষয়ে আমরা বিস্তারিত মন্তব্য করি না।’
মার্কিন অর্থ বিভাগ সাধারণত এসব নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করে থাকে। কিন্তু এ বিষয়ে মন্তব্য করার অনুরোধে সাড়া দেয়নি এ বিভাগ।
রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের হামলায় বিধ্বস্ত ভবনে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন জরুরি বিভাগের কর্মীরা। কিয়েভ, ইউক্রেন, ২৪ এপ্রিল ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউক র ন
এছাড়াও পড়ুন:
ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯
ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে ৬৯ জন হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ-সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা আজ বুধবার এ খবর জানান। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা ও পানি-বিদ্যুতের সংযোগ আবার চালু করার চেষ্টা করছে ফিলিপাইন সরকার।
দেশটির সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা রাফি আলেজান্দ্রো সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার আগে সেবু প্রদেশের উত্তরে বোগো শহরের কাছে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। স্থানীয় হাসপাতালগুলো আহত মানুষের ভিড়ে রীতিমতো উপচে পড়ছে।
আঞ্চলিক সিভিল ডিফেন্স দপ্তরের তথ্য কর্মকর্তা জেন আবাপো বলেন, সেবুর প্রাদেশিক দুর্যোগ দপ্তরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৬৯ জন। অন্য একজন কর্মকর্তা জানান, আহত হয়েছেন ১৫০ জনের বেশি।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের দ্রুত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিবেরা ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রিয়জন হারানো ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
সেবু ফিলিপাইনের জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যগুলোর একটি। সেখানে প্রায় ৩৪ লাখ মানুষের বসবাস। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ম্যাকতান-সেবু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম চালু রয়েছে। এটা ফিলিপাইনের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর।
ভূমিকম্পে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সান রেমিগিও শহরটিও। উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য এ শহরে ‘দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা’ ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের ভাইস মেয়র আলফি রেইনেস বলেন, উদ্ধারকর্মীদের জন্য খাবার ও পানি, সেই সঙ্গে ভারী সরঞ্জাম প্রয়োজন।
স্থানীয় ডিজেডএমএম রেডিওকে আলফি রেইনেস বলেন, ‘ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বিদ্যুৎ নেই। আমাদের সত্যিই সহায়তা দরকার। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে পানির তীব্র সংকট রয়েছে। ভূমিকম্পে সেখানে সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
আরও পড়ুনফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত অন্তত ২৬, চলছে উদ্ধারকাজ৫ ঘণ্টা আগে