জয়পুরহাটের কালাই পৌর শহরের পোড়াগ্যাড়া মাঠে পাহারাদারকে বেঁধে রেখে একটি গভীর নলকূপের ১০ কেভি ক্ষমতার তিনটি ট্রান্সফরমারের তামার তার চুরি করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় খোলস ফেলে রেখে গেছে তারা। গতকাল শনিবার নলকূপের মালিক বিষয়টি টের পেয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও থানায় জানান।
এর আগে শুক্রবার রাতে চুরির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৭৯টি ট্রান্সফরমার ও ১৫টি মিটার চুরির ঘটনা ঘটল বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। একের পর এক চুরির কারণে প্রামাণিকপাড়ার হেলাল উদ্দিন প্রামাণিক তাঁর নলকূপের ট্রান্সফরমার ও মিটার রক্ষায় এবং সেচকাজ পরিচালনায় পাহারাদার রাখেন। 
শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাঁকে রেখে বাড়িতে আসেন তিনি। রাত সাড়ে ৯টার দিকে পাহারাদারকে বেঁধে খুঁটি থেকে তিনটি ট্রান্সফরমার নামিয়ে খোলস রেখে তামার তার নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
শনিবার সকালে কৃষকরা মাঠে গিয়ে নলকূপের ঘরের জানালা দিয়ে দেখতে পান, পাহারাদার দেলোয়ারের মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে হাত-পা বেঁধে ঘরের মেঝেতে ফেলে রাখা হয়েছে। খবর পেয়ে পাম্পের মালিক এসে তাঁকে উদ্ধার করেন। 
পাহারাদার দেলোয়ার হোসেন বলেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে ছয়-সাতজন এসে তাঁকে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে তাঁকে বেঁধে ঘরের মধ্যে রেখে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেয়। এরপর তারা কী করেছে, তিনি জানেন না।
খবর পেয়ে ঘরের মধ্য থেকে দেলোয়ারকে উদ্ধার করে বাড়িতে আনেন জানিয়ে গভীর নলকূপের মালিক হেলাল উদ্দিন প্রামাণিক বলেন, মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে তিনটি ট্রান্সফরমার নিতে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা জমা দিতে হবে। কী করবেন, ভেবে পাচ্ছেন না তিনি। কালাই থানার ওসি জাহিদ হোসেনের ভাষ্য, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ট র ন সফরম র র নলক প র

এছাড়াও পড়ুন:

‘এটা তো চাপের খেলা’—বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ভারত কোচ

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ ঘিরে উত্তাপ, উত্তেজনা নতুন নয়। তবে এবারের লড়াইটা ভারতের জন্য বাড়তি চাপেরও। প্রতিপক্ষের মাঠ, গ্যালারিভর্তি দর্শক আর হামজা-শমিতে উজ্জীবিত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স—সব মিলিয়ে হয়তো কঠিন পরীক্ষাতেই পড়তে হবে সফরকারীদের। আজ ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভারতের কোচের কণ্ঠেও ফুটে উঠল তেমনটাই।

আগামীকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত। তার আগে আজ একটি হোটেলে ভারতীয় দলের কোচ খালিদ জামিল বলেন, ‘এটা তো চাপের খেলা’।

এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব থেকে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দলেরই বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়েছে। তবু বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে ভারত ম্যাচ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ। যার বড় প্রমাণ অনলাইনে টিকিট ছাড়ার ৬ মিনিটের মধ্যে সব বিক্রি হয়ে যাওয়া।

এর পাশাপাশি প্রতিপক্ষের মাঠে খেলাটা যে সব সময়ই কঠিন, সেই বাস্তবতা জানেন জামিলও। তাঁর দলের ওপর চাপ আছে কি না প্রশ্নে ভারত কোচ বলেন, ‘হ্যাঁ, চাপ আছে। আমাদের তা মানতে হবে। সবাই জানে এটি একটি চাপের ম্যাচ। তবে সে জন্য আমাদের একটি ইতিবাচক ফলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’

গত ২৫ মার্চ শিলংয়ে দুই দলের প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। সেই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছিল হামজা চৌধুরীর। ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটিতে খেলা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে করেছেন ৪ গোল, যার মধ্যে দুটি করেছেন বৃহস্পতিবার নেপালের বিপক্ষে।

ভারত কোচ অবশ্য একক কোনো খেলোয়াড়কে নিয়ে ভাবতে নারাজ, ‘আমরা শুধু একজন খেলোয়াড়কে বিবেচনায় নিচ্ছি না। বাংলাদেশ দলে অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। এটা খুব সিরিয়াস গেম।’

১৯৭৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩২ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। এর মধ্যে ভারত জিতেছে ১৬টিতে, বাংলাদেশ ২টিতে। ড্র বাকি ১৪টি (২০০৩ সাফে বাংলাদেশের গোল্ডেন গোলে জয়ের ম্যাচসহ)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ